পাতা:বঙ্গমহিলা (দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/১৬৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কাৰ্ত্তিক, ১২৮৩ । ] কালীপূজা ও ভ্রাতৃদ্বিতীয়া । δ ( Σ. বর্ষার ভয়ানক বৃষ্টিতে যে সকল জল ভূমিতে প্রবেশ করে, তাহার বিষময় ফল এই সময়ে আরব্ধ হয়। বৃক্ষপত্রাদি পঁচাতে অপকৃষ্ট বাম্পে বয় পূরিত থাকে পুষ্করিণী ও নদীর জল সকল ক্রমশঃ শুস্ক হইতে আরম্ভ হইলে অতি দুর্গন্ধ বাষ্প উঠিয়া চারদিক আচ্ছন্ন করে । ধান্যক্ষেত্র ও সামান্ত বিলখালের মৎস্য শম্বুকাদি পচিয়। উঠে । পদ্মপত্রাদি পঢ়িয়া জলাশয়ের জল দূষিত হয়। শরৎকালে পতিত পত্রাদি ও বর্ষাকালজ জঙ্গল সকল শুষ্ক হইতে থাকে। ফলতঃ, কাৰ্ত্তিক মাসে কি জল কি স্থল কি বায়ু সকলই অপরিস্কৃত, ও ঋতুপরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে মন্থয্যের শারীরিক ভাব পরিবর্তিত হওয়াতে মৃত্যুর অত্যন্তু সস্তাবনা হয়। নানাবিধ কীট পতঙ্গাদি জন্মিয় বিলক্ষণ বিরক্তজনক হয় । সামান্য কথাতেও স্ত্রীলোকের কহিয়া থাকে — “কাৰ্ত্তিকের সাত, আগোনের আট, ভাতার পুত সাবধানে রণথ ' ' অর্থাৎ কাৰ্ত্তিক মাসের ৭ই অবধি আগ্রহণয়ণের আটদিন পর্য্যন্ত স্বামী ও পুত্রদিগকে অতি সাবধানে রাখিবে । শাস্ত্রকারের স্বাস্থ্যরক্ষার জন্য স্নান, ভোজন, ও অাহারবিহারাদির অতি কঠিন কঠিন নিয়ম করিয়া গিয়াছেন। বর্ষাকালে গৃহের বাহির হইতে না পারাতে গৃহমধ্যে যে সকল জঞ্জাল থাকে, কাৰ্ত্তিক মাসে সেই গুলি গৃহ হইতে বাহির করিয়া গৃহের অলক্ষী বাহির করিতে হয় । এবং বাসগৃহ ধুপ ধুন। চন্দন পুষ্পাদি দ্বার সুবাসিত করিয়া লক্ষীপূজা করিতে হয় । বিষময় বাষ্প ও কীট পতঙ্গাদি দগ্ধ করিবার জন্য শাস্ত্রকারের প্রতিদিন রাত্রিকালে আকাশ, বাসগৃহ, চতুষ্পথ, চত্বর, চৈত্যের বৃক্ষের তল, দেবালয় প্রভৃতি সৰ্ব্বস্থানে আলোক প্রদান করিতে লিখিয়া গিয়াছেন । বিশেষতঃ দেখিতে পাওয়া যায় যে, প্রায়ই কৃষ্ণাচতুর্দশী পৰ্য্যন্ত কীট জন্মিবার চরম দিন । এই জন্য ঐ দিনে অতি ভয়ঙ্কররূপ উলকা প্রজ্জ্বলিত করিবার বিধি আছে। এই ভয়ঙ্কর সময়ে কালরূপণ কালীর মূৰ্ত্তি হৃদয়ে বিলক্ষণ জাগৰুক