পাতা:বঙ্গমহিলা (দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/১৭৭

Y®e বঙ্গ মহিলা । [२ब्र थ, १ग ग९ ।। থাকি, যথা ম্যাঙ্গটিন, আপেল, বেদান, আণস্কুর, বাদাম, পেস্তল, আকৃরোট, খোবানি, ছোয়ার, কিশমিশ, মনকা ইত্যাদি। ফলমাত্রেই প্রায় কিছু না কিছু সারক ; আম্র, কাটাল, প্লেপিয়া, নারিকেল, ফুটি পেয়ার, ইক্ষু ইত্যাদি বিলক্ষণ সারক। ফল সুপক হইলে খাওয়া কৰ্ত্তব্য এবং যে সকল ফল র্কাচণ অবস্থায় খাওয়া যায়, তাহার রস খাইয়ণ শিট ত্যাগ করা উচিত, যেমন পেয়ার, কুল, জামৰুল, শাকআলু ইত্যাদি । জ্বরকালীন দাড়িম আনারস, কচি-নারিকেল, ইক্ষু, কঁচাপেয়ারণ, কচিশসা, পানিফল কেশুর, শাকআলু ইত্যাদি কয়েকপ্রকার ঠাণ্ড ফল বড় মুখ-রোচক এবং অল্প পরিমাণে শিট ত্যাগ করিয়া ব্যবহার করিলে বিশেষ অপকারক নহে। বেল উদরাময় রোগে বিশেষ উপকারী । বাদাম পেস্তল আকৃরোট ইত্যাদি তৈলময় ফল সকল পুষ্টিকর, কিন্তু অধিক খাইলে পীড়াদায়ক হইয়া থাকে। - ইক্ষু ও খেজুর গাছের রস হইতে গুড় প্রস্তুত হয়, এবং এই গুড় পরিস্কার করিলে চিনি হয়। এই চিনির রস করিয়া মিছিরি প্রস্তুত হয় । চিনি দ্বারা আমরা নানাবিধ উৎকৃষ্ট মিষ্টান্ন প্রস্তুত করিয়া থাকি। ছানা, নারিকেল ও ক্ষীরের সহিত চিনি মিশ্রিত করিয়া সন্দেশ, মনোহরণ, চন্দ্রপুলি, ক্ষীরের ছাচ, বরফি প্রভৃতি নানাপ্রকার উৎকৃষ্ট খাদ্য প্রস্তুত হয়। স্থতপক নানাবিধ সামগ্ৰী চিনির সংযোগে সুস্বাদযুক্ত হয়। মিষ্টান্ন অতি মুখপ্রিয় কিন্তু অধিক পরিমাণে খাইলে উদরাময়, অজীর্ণ, অম্ল, কৃমি ইত্যাতি রোগ জন্মে । মধু আর একটী মিষ্টদ্রব্য। ইহা মৌমাছির চাক হইতে প্রাপ্ত হওয়া যায়। টাটুক। মধু অতি মুখপ্রিয় এবং অল্প পরিমাণে খাইলে উপকারও আছে। মিষ্টদ্রব্যের দ্বারা অামাদের শরীরের তাপ উদ্ভাবন হয় । এই নিমিত গ্রীষ্মকাল অপেক্ষণ শীতকালে অধিক মিষ্ট সহ ছয় । চিনি সহজে পরিপাক হয়, বালকের গুড় খাইতে বিশেষ ভালবাসে এবং মধ্যে মধ্যে অল্প পরিমাণে থাইতে দেওয়াও কর্তব্য ।