পাতা:বঙ্গমহিলা (দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/১৯৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

•বঙ্গমহিলা । [২য় খ, ৮ম সং - و بb | ও সন্তোষের চুিছম্বরূপ রমণীগণ উলুৱনি করিতে লাগিল । “ মহারাজ ভীমসিংহের, জয়, মহারাণী পদ্মিনীর জয় ” ইত্যাদি মঙ্গলধনিতে চিতোরনগর প্রতিদ্বনিত হইল । সৰ্ব্বত্রই কোলাহল, সকলেই আনন্দে উন্মত্তপ্রায় । রাণী মহারাজাকে দুরাত্মা যবনের হস্ত হইতে মুক্ত করিয়াছেন, ইহা শুনিয় রাজপুর বাসিগণ আনন্দে মৃত্য করিতে লাগিল ; ও নানাপ্রকার মঙ্গলামৃষ্ঠান করিতে | লাগিল । সৈন্যগণ স্ব স্ব অস্ত্র ও বসনভূষণ ধারণ করিয়া গগনভেদী কণ্ঠে জয়ধনি করতঃ কামান ছুড়িতে লাগিল । রাজপুরীর প্রত্যেক দ্বারে কদলী-বৃক্ষ, তদুপরি পুষ্পমালা ও তন্নিকটে পূর্ণকুম্ভ সংস্থাপিত হইয়া, রাজপুরীর অপূৰ্ব্ব ত্র-সম্পাদন করিতে লাগিল । রাজপুত্ৰগণ পিতাকে কারাগারামুক্ত দেখিয় তাহার গলদেশ ধারণপূর্বক আনন্দাশ্র বর্ষণ করিতে লাগিল। কি ইতর, কি ভদ্র, কিৰ্শ্বনী, কি নিধনী, সকলেই পদ্মিনীর অসাধারণ ক্ষমত দর্শনে র্তাহার ভূয়সী প্রশংসা করিতে লাগিল । যুদ্ধব্যতীত পাপাত্মা যবনদিগকে চিরপবিত্র ক্ষত্ৰিয়রাজ্য হইতে দূরীভূত করা দুঃসাধ্য বিবেচনায় মহারাজ ভীমসিংহ পুনরায় যুদ্ধারন্তকম্পন স্থির করিলেন ; ও সৈন্যদিগকে প্রস্তুত হইতে বলিলেন । এদিকে যবনকুলকলঙ্ক পাপাশয় আলাউদ্দিন পদ্মিনীর বুদ্ধি চতুৰ্য্য দেখিয়া স্থিরসিদ্ধান্ত করিল যে, এ সামান্ত শত্রু নহে ; এবং ইহার বিনাশ সাধন না করিলে যবনদিগের হিন্দুস্থানে সামাজ্য সংস্থাপন হ্রাশন মাত্র। মনে মনে ইহাও স্থির করিল যে, যে পৰ্য্যন্ত চিতোরনগর মৰুভূমির প্রায় ধংস না করিব, ও যে পৰ্য্যন্ত ভীমসিংহকে সস্ত্রীক বিনাশ না করিব সে পৰ্য্যন্ত কখনই দিল্লীতে প্রত্যাগমন করিব না। এইরূপ দৃঢসংকল্প হইয়া, আলাউদ্দিন আপন সৈন্যদিগকে সুসজ্জিত হইয়ণ চিতোর আক্রমণ করিতে আদেশ প্রদান করিলেন। এদিকে ক্ষত্ৰিয় সৈন্তগণও আপনা দিগের প্রভুকে পুনঃপ্রাপ্ত হইয়া দ্বিগুণতর সাহস ও পরাক্রম