পাতা:বঙ্গমহিলা (দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/২১৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

'c°र्गश, २२४७ ] রমণী-হৃদয় । , Yసెరి রমণী-হৃদয় । এই বিশ্বসংসারে রমণীহৃদয় তুল্য উৎকৃষ্ট পদার্থ আর কিছুই দেখিতে পাওয়া যায় না । বা স্তবিক কোমলতা, সরলতা, ধৰ্ম্মভীৰুতা প্রভৃতি নানাবিধ সদাণে বিভূষিত হইয়। রমণীহৃদয় মহুষ্যসমাজে যে এতাদৃশ আদরণীয় হইবে ইহা বিচিত্র কি। এইরূপ না হওয়াই আশ্চর্য্যের বিষয় | যে হৃদয়ের বশবর্তী হইয়। নারীগণ জগতের দুঃখ নিবারণ ও মুখ বৃদ্ধি করিতে সতত যত্ন করিতেছেন, যাহার প্রভাবে পৃথিবীর প্রায় সমস্ত মঙ্গল সাধন হইতেছে, তাহা যে অতি আশ্চৰ্য্য পদার্থ তাহাতে আর কোন সন্দেহ নাই । সকল কালে, সকল দেশে এবং সকল অবস্থাতেই নারীদিগের অন্তঃকরণের উৎকর্ষের পরিচয় পাওয়া যায়। বালিকাই হউক বা যুবতী হউক, প্রৌঢ়াই হউক বারুদ্ধ হউক, সকল অবস্থাতেই রমণীহৃদয়ের কোমলতা দৃষ্ট হয় । ছোট ছোট বালিকাগুলি স্বকীয় ভ্রাতা ভগিনীদিগকে কিরূপ অাদর ও স্নেহের সহিত ব্যবহণর করিয়া থাকে, তাহ৷ সকলেই জানেন । সমান বয়ঃপ্রাপ্ত বালকবালিকাদিগের মধ্যে শেষোক্তদিগের হৃদয় কত অধিক পরিমাণে স্নেহপূর্ণ থাকে তাহ বলা বাহুল্য । যৌবনকালে মাতৃপদে অভিষিক্ত হইয়। সেই বালিকাগণ স্বীয় সন্তানগণের প্রতি কি অপূৰ্ব্ব স্বেছ বিস্তার করে । ক্রোড়ে শিশুকে রাখিয়। জননী প্রেম ভরে যেরূপে শিশুর প্রতি একদৃষ্টে দৃষ্টি করিতে থাকেন তাহ দেখিলে একবারে স্বর্গমুখ অভূভব হয়। আর সন্তানের বয়সের সহিত মাতার স্নেহ কি বিচিত্ররূপে বৰ্দ্ধিত হইতে থাকে । তখন সন্তানের সহিত দেখা ন হইলে জননীর হৃদয় কিরূপ ব্যাকুলিত হয় । তখন সন্তানের নামে নিন্দ শ্রবণ করিলে মাতার হৃদয় কী দৃশ ব্যথিত হয়। আবার সন্তানের প্রশংসাবাদে মাতার মনে কি অনিৰ্ব্বচনীয় সুখের উদয় হয় । পুত্রের স্বাস্থ্যের নিমিত্ত জননী কতদূর ক্লেশ স্বীকার করেন। পুত্ৰ পীড়িত হইলে