পাতা:বঙ্গমহিলা (দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/২৬৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

२88 e বঙ্গ মহিলা । [২য় খ, ১১শ সং । প্রদেশ পর্যন্ত অবলোকন করা তেমনি আবশ্বক। প্রকৃতির বাহ ব্যাপার পর্যালোচনা কর। যেমন বিজ্ঞানতত্ত্বানুসন্ধানের একটী প্রধান উপকরণ, তেমনি আন্তরিক ভালনিচয় হইতে আরম্ভ করিয়া বাহ ব্যাপার সমূহের মৰ্ম্ম নির্ণয় করা আর একটী প্রধান উপকরণ , বস্তুতঃ যে কল্পনাশক্তির প্রভাবে নারীজাতি কোন একটী বিষয়ের গভীর ভম প্রদেশ পৰ্য্যন্ত প্রত্যক্ষ করিতে সক্ষম, সেই শক্তি যদি পুৰুষের সম্পূর্ণরূপে আয়ত্ত করিতে পারিতেন, তাহা হইলে বাকলের মতে বিজ্ঞানের উন্নতি আরও অধিক হইত। ইহাতে প্রতিপন্ন হইতেছে যে, গৃহকার্ঘ্যে ও পরিবারের মুখসম্বৰ্দ্ধনেই যে কেবল স্ত্রীগণের ক্ষমতা প্রকাশ পায় তাহণ নহে, জ্ঞানোন্নতি বিষয়েও তা ছাদের বিশেষ ক্ষমতা আগছে। নারীজাতির হৃদয়ের স্নিগ্ধ ও কমনীয় গুণরাজি স্বীকার করিলাম, ও তাছাদের প্রখর কল্পনাশক্তি জ্ঞানোন্নতি বিষয়ে বিশেষ সাহায্য করে তাহাও দেখাইলাম। কিন্তু যে গুণসমুহের কথা বলি লগম, তাহণ শিক্ষা বিহনে বিনাশ প্রাপ্ত হইতে পারে । সৌভাগ্যবশতঃ নারীজাতির শিক্ষার অবশ্যকতা বিষয়ে এক্ষণে আর লোকের দ্বৈধ ভাব নাই। কিন্তু কিরূপ শিক্ষালাভে তাহার। অধিকারী তদ্বিষয়ে মতভেদ অাছে। অনেকে নারীজাতিকে কেবল হৃদয়ামুকুল শিক্ষাদানে উদ্যোগী। তাছাদের মতে যাহতে নারীশ্বদয়ে প্রকৃতিগত সৌন্দর্য্য ও সদ্ভাবসমূহ সুন্দর রূপে বিকসিত হয়, সেইরূপ শিক্ষণ মারী জাতির উপযোগী । স্ত্রীজাতি কেবল কাব্য পাঠ করিবে, সুকুমার বিদ্যা অালোচন। করিবে, সঙ্গীত শিক্ষা করিবে, ইহাই তাছাদের অভিলাষ। তাছাদের মতে, বিজ্ঞান আলোচনা স্ত্রীলোকের পক্ষে অবৈধ। তাছার ভাবেন যে, কঠোর বিজ্ঞান পাঠ করিলে গোলাপ পুষ্পের ন্যায় নারীর কোমল হৃদয়কে প্রস্তর বৎ কঠিন করিয়া ফেলিৰে। আমাদের মত ইহার সম্পূর্ণ বিপরীত। প্রথমতঃ, বিজ্ঞান যে কঠোর তাহ আমরা স্বীকার করি না। আমরা