পাতা:বঙ্গমহিলা (দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/২৯৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

চৈত্র, ১২৮৩ ] ভারতবর্ষের শাসম-প্রণালী । રં૭૧ বাঙ্গালার সিংহাসনে অধিরোহণ করাইল। ক্রমে মাদ্রাজ ও বোম্বাইয়েও এইরূপ হইল। সৰ্ব্বত্রই ইংরাজদিগের জয় ও দেশীয় রাজগণের পরাজয় হইতে লাগিল । এবং ভারতবর্ষে আগমন হইতে দুই শত বৎসরের মধ্যেই ইছারা সমস্ত রাজ্যের এক প্রকার অধীশ্বর হইয়াছে । এক্ষণে সমস্ত ভারতবর্ষই প্রণয় ইংরাজদিগের । কেবল বুটান, নেপাল, কাশ্মীর, রাজপুতানা, হাইদ্রাবাদ, মহীস্বর, ট্রাবানকোর, টিপের প্রভৃতি কয়েকটি করদ ও স্বাধীন রাজ্য এপর্যন্ত বর্তমান আছে । প্রায় ২০ বৎসর হইল ইংলণ্ডের অধীশ্বরী “ ইষ্ট-ইণ্ডিয়া কোম্পনির ” হস্ত হইতে ভারতবর্ষের রাজ্যভার স্বয়ং গ্রহণ করেন ; এবং এক্ষণকার রাজপ্রণালী ইংলণ্ডের রাজাভিমতে চলিতেছে । সুচাৰুরূপে রাজকর্ধ্য নির্বহার্থে ভারতবর্ষ তিন খণ্ডে বিভক্ত হইয়াছে; ১ম—বোম্বাই বিভাগ, ২য় –মান্দ্রাজ বিভাগ, ৩য়— বাঙ্গাল বিভাগ । প্রথমোক্ত দুই বিভাগে স্বতন্ত্র দুই গবর্ণর অর্থাৎ শাসনকৰ্ত্ত নিয়োজিত আছে। প্রত্যেকেই কতিপয় সভ্য লইয়। এক এক সভার সাহায্যে অপেন আপন বিভাগ শাসন/করিয়া থাকেন। এই সমুদয় সভ্যগণ ইংলণ্ডের ন্যায় প্রজাবৰ্গকর্তৃক মনোনীত না হইয়া এক এক বিভাগের গবর্ণরকর্তৃক নিযুক্ত হয়েন ; উপযুক্ত দেশীয় ব্যক্তিগণও এই সভার সভ্য মনোনীত হয়েন । ইহার একত্র হইয় যে সকল রাজনীতি প্রস্তুত করেন, তাহণ সেই সেই বিভাগে অাইন স্বরূপ গ্রাহ ও চলিত হয়। কিন্তু গবর্ণরের অসম্মতিতে সত্যগণ কিছুই করিতে পারেন না। বাঙ্গালী বিভাগ পুনরায় তিন ভাগে বিভক্ত। ১ম—প্রকৃত ৰঙ্গদেশ, ২য়—উত্তর পশ্চিম প্রদেশ, ৩য়-পঞ্জাব। এই প্রত্যেক ভাগের এক একটী স্বতন্ত্র শাসনকৰ্ত্তণ আছে । ই ছাদিগকে লেপ্টনেন্ট গবর্ণর কহে। ইহাদেরও উপর্যুক্ত শাসনকৰ্ত্তাদিগের নাtয় আপন আপন সভা আছে এবং ইহাদের ক্ষমতাও তাদৃশ ।