পাতা:বঙ্গমহিলা (দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/৩০

रेब, २२४७ t] স্বাস্থ্য-রক্ষণ । ২১ * যথা, মাংস, ডিম্ব, গেম, চাল, দাল প্রভৃতি শস্যাদি এবং (২) যবক্ষারজান-বিহীন, যথা, বসা, তৈল,শর্করণ, শ্বেতসার, গোদ ইত্যাদি। যবক্ষণুরজান-বিহীন সজীব পদার্থ আবার দুই অংশে বিভক্ত, (১) আঙ্গার ও উদজানবিশিষ্ট, যথা বসা, তৈল, স্থত ইত্যাদি এবং (২৯ আগঙ্গার উদজান ও অম্লজান-বিশিষ্ট, যথা শ্বেতসার, গোদ, শকরণ ইত্যাদি। এইরূপে খাদ্য দ্রব্য প্রধান চারি অংশে বিভক্ত হইল, (১) যবক্ষারজানবিশিষ্ট পদার্থ, যথা মাংস, ডিম্ব, গেম, চাল, দাল প্রভৃতি শস্যাদি। (২) আঙ্গার ও উদজানবিশিষ্ট পদার্থ, যথা, বসা, তৈল, স্থত ইত্যাদি। (৩) আঙ্গার উদজান ও অম্লজানবিশিষ্ট পদার্থ, যথা শ্বেতসার, গোদ, শর্করণ ইত্যাদি । (৪) নিজীব খনিজ পদার্থ, যথা, লবণ, চুণ, জল ইত্যাদি। - এক্ষণে ইহাদের প্রত্যেকের গুণ এবং কে কি রকমে আমাদের শরীরের কার্য্য সাধন করে তাহ দেখা কর্তব্য । (১) যবক্ষারজানবিশিষ্ট পদার্থের দ্বারা শরীরের মাংস মেদ স্বায়ু প্রভৃতি পদার্থ সকল নির্মিত হয় এবং উহাদের ক্ষয়প্রাপ্ত অংশ সকল পূরণ হইয়া থাকে। এই খাছ দ্রব্যের উপযুক্ত পরিমাণের অস্পতা হইলে, শ্বাস, প্রশ্বাস, রক্তসঞ্চালন, পাক ইত্যাদি প্রধান ক্রিয় সকল নিয়মিতরূপে সম্পাদিত না হওয়াতে শারীরিক বলের এবং মস্তিষ্কের হ্রাস হইয় পড়ে এবং শরীর ক্রমে দুৰ্ব্বল ও রোগগ্রস্ত হয় ৮ আগবণর অধিক পরিমাণে এই সকল দ্রব্য আহার করিয়া তাদৃশ পরিশ্রম না করিলে অতিরিক্ত পুষ্টিজনক ক্লেশ ভোগ করিতে হয় । , (২) অগঙ্গার ও উদজানবিশিষ্ট পদার্থ " স্থত, বসা বণ চৰ্ব্বি, নানাবিধ উদ্ভিজ্জ তৈল, যথা নারিকেল-তৈল, সরিস-তৈল, ভেরাগুণ তৈল, ইত্যাদি, এবং প্রাণিজ তৈল যথা কড় মৎস্যের তৈল ইত্যাদি দ্রব্য সকল এই শ্রেণীভুক্ত । এই সকল পদার্থ প্রধানতঃ তাপ উদ্ভাবনে ব্যয়িত হয় এবং অবশিষ্ট অংশ, মেদ, পেশা