পাতা:বঙ্গমহিলা (দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/৬১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

& o বঙ্গ মহিলা । [ ২য় খ, ৩য় সংi. মনে করিবে না,পরন্ত তাহা তাহার স্বামীর অধিকার বলিয়া মনে করিবে । e অনন্তর নবম অধ্যায়ে পুনৰ্ব্বার স্ত্রীদিগের নিয়মাদি উল্লেখ করা হইয়াছে, যথা— ২ । স্ত্রীলোক দিবারাত্র অভিভাবকদিগের অধীন হইয়া কাৰ্য্য করিবে। তবে নির্দোষ ক্রীড়া ও আমোদস্থলে তাহাদিগকে স্বাধীনতা প্রদান করিতে হইবে। এমন কি, সেসকল স্থলে অতিরিক্ত আসক্তি প্রদর্শন করিলেও তাহণদের ব্যাঘাত করা হইবে না । ৩। স্ত্রী কথন স্বাতন্ত্র্য লাভ করিবে না, সে যৌবনে স্বামীর ও বাৰ্দ্ধক্যে পূত্রের অধীন হইয়া থাকিবে । ৪। উপযুক্ত সময়ে কন্যার বিবাহ না দিলে পিতাকে এবং যথাকালে স্ত্রী গমন না করিলে স্বামীকে দূষিত হইতে হইবে। যে পুত্ৰ ভর্তৃহীনা মাতার পালন না করে,তাহাকে পতিত হইতে হইবে। ৫ । স্ত্রীলোকদিগকে সাবধানত সহকারে বিগর্হিত ইন্দ্রিয়সেবন হইতে রক্ষা করিতে হইবে । না করিলে তাহার উভয়কুল দুঃখভাগী হইবে । ৬ । স্বামী ইহাকে পরম বিধি বলিয়ণ মনে করিবে । সে যতই কেন আসক্ত হউক না, প্রাণপণে উক্ত প্রকার রক্ষণ করিবে । ৭ । কারণ যে ব্যক্তি স্ত্রীকে পাপ হইতে রক্ষণ করে, সে অপত্যকে জারজ সন্দেহ হইতে রক্ষণ করে । এবং তাহার কুলগত ব্যবহার অব্যাহত, তাহার পরিবার অকলঙ্কিত এবং তাহার কর্তব্য অব্যাহত থাকে ] - ৮। স্বামী পুত্ররূপে স্ত্রীর গর্ভে জন্মগ্রহণ করে। এইরূপে ইহলোকে তাছার পুনৰ্ব্বার জন্মগ্রহণ করা হয় । এবং এই কারণেই পত্নীকে জায় কহিয়া থাকে। ৯। স্ত্রী এইরূপে স্বামীর অনুরূপ সন্তান প্রসব করে । এইরূপ সুসন্তান উৎপাদন করিতে হইলে, পুরুষ অবশ্ব স্ত্রীকে পূৰ্ব্বোক্তরূপ রক্ষা করিবে ।