পাতা:বঙ্গরহস্য - ভূবনচন্দ্র মুখোপাধ্যায়.pdf/১০১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

. . . . . " পঞ্চম ভয়ঙ্গ। ] a নানাপ্রকার ভোকী জানে; গ্ৰহদােষে আপনি তাহলের একটু দ্ৰোকীর *কার হইয়াছেন। পূর্বকথিত ভূম্যধিকারীর সেই প্ৰিয়পাত্রের মন্ত্রণায় পলাতক আসামীর পরিবর্তে, সেই লোক একজন শান্তি-রক্ষকের নিকটে আপনার নাম বলিয়া দেয় । मशनगन "সর্দারের নামের সঙ্গে আপনার নামের অনেকটা লাখ আছে, ভেন্ধী-মোহিত শান্তি-রক্ষক সেই সাদৃষ্ঠের উপর আর করিয়া আপনাকে । বিপদগ্ৰস্ত করিয়াছে, দেশের যেখানে যত শান্তি-রক্ষকের আড়ষ্ঠা আছেঃসৰ্ব্বত্রই সেই মিথ্যা-সংবাদ বিঘোষিত হইয়াছেঃ সেই কারণে কোথাও আপনি সুস্থির হইতে পারিতেছেন না ; দুইবার দুই প্রকারে আপনি আত্ম-বিনাশের চেষ্টা করিয়াছিলেন ; ভয়ঙ্কর সংকল্প, সে প্রকার পাপ সংস্কৃল্লকে আপনি আর মনোমধ্যে - স্থান দিবেন না। যাহারা আপনাকে অন্বেষণ করিতেছে, তাহান্না কেহই আপনার অঙ্গ স্পর্শ করিতে পরিবে না ।” . . . . ঠাকুরের প্রতি জীবনবন্ধুর ভক্তি হইয় ছিল, ঐ বৃত্তান্তগুলি শ্ৰবণ করিয়া সেই ভক্তি চতুগুণ বৰ্দ্ধিত হইল। ভক্তিভাবে প্ৰণাম করিয়া পুনরায় তিনি । জিজ্ঞাসা করিলেন, “সেই ঈর্ষা-পরায়ণ চক্ৰী লোকটাকে আমি বিশেষরূপে চিনিয়াছি, শান্তি-রক্ষকগণের ভেন্ধীও বুঝিতে পারিতেছি, কিন্তু যে ভূম্যধিকারী মহাশয়ের আশ্রয়ে আমি ছিলাম, বুঝয়াছিলাম, তিনি সদাশয় লোক, তিনি কি প্রকারে অকস্মাৎ আমার প্রতি বিরূপ হইলেন?” । হারাণ ঠাকুর বলিলেন, “যে সকল লোকের সঙ্গে এই ঘটনার সংস্রব, তাহদের মুখ না দেখিলে সকলের মনোভাব আমি বুঝতে পারিব না; তবে এই পৰ্যন্ত । বুঝতে পারিতেছি, ভূম্যধিকারীট একান্ত আপ্ত-প্রত্যয়ী ; cर षाश বলে, তাহাতেই তােহাৱা বিশ্বাস হয়, বিশেষতঃ প্রিয়পাত্রের কোন কথায় তিনি । অবিশ্বাস করেন না। একটী গো-বৎস এক বাঘিনীর স্তনদুগ্ধ পান করিতেছে, - একজন আশু-প্রত্যয়ী লোকের খালক সেই অদ্ভুত সংবাদ । वांबद्देशश्णि, उिनि তাহা দেখিতে যাইবার জন্য সজ্জিত হইয়াছিলেন। আমার বোধ হইতেছে, আপনার আশ্ৰয় দাতা সেই ভূম্যধিকারীও সেই প্রকৃতির লোক। বিশেষ সংবাদ । আমি কিছু বলিতে পারিব না, কিন্তু আপনাকে অভয় দিয়া আমি বলিতেছি, অনিষ্টকল্পনায় কোন ব্যক্তি আপনার অঙ্গ স্পর্শ করিষ্ঠে পরিবে না।” : জীবনবন্ধু বুঝলেন, ঠাকুরের সমস্ত কথাই সত্য; কয়েক দিবাসাৰধি আঁহর ।