পাতা:বঙ্গরহস্য - ভূবনচন্দ্র মুখোপাধ্যায়.pdf/২০৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

নবম তরঙ্গ। ২০৭ বাগান, পুকুর, গোয়ালবাড়ী, "গরু-বাছুর সমস্তই ঐ প্রকায় পাঁচ ভাগ *হইবার কথা স্থির হইল। চাকরীগুলি ভাগ হইবার নহে, সুতরাং ত্যাহা wre রহিল । s བ་2 , ব্যবস্থা শেষ হইয়া গেলে দর-দালানের ভাগ-করা জিনিসগুলি ভিন্ন ভিন্ন গৃহে তুলিয়া লইবার অনুমতি দিয়া প্ৰধান সালিসী বলিলেন, “এখন "এই পৰ্য্যন্ত মীমাংসা, ইহার পর যদি কাগারও অংশে কম-বেশী পঠিয়া থাকে, । আমরা পাঁচজনে পুনরায় আসিয়া সামঞ্জস্য করিয়া দিব ।” ! . . . জিনিসপত্র উঠাইবে কে ? যাঁহাদের জিনিস, তাহার কেহ নড়িলেন না, একটা কথাও বলিলেন না। বড়-ৰীে-মা পাঁচ ছেলের মা, তিনি আর লজ্জা রাখিতে না পারিয়া, ঘোমটা খুলিয়া করতালি দিয়া বলিলেন, “কোন জিনিস কেহ তুলিতে পরিবেন না ; যদি তুলিতে হয়, ষােহার ঘরে যে জিনিস ছিল, তাহার ঘরেই সেই জিনিস উঠিবে, সত্য আমরা ভাগ-বাটোয়ার চাহি না । তোমরা সকলেই বল, বীে আসিয়া ঘর তাঙ্গিয়া দেয়। সেই কথাটী সত্য কি না, তাহাই আমরা পরীক্ষা করিলাম।” আর চারিটীি বীে-মা ঘোমটা খুলিলেন না, কিন্তু আহিলাদে যেন একটু নাচিয়া নাচিয়া করতালি দিলেন। সালিসীরা অবাক, সালিসিনীরাও অবাক, বাবুরাও অবাক । একটী স্ত্রীলোক বলিলেন, “বৌ-মা, এ তোমাদের কেমন কথা ? তোমরাই পৃথক্ হইবার পরামর্শ দিয়াছিলে, এখন তোমরাই বলিতেছ, যেমন আছে। তেমনি থাকুক, তোমাদের মনের কথা কি ?” . . . . যে স্ত্রীলোক ঐ কথা জিজ্ঞাসা করিলেন, তাহার নাম দিগম্বকী। পাতায় কাহারও মৃত্যু হইলে, তিনি অগ্ৰেছুটিয়া গিয়া চক্ষের জল ফেলেন, কাহারও বাড়ীতে উৎসব হইলে তিনি অগ্ৰে পরিবেশন করিতে গিয়া আপনার আঁধােল পূর্ণ করেন, পাড়ায় কাহারও পীড়া হইলে সেগতিক বলিয়া অগ্ৰে তিমি হয়। হায় করেন। মনে মনে ইচ্ছ, যাহার পীড়া হয়, সে যেন ৰাচিয়া না উঠে। বাবুর বাড়ীর বধূগুলি পৃথক হইলেন না, - দিগম্বরীয় প্ৰাণে ব্যথা লাগিল । বস্তু-ৰীে-মাকে সম্বোধন করিয়া পুনঃ পুনঃ তিন্ত্রিপূৰ্বরূণ প্রশ্ন করিতে লা। গলেন। বড়-খো-মা উত্তর করিলেন, “মেয়েমানুষের জ্ঞান কি ? মেয়ে মাছৰে হনুমানী। সকলেই মেয়েমানুষকে অগ্রাহ করে, সকলেই বলে, মেয়ে মাছ