পাতা:বঙ্গরহস্য - ভূবনচন্দ্র মুখোপাধ্যায়.pdf/২৫

° 5邵哪1 曼立 উক্ত ভটাচাৰ্য মহাশয় হিংসাবশে অথবা অজ্ঞতাবশে ঐ রূপ কথা বলিরাছিলেন, আমাদের এরূপ বিশ্বাস নাই। আজকাল আমাদের । बिदारु-पांजाइन প্ৰায়ই আমরা ঐ বাক্যের সার্থকতা দর্শন করিতেছি। সমাজের অবস্থা আলোচনা করিয়া যে দিক দিয়াই যাউন, সকল দিকেই দেখিবেন, পুত্রবিক্রয়ের ধূমধামটা সর্বত্রই বাড়িয়া উঠিতেছে। যাহারা কন্যা ক্ৰয় করিয়া বিবাহ করিত, তাহাদের সন্তানেরা বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই একটা পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হইতে পারিলে কন্যা-ক্ৰয়ের পরিবর্তে আপনারাই উচ্চ মূল্যে বিক্রীত হয়। আর একটা লজার কথা, নগরবাসিগণ অনেকেই শুনিয়া থাকিবেন, প্ৰকাশু বেখার পুত্রেরা দুই ভিন হাজার টাকা মূল্যে ৰেখার কন্যায় বিবাহের সময় বেখ্যার নিকটে বিক্রীত হইয়া থাকে। বিবাহের অঙ্গে পবিত্ৰতাদর্শন করাই শাস্ত্রকারগণের উদ্দেশ্য ছিল, সমাজের বাঞ্ছনীয় ছিল, তদ্বারা সংসারেরও মঙ্গল হইত। এখন সেই বিশুদ্ধ ৰৈবাহিক প্ৰথাধৰ্ম্মানুগত বৈবাহিক প্রথা নানা প্ৰকায়ে বিকারপ্রাপ্ত হওয়াতে কেহই সুখী হইতে পারিতেছেন না। সাধারণ লোকে দেখে বটে, অমুকের পুত্রের বিবাহে অমুক দ্বাদশ সহস্ৰ মুদ্র প্রাপ্ত হইল, হাতী-ঘোড়া নাচিল, দ্বাদশ দল ইংরাজী বাদ্য বাজিল, শত শত চলতী গ্যাস বড় বড় রাস্ত উজ্জ্বল করিয়া চলিল, শত শত শকট সুসজিত হইয়া সহরের রাস্তায় অশ্বপদে অগ্নি ছুটাইয়া পবনবেগে ধাৰিত হইল, কাঙ্গালীরা দুটা দুটা পয়সা দক্ষিণা পাইল, শুনিতে সমস্তই ভাল, কিন্তু সেইরূপ ৰিষাহে দম্পতি কিরূপ সুখে থাকে, দম্পতির মাতা-পিতা ভবিষ্যতে কিরূপ আনন্দ উপভোগ করেন, তাহা সকলে জানিয়া উঠিতে পারে না । সংসারোয় একখানি সজীব চিত্র যদি কেহ প্ৰস্তুত করিতে পারেন, সংসারবাসিগণ “যদি সেই চিত্রের উপযুক্ত উপকরণগুলি সংগ্ৰহ করিয়া দেন, তাহা হইলে বৈবাহ্যিক সংসারের সজীব হৰি আমরা দেখিতে পাইব, সাধারণেও দর্শন করিয়া শিহরিয়া উঠিৰে। গুৰন্ধের উপসংহারে আমরা এক্ষণে কেবল এইটুকু মাত্র বলিয়া রাখিতেছি, আমাদের সমাজ-সংস্কারকেরা এই বিবাহ-সংস্কারকে যেরূপে সংস্কৃত করিয়া তুলিয়াছেন, সেইরূপ সংস্কারের অনুগামী হইয়া আর কিছু দূর অগ্রসর হউন। যে সংস্কারকে যথার্থ সংস্কার বলা যায়, যেরূপ সংস্কারে সাধারণ মঙ্গল সাধিত হয়, সেইরূপ ংস্কার দর্শন করাই একান্ত প্রার্থনীয়।