পাতা:বঙ্গরহস্য - ভূবনচন্দ্র মুখোপাধ্যায়.pdf/২৬৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

4夺博冲臀门 99 কৃষ্ট হইয়া উঠিয়াছিল, তাহার উপর বক্তার মুখে আবার অধিকতর ধৰ্ম্মনিন্দ শুনিয়া তাহারা যেন ক্ষিপ্তপ্রায় হইল ; এককালে বহুলোকে সমস্বরে চীৎকার করিয়া মহা গগুগোল বাধাইল, বক্তাকে সেই স্থলে প্ৰহর করিবে, এই প্রকার উপক্ৰম । বাবু ব্ৰজ: ত্ব চৌধুরী আচতুর লোক ছিলেন না, লক্ষণ দেখিয়া তৎক্ষণাৎ তিনি বুঝলেন বেগতিক। ৰিপক্ষ বহুতর, তিনি একাকী। তাহার মতাবলম্বী । অথচ প্ৰশংসাকারী যে কয়েকটী লোক সেখানে উপস্থিত ছিল, তাহদের সংখ্যাও নিতান্ত অল্প, গণ্ডগোলাকারিগণের ভাবগতিক দেখিয়া তাহদেরও শঙ্কা হইয়াছিল, তাহদের মুখ দেখিয়া ব্ৰজবাবু সেই ভীতিলক্ষণ বুঝিতে পারিয়াছিলেন। উপায় কি ? এরূপ ক্ষেত্রে বলপ্ৰকাশ করিয়া আত্মরক্ষার চেষ্টা করা নিস্ফল ; তাহাতে বরং বিপরীত ফল ফলিবার সম্ভাবনা । বহুজনতাস্থলে একটু তফাতে তফাক্তে দুই চারিজিন পুলিস-প্রহরী বেড়ায় ; সহস্ৰাধিক লোকের উগ্ৰমূৰ্ত্তির সম্মুখে তাহারাই বা কি করিতে পরিবে ? এই সকল চিন্তা করিয়া ব্ৰজরত্নবাবু স্থির করিলেন পলায়ন । কলিকাতার প্রস্তাভাগে ঐক্কপ সঙ্ঘাটন ; কলিকাতার দিকেই অধিক লোক ; অতএব দক্ষিণদিকে না আসিয়া নিরাপদের আশায় তিনি তখন উত্তরদিকে ধাবিত হইলেন। তঁহার অনুগত লোকেরা গণনায় অল্প ছিল, তঁহাকে রক্ষা করিবার চেষ্টা পরিত্যাগ করিয়া আপন আপনি প্ৰাণ লইয়া যে যে দিকে পাইল, ছড়িতঙ্গ হইয়া সে সেই দিকেই ছুটিয়া পলাইল। মোরিয়া লোকেরা তাহাদিগের পশ্চাদ্ধাবন না করিয়া, মায়, মাক্স শব্দে হো হো করিয়া কৰ্ত্তাল্প পশ্চাৎ পশ্চাৎ দৌড়িল। কৰ্ত্তা তখন কি করেন, প্ৰাণপণে চুটিয়া টুলগার সেতু । পার হইলেন ; সঙ্গে সঙ্গে হাজার লোক । কৰ্ত্ত ছুটতেছেন,-প্রাণভয়ে ছুটিতেছেন,-টালা পার হইয়া বীরপাড়া ও পাইকপাড়ার সোজা রাস্ত ধরিয়া উৰ্দ্ধশ্বাসে ছুটিতেছেন ; পশ্চাদগামী লোকেজ। কিঞ্চিৎ পশ্চাতে পড়িয়ছে, এমন সময় এক অভাবনীয় মহাবিপদ । পৌষমাসের শেষ, বাবুর গায়ে একঘোড়া রক্তবর্ণ শাল ছিল, দ্রুতবেগে ধাবিত হইবার সময় সেই শাল-ষোড়াটা আলুথালু হইয়া বাবুর বুকের দিকে, পশ্চাদিকে শিথিল হইয়া পড়িয়াছিল, দুই দিকের শেষভাগ ভূতলে লুটাইতে- , ছিল, দূৰ্ণ হইতে দেখিতে অতি ভয়ঙ্কর; বোধ হইতেছিল দেন, কি একটা বৃহৎ ।