পাতা:বঙ্গরহস্য - ভূবনচন্দ্র মুখোপাধ্যায়.pdf/২৬৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

也夺博科领罗目 S ( তাহাদিগকে ছড়ি মারিয়া ফিয়াইয়া লইল । লোকেরা অতি সা , ধানে নর্দমায় নামিয়া, ধরাধরি করিয়া বাবুকে ডাঙ্গায় তুলিল। বাৰু অচেতন। দুঃখের কথা না হইলে বলা যাইতে পারিত, যেন শরশয্যাশায়ী ভীষ্মদেব! সেই শীতে বাবুর সর্বঙ্গে জল ঢলিয়া উদ্ধার কর্তা লোকেরা তাহার অঙ্গের সমস্ত কর্দম ধৌত করিয়া দিল। সৰ্ব্বাঙ্গে শালকাটা , অঙ্গের অনেকদূর পর্য্যন্ত খসিয়া গিয়াছিল, টানিয়া বা হার করিবার উপায় ছিল না। দুই একজন লোক দুই একটা কঁাটা ধরিয়া টান দিয়াছিল, অজ্ঞান থাকিলেও বাবু সেই যাতনায় অঙ্কট আৰ্ত্তনাদ করিয়াছিলেন। শুমবাজারের যে সকল লোক তঁহাকে তাড়া করিয়াছিল, তাহারা পাইকপাড়া পৰ্য্যন্ত সঙ্গে সঙ্গে যায় নাই, এখন যেখানে, চিৎপুর রেলওয়ের উচ্চসেতু নিৰ্ম্মিত হইয়াছে, টালার ব্রাহ্মণপাড়ার মোড়ে সেই স্থান পৰ্য্যন্ত গিয়াই তাহারা ফিরিয়াছিল। তাহাদিগকে আর বৈরানির্যাতন করিতে হইল না, বৈৰ ও হইতেই প্ৰতিফল ফলিল । শুrামবাজারে বাণুর গাড়ী ছিল, বাবু যখন পলাইলেন, তখন সে গাড়ী সঙ্গে আইস নাই, জনতার লোকেরা সেখানা রাখিয়াছিল কি ভাঙ্গিয়া দিয়াছিল, তখন তাহা জানা গেল না। চিৎপুরের থানায় খবর হইল, থানার লোকেরা। আসিয়া, খাটিয়ায় তুলিয়া, ব্ৰজবাবুর অচেতন দেহ থানায় লইয়া গেল। ডাক্তার আসিয়া গায়ের কঁটা বাহির করিবার চেষ্টা পাইলেন, কতক উঠিল, কতক উঠিল না। অঙ্গে প্ৰবেশ করিয়া যে সকল কঁাটার মুখ আধা-আধি ভাঙ্গিয়া গিয়াছিল, তাহা বাহির করা দুঃসাধ্য হইল অনেক সেবা-শুশ্ৰষার পর বাবুর অল্প অল্প জ্ঞান হইল, নিদারুণ বেদনায় তিনি ক্ৰন্দন করিত্বে লাগিলেন। শালযোড়াটা ধূলায় ধূসর হইয়া রাস্তায় পড়িয়া ছিল, পুলিসের জিন্মায় তাহ রহিল, পরিহিত বস্ত্ৰখানি নর্দমার কাদায় সমাধি প্ৰাপ্ত হইল। পুলিস একখানি নুতন বস্ত্ৰ দিয়া বাবুর সেই ক্ষতবিক্ষতি দেহ ঢাকিয়া রাখিল। ডাক্তারের পরামর্শে সেই রাত্ৰেই বাবুকে কলিকাতার হাসপাতালে প্রেরণ করা হয় ; সেখানে যথাসম্ভব চিকিৎসা হইলে বাবু চৈতন্যপ্ৰাপ্ত হইয়া হাসপাতালে থাকিতে নারাজ স্থাইলেন, নিজ বাটীর ঠিকানা বলিয়া দিলেন, বাড়ীতেই চিকিৎসা হইবে। হাসপাতালের ডাক্তারেরা তাহাতেই সন্মত হইলেন, বাবুকে বাণীতে প্রেরণ করা হইল ; ভাল ভাল ডাক্তারেরা চিকিৎসা করিতে লাগিলেন।