পাতা:বঙ্গরহস্য - ভূবনচন্দ্র মুখোপাধ্যায়.pdf/২৭৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

এই সকল কথা বলিয়া এক নিশ্বাস ফেলিয়া পিয়ারণানু निखक १६ग তাহার চক্ষু দিয়া দুই ফোটা জল পড়িল। লজ্জা পাইয়া, ডাক্তারদিগের মুখের দিকে চাহিয়া, পিয়ারবানুকে সত্ত্বোধন পূর্বক ভবিরত্ন কহিলেন, “দেখ, তুমি এখন ঘরে বাও, দুর্ভাবনা করি ও না। ডাক্তারবাবুরা বলিতেছেন, বায়ুর প্রাণরক্ষণ হইবার আশা আছে। ঈশ্বর না করুন, ভাল-মন্দ যদি কিছু ঘটে, তোমার কোন ৷ ভয় নাই। বাবু তোমাকে যাহা বলিয়াছিলেন, তাহাই হইবে ; আমি তোমাকে ৰাড়ী কিনিয়া দিব ; তোমার যত টাকা দেনা আছে, সুদে আসলে সমস্তই আমি শোধ করিব ; কোন চিন্তা করিও না। আমার কথা... মিথ্যা । হইবে না। এই বাড়ীতেই আমি থাকিব, তোমার যখন ইচ্ছা হইবে, তখনই আমার সঙ্গে দেখা কারও, যাহা আমি বললাম, তাহাই ঠিক হইবে, এই আমার অঙ্গীকার রী হল। তুমি এখন ঘরে যাও।” * খানিকক্ষণ ইতস্ততঃ করিয়া, আপুন মনে ভাল-মন্দ্ৰ কত কি ভাবিয়া, পিয়ারবানু বিদায় হইল। তাহার বিদায়ের পর ভবরত্ন কিয়ৎক্ষণ সেই রুগ্নশয্যাশায়ী সমাজ-সংস্কারক উপদেশকের চরিত্র চিন্তা করিলেন, রোগী তখনও } নঃসাড় নিন্তব্ধ। ডাক্তারের ইতিপূর্বে র্তাহাকে যে তিন মাত্রা ঔষধ সেবন করাইয়াছিলেন, সে ঔষধ বলকারক, অথচ তাহাতে নিদ্রা হয়। বাবু নিজাগত। ডাক্তারেরা পরস্পর যুক্তি করিয়া ভবিরত্নকে বলিলেন, “এখানে এখন যেন কেক কোন গোলমাল না করে ; নিল্লাভঙ্গের পর যদি জ্বরের লক্ষণ প্ৰকাশ পায়, নিকটেই আমরা থাকি, জানেন আপনি, তৎক্ষণাৎ সংবাদ পঠাইবেন, ♥eቐዳts আমরা আসিয়া নুতন ব্যবস্থা করিব।” ভাজারেরা বিদায় হইলেন, দাসীরা প্রবেশ করিল, দাসীগণকে যথাযোগ্য উপদেশ দিয়া ভষরত্ন বাহির-মহলে গমন করিলেন। রাত্রিকালে গৃহিণী আসিয়া । আবশ্যকমত কাৰ্য্য নিৰ্বাহ করিলেন। কতক্ষণ পরে বাবুর নিদ্রাভঙ্গ হইয়া- ? ছিল, জ্বরের লক্ষণ প্ৰকাশ পাইয়াছিল কি না, ভষরত্ন তাহা জানিতে পারিলেন। না। গৃহ হইতে যখন তিনি বাহির হইয়া ৰ নি, তাহার নিজের লেখা ও অর্ধসমাপ্ত । মুহুরীর লেখা কাগজগুলি সঙ্গে লইয়া গিয়েছিলেন, এইখানে সেই কথাটী-ৰলিয়া । ፹ পরদিন প্রভৃঃকালে রোগীর গৃহে প্রবেশ করিয়া অবিরত্ন দেখিলেন, তিনি।