পাতা:বঙ্গরহস্য - ভূবনচন্দ্র মুখোপাধ্যায়.pdf/৩৭৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মাথা হেঁট কঢ়িয়া রূপচাঁদ তখন ছেলেটকে শাস্ত করিতে লাঙ্গিল, পূৰ্ব্বছাড়িয়া দিয়া, একজন দাসীকে ডাকাইয়া । नम्रौद्र অস্থারের আয়োজন কািরয়া দিতে বলিল । সেই দিন অপরাহে রামসুন্দরবাবু পুণবায় আসয়া উভয়ের সকল বা থঃ শুনিলেন। স্নান করতে যাইবার সময় তঁহর মুখে যে হাসি আসিয়াছিল, তাহার ফল ফলিল। পরদিন প্ৰভাতে ক্ষৌরকার ডাকিয়া, গোপ-দাড়ী ও ৬ টা মুড়াই সু! সেই সন্ন্যাসীকে স্নান করাইয়া নববস্ত্ৰাদি পরিধান করান হইল ; তাহার নাম কুইল খড়গারাম গোস্বামী। রূপচাঁদ ও খড়গারাম একসঙ্গে এক বাড়ীতেই বাল করতে লাগিল। কি জাতি, কি বৃত্তান্ত, কিছুই জানা ছিল না, রূপচাঁদের পূর্বসেবাদাসী ত্রিপুরাসুন্দরী ঘট কালী করিয়া রূপচাঁদের বিবাহ দিয়াছিল, সেই ত্রিপুরাসুন্দরীই আবার একজন বৈষ্ণবীর কন্যার সহিত খড়গরামের বিবাহ দিয়া দিল । বৎসরান্তে খড়গরামেরও একটী পুত্র জন্মিল, সন্ন্যাস ভুলিয়া খড়গারাম দিব্য সুখম্ব ছন্দে রূপচাদের বাড়ীতে সংসারযাত্ৰা নির্বাহ কয়িতে লাগিল । কগ্নিকাবাস্তে দুইজন সন্ন্যাসী সন্ন্যাসাশ্রম ত্যাগ করিয়া ঐরূপে গৃহস্থাশ্রমে প্ৰবেশ করিয়াছিল, পত্নীকাবাস্তে সয়ারাম চট্টোপাধ্যায় আপন ভ্রাতৃদ্বয়ের সহিত স্বধৰ্ম্ম পরিত্যাগ করিয়া যৈশব ধৰ্ম্মে দীক্ষিত হওয়াই কর্তব্য স্থির করিলেন। যেমন মন্ত্রণ স্থির, তেমনি সঙ্গে সঙ্গে গৃহ ত্যাগ । মিহিরকুমারকে লইয়া ভঁাহাঃ ! তিন সহোদরে সেই শনিবার রাত্রেই বিবির বাড়ীতে চড়িয়া গেলেন, রবিবার । প্ৰাতে উপযুক্ত গির্জামান্দরে তঁাহারা আঁটজনেই যিশুমন্ত্রে দীক্ষণ-গ্ৰহণ করিলেন। উমাকালী বিধবা হইয়াছিল, দ্বিতীয়বার বিবাহ করিতে তাহার কোন বাধা ছিল না, স্বয়ম্বর হইয়া সে তখন তাহার পূর্ব-অনুরাগপত্র জর্জ রবিনসনকে বিবাহ করিল। নরেশনন্দিনীর উপর বালক রবিনসনের লোভ পড়িয়ছিল, কিন্তু নরেশনন্দিনীর স্বামী যৈশব ধৰ্ম্ম গ্ৰহণ বরাতে প্রকাশ্যরূপে তাহার সেই লোভবৃত্তি চরিতার্থ হইতে পাইল না। ■ অন্তঃপুরে নারীশিক্ষায় সৰ্ব্বত্রই এইরূপ ফল, এমন কথা বলা হইতেছে না ; তবে কি না, যেঃস্থলে স্বধৰ্ম্মের বিপরীত উপদেশ, স্বধৰ্ম্মের নিন্দ এবং আনুষঙ্গিক প্রলোভন থাকে, সে স্থলে ক্ৰমে ক্ৰমে বিষময় ফল উৎপন্ন হওয়া বিচিত্ৰ কথা নহে। আমাদের রমণীগণের যেরূপ শিক্ষা হওয়া আবশ্যক, যেরূপ শিক্ষা প্রার্থনীয়, বর্তমান