পাতা:বঙ্গরহস্য - ভূবনচন্দ্র মুখোপাধ্যায়.pdf/৩৮৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Er 8 दक्षट्श्छ বিহারে, তরণী:বিহারে, নির্জনবিহারে আনন্দলাভ করা যায়, কোন দিকে কোন • বাধাই থাকে না। উভয় পক্ষের মনোগত ভাবের সার সংগ্ৰহ করিয়া বুঝিয়া আইলে এই ফল পাওয়া যায় যে, শীঘ্ৰ শীৰ হিন্দুসমাজের অধঃপতন। খৃষ্টাশ্রয় গ্ৰহণ করলে হিন্দু নারী হিন্দু সংসার পরিত্যাগ করে, আর কোন কারণে পরিত্যাগ করিয়া যায় না, এ কথাও ঠিক নহে। বৰ্ত্তমান যুগের অপর এক আখ্যা উপধৰ্ম্মের যুগ । হিন্দু নারী যে কোন উপপৰ্ম্মেৰ দাসী হয়, সেই উপধৰ্ম্মই তাহাদিগকে মাতৃসমাজ হইতে বাহির করিয়া লইয়া যায় ; তখন আর তাহারা পিত্ৰালয়ের সহিত—শ্বশুরালয়ের সহিত কোন সংস্রব রাখিতে পারে না। সমাজ তক্ষত্তই আক্ষেপ করিতে পারেন, কিন্তু তাহারা তাহাতে আনন্দ পায়। আনন্দলাভের নিগৃঢ় কারণ ধৰ্ম্ম নহে, ভক্তি নহে, বিশ্বাস নহে, প্রধান কারণ স্বাধীনতা লাভ। হিন্দু-নারীকে লইয়া ব্ৰাহ্ম-সমাজে দলাদলি হইয়াছে; সেই দলাদলির ফলে এ পর্য্যন্ত কতকগুলি হিন্দু-নারী স্বাধীন হইয়া পিত্ৰালয় হইতে, শ্বশুরালয় হইতে বাহির হইয়া গিয়াছে, যাহারা তালিকা রাখতে জানেন, তালিকা রাখা যাহাঁদের প্রয়োজন, তঁহারই তদ্বিষয়ের সাক্ষী হইবেন । । সংসারে যাঁহাদের মাতা-পিতা বৰ্ত্তমান নাই, তাদৃশ পুরুষরা উপধৰ্ম্মের সেবক হইলে নিজে নিজেই সংসারের কৰ্ত্ত হন, কঁহাদিগকে সংসার ত্যাগ করিয়া যাইতে হয় না ; তঁহাদের রমণীরাও ঘরে বসিয়া স্বাধীনতা-সুখ উপভোগ করিতে পায়। ইহা এক প্ৰকার মন্দের ভাল, ফল কিন্তু এক । স্বামী উপধৰ্ম্ম গ্ৰহণ করিলে স্ত্রী যদি তাহার অনুগামিনী হইতে না চায়, তাহা হইলে স্বামী তাহাকে বাহির করিয়া আনিবার জন্য স্বতঃ পারত নানা প্রকার প্রলোভন দেখায়। স্ত্রীর যদি লেখাপড়া জানা থাকে, পুনঃ পুনঃ ডাকযোগে পত্র লিখিয়া স্বামী তাহাকে অনেক প্রকার উপদেশ দেয়। দুই একটা দৃষ্টান্ত আমাদের জানা আছে। হুগলী জেলার এক ব্ৰাহ্মণ-কন্যা যৌবনের অন্ধুর পিত্ৰালয়ে বাস করিত, বাঁকুড়া জেলায় তাহার শ্বশুরালয় ; তাহার স্বামী খৃষ্টধৰ্ম্ম গ্ৰহণ করে, যত দিন সেই কথা তাহার শ্বশুরপরিবারের কর্ণগোচর হয় নাই, তত দিন সেই স্বামী মধ্যে মধ্যে রাত্ৰিযোগে গোপনভাবে শ্বশুরালয়ে যাইয়া স্ত্রীর সহিত সাক্ষাৎ করিত ; শ্বশুরালয়ে আহারাদি করিত না, তাহার স্পেষ্ট অথবা উচ্ছিষ্ট পাছে কেহ খায়, কিঞ্চিৎ ধৰ্ম্মজ্ঞানপ্রভাবে সে জন্য সাবধান থাকিত। দুই তিন মাসের মধ্যে পাঁচ সাতবার সেই ব্যক্তি