পাতা:বঙ্গরহস্য - ভূবনচন্দ্র মুখোপাধ্যায়.pdf/৪৪৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

চতুর্দশ শুরঙ্গ । 88) করেন, তাহা অনির্বাচনীয় ; যে সকল রসিক পুরুষ মহাকৌতুকে শ্ৰীন রূমের মধ্যে নায়িকাগণকে পোষাক পরাইয়া দেন, তাঁহাদের আচরণের কথা মন হইলে আপনাদিগকেই ধিক্কার দিতে ইচ্ছা হয়। এইখানে আর একটী কুপ্রথার কথা अभि रविद ।” নারী-সংসার-তরঙ্গে আমরা যে একটী কথা বলিতে ভুলিয়াছিলাম, নীলাম্বর- ; বাবু এইখানে সেই কথাটী তুলিলেন। তিনি বলিলেন, “আমাদের অন্তঃপুরে কুলকামিনীরা প্ৰকাশ্য থিয়েটারে অভিনয় দেখিতে আরম্ভ করিয়াছেন । গহনাবস্ত্র পরিয়া যুৱতী কুলবধুৱা পৰ্যন্ত থিয়েটার দেখিতে যান। তঁহাদের স্বামীগণ আহলাদ প্ৰকাশ পূর্বক তাহাদিগকে থিয়েটার দেখাইয়া আমোদিনী করেন! শনিবার, রবিবার, বুধবার এই তিন রজনীতেই কুলকামিনীদের জন্য গাড়ী গাড়ী পাশ ! কেৰল কলিকাতার অন্তঃপুরপিঞ্জরের বিহঙ্গিনীগুলি থিয়েটারে উড়িয়া যায়, তাহাও নহে, কালকাতার চারি পাঁচ ক্রোশ দূরবর্তী, এমন কি, তদপেক্ষাও অধিকদূরবর্তী পল্লীগ্রামের কীৰ্ত্তিমান পুরুষেরা আপনাদের নব নব বিহঙ্গিনীগণকে কলকাতার থিয়েটারে উড়াইয়া আনিয়া বাহাদুরী দেখাইতেছেন। ইহার ফল যে কি হইবে, তাহা আমি ভাবিয়া পাইতেছি না। কৃষ্ণ-নারদ-সংবাদে কৃষ্ণ বলিয়াছিলেন, বহু পুরুষের সঙ্গে একত্র বাস, নিরন্তর গতির প্রবাস এবং যাত্রোৎসবে সঙ্গতি এই তিন কারণে স্ত্রীজাতির সতীত্ব কম্পিত হয়, অন্তরে অন্তরে চরিত্র দুষিত হইয়া আইসে। ভগবানের এই বাক্য এখনকার উন্মত্ত যুবকগণের মনেও আইসে না, হয় তা শ্রুতিগোচরও হয় না।” পুরন্দরবাবু দীৰ্ঘনিশ্বাস পরিত্যাগ করিলেন, কলিকাতায় থাকিতে আর তাহার ইচ্ছা থাকিল না। স্বদেশে গিয়া বিষয়-কাৰ্য্যের বন্দোবস্ত করিয়া দিয়া তিনি কাশীধামে যাত্ৰা করিবেন, এই তাঁহার সঙ্কল্প হইল। সে রাত্রে আর কোন কথা উঠিল না, নীলাম্বরবাবু বিদায়গ্ৰহণ করিলেন, পুরন্দরবাবু মনে মনে নানা বিষয় আন্দোলন করিতে করিতে নিদ্ৰাগত হইলেন। পরদিন ডাকযোগে তঁহার নিকট এক পত্র আসিল। রামদায়ালবাবুর পত্র। পাঠ করিয়া তিনি অবগত হইলেন, সেখানে যে মকদ্দমা হইতেছিল, সেই মকদ্দমার বিচার শেষ হইয়াছে। দর্পনারায়ণ গাঙ্গুলী সাত বৎসরের জন্য কারাবাসের দণ্ডাজ্ঞা প্ৰাপ্ত হইয়াছেন, বীরভদ্র ভট্টাচাৰ্য্যের পাঁচ বৎসর,