পাতা:বঙ্গরহস্য - ভূবনচন্দ্র মুখোপাধ্যায়.pdf/৮৩

ਅਕ ਚ . দেই প্রকারে স্থাপিত হইল । জীবনবন্ধুর সহিত ভবতরণের একদীিও কথা নাই • জীবনবন্ধু কোন কথা জিজ্ঞাসা করিলে ভৰতারণ উত্তর দেন মন্ত, মুখ ফিরাইয়া । খসেন, সম্পূর্ণ ভাবান্তর । পাঁচ দিন এই ভাব। জীবনবন্ধু কোন না কোন প্রকারে বুঝতে পাৰিলেম, । ভঁহাকে প্রহার করিয়া পুলিসের গোল্কের হাতে ধরাইয় দেওয়া জটাঙ্গুরীয় । সঙ্কল্প। ভবতারণের উদ্যানবাটীতে যত লোকের সঙ্গে জীবনবন্ধুর আলাপ হুইয়াছিল, তাহারা সকলেই এখন ভীক্ষ। যাহাদিগকে তিনি বন্ধু বলিক্স জানিয়া ছিলেন, এখন তঁহাকে দেখিলে তঁহায়া সকলেই মুখ ভারী কল্পেন, কেহই আর ভাল করিয়া কথা কহন না। যদিও দুই একটা কথা হয়, তাহাও । বড় বড় ফৌজদারী-মোকদ্দমার নজীর । কোথায় কোন আসামী কি প্রকার নিষ্ঠুর কার্য্য করিয়া কি প্রকারে ধরা পড়িয়াছিল, কি প্রকার সাজা পাইয়াছিল; সেই সকল কথাই বেশী হয়। জীবনবন্ধু তাঁহাদের কোন কথা বুঝিরা উঠিতে পারেন না। তঁহার প্রতি সকলেরই ঔদান্ত, সকলেরই ক্ৰোধ, সকলেরই ঘুণ। লোকের যখন এইরূপ অবস্থা ঘটে, তখন তাহার মনে কিদুমাত্ৰও শাস্তি থাকে না ; নিরীহ জীবনবন্ধুর হৃদয়েও শান্তি নাই। আহার করেন, তাহা কেবল প্রাণধারণের জন্য ; কথা কহেন, তাহা কেবলী না কহিলে নয়, সেই জন্য। সকল কাৰ্য্যেই উদাসীনভাব, সঙ্গে সঙ্গে যেন কোন প্রকার অজ্ঞাত আতঙ্ক । নিত্রী আসলেই নাই। পাঁচ দিন পাঁচ রাত্রি এই ভাবে কািটল। জীবনবন্ধু ঐ রূপ ভাব আর অধিকদিন সহা করিতে পরিবেন না, এইরূপ স্থির বুঝিলেন। দুষ্টলোকে কুচক্ৰ সৃষ্টি করিয়া তাহাকে কোন প্রকার মহা ৰিপদে ফেলিতেছে, ইহা যেন তিনি কাহার উপদেশে মনে মনে বুধিয়া লইলেন । চক্রান্তকাদীরা তঁহাকে প্রহার করিবে, অপমান করিবে, মিথ্যা অপবাদে ধরাইয়া দিবে, বড় ভয়ঙ্কর । ভবেন। সে স্থানে থাকিলে আর মঙ্গল নাই, কখন কি ঘটে, সৰ্ব্বদাই এই ভয়। মিত্রপুরী এখন শক্ৰপুৰী, শত্রুপক্ষের লোকেরা ভিতরে ভিতরে কি, যে - চক্ৰজাল বিস্কার করিয়াছে, তাহা জানিবারও কোন উপায় নাই। এরূপ অবস্থা বড় ভয়ঙ্কর অবস্থা, স্থানটা পরিত্যাগ করাই শ্ৰেয়ঃ । যেখানে নিরাপদে। থাকিবার কোন সম্ভাবনা নাই, অনিশ্চিত আপদের দুর্ভাবনায় অন্তরাত্মা যেখানে । অন্তর্দাহে অংশগ্ৰহঃ অনুক্ষণ (খ্ৰীভূত হষ্টতে থাকে, প্ৰবোধ দিবার অথবা সত্য । - « » à :