পাতা:বঙ্গের জাতীয় ইতিহাস (কায়স্থ কাণ্ড, পঞ্চমাংশ, উত্তররাঢ়ীয় কায়স্থ কাণ্ড, তৃতীয় খণ্ড).djvu/১২৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কাপ্তপ গোত্র দাসবংশ। ] উত্তরপ্লাষ্ট্রীক্স কাশ্লস্থ-কাণ্ড 'ృడ\లి কৃষ্ণসাগর এবং মহম্মদপুরের রামসাগর ও মুখসাগর প্রধান । মহম্মদপুর অধুনা জঙ্গলময় হইলেও রামসাগরের জল বরাবর সমান আছে। এখনও সুন্দর স্বচ্ছ জল-শৈবলিদামের চিহ্ন নাই-এরূপ প্রাচীন অথচ এরূপ স্বচ্ছসলিল সরোবর বোধ হয় বাঙ্গালায় আর দ্বিতীর নাই। এখন জলাশয়ের আয়তন অনেকটা কমিয়া আসিলেও আজও জলাশয় দৈর্ঘ্যে ১৬০০ ও প্রস্থে ৬০০ হাত হইবে। পাহাড় সহ ধরিলে বেড় প্রায় ২০০ বিঘা হইবে। সীতারাম যে কেবল দেবকীৰ্ত্তি ও জনহিতকর কার্য্য করিয়া ক্ষান্ত ছিলেন, তাহা নহে। নিজ পদগৌরব অক্ষুণ্ণ রাখিতে হইলে উপযুক্ত ধনজনের প্রয়োজন,তাহ বিলক্ষণ বুঝিয়াছিলেন। এজন্ত তিনি নিজ রাজধানীতে সৈন্তসংগ্রহ, কোষবৃদ্ধি ও অস্ত্রাগার পূর্ণ করিতেছিলেন। যাহার চুরি ডাকাত করিয়া চলাইত, অথচ কোন দিন চাষবাসে মন দেয় নাই,-তাহাদের জীবিকার পথ রুদ্ধ হওয়ায় এখন তাহারাই দলে দলে আসিয়া সীতারামের সেনাদলে প্রবেশ করল । তাল্পদিন মধ্যেই সীতারামের অধীনে বহু সহস্ৰ যোদ্ধা নিযুক্ত হইল। তাহীদের সাহায্যে সীতারাম ভাটরাজ্য শাসন ও জঙ্গলময় প্রদেশে বহু প্রজা পত্তন করিয়া ভাবী আয়ের পথ প্রশস্ত করিয়াছিলেন । সুবাদারকে তাহার কৃতিত্বের পরিচয় দিয়া তাহার প্রশংসাভাজন হইয়াছিলেন । তিনি সুন্দরবনের যে আবাদী সনন্দ পাইয়াছিলেন, তাহাতে কোন সীম। নির্দেশ ছিল না । সুতরাং এই সনদ বলে সীতারাম নিকটবৰ্ত্ত ক্ষুদ্র জমিদারগণের অধিকার গ্রাস করিতে লাগিলেন । বিনোদপুর নবগঙ্গার তীর পর্য্যস্ত র্তাহার অধিকার ছিল, বিনোদ পুরের অপরপরে সত্ৰাজিংপুর বা শত্রুজিৎপুর । এখানে বীরভূঞার অন্ততম মুকুন্দরামের বংশধর কালীনারায়ণ চাকলা ভূষণার অন্তর্গত রূপ পাত, পোকতানি, কঞ্চনপুর প্রভূতি ক্ষুদ্র পরগণার ও মলদার কচুবড়িয়ার জমিদার ছিলেন, তাহার পৌত্র কৃষ্ণ প্রসাদের মৃত্যুর পর ঐ সকল সম্পত্তি তাহীম নাবালক পুত্রের হস্তে পড়ে। এই নাব্যলক্ষ কে ফাকি দিয়া অনেকে আয় ভোগ করিবার চেষ্টা করিতেছিল । সীতারাম প্রথমেই নাবালকের জমিদারী দখল করিলেন । নীবালকের সমস্ত খরচাই পাইতেন । তবে রাজস্ব নববসরকারে না গিয়া সীতারামের কোষাগারে জমা হইত। তৎকালে মামুদশাহী পরগণা নলডাঙ্গার রাঙ্গার অধিকারে ছিল। সীতারামের সেনাপতি মেনহোতী গিয়া পরগণার পুৰ্ব্বংশ আক্রমণ করেন । রাজা রামদেব সীতারামকে পূৰ্ব্বভাগ ছড়িয়া দিয়া সন্ধি করিলেন । (এই সম্পত্তি পরে নাটোররাজের অধিকারে যায় । ) ক্রমে ক্রমে পদ্মার পাশ্ববর্তী অধিকাংশ ক্ষুদ্র জমিদারই সীতারাম দখল করেন। • পাবনা জেলার কতকটা তাহার অধিকারভুক্ত হইয়াছিল। এইরূপে নব অর্জিত জমিদারীগুলির সমস্ত আয় তিনিই গ্রহণ করিতেন, নবাবের নিকট কোন রাজস্ব পঠাইতেন না। সীতারাম কেবল দসু্যদমন বলিয়া নহে, বিদ্রোহী পাঠানদিগকে জয় করিয়া (”” স্ববেদারের অতি প্রিয়পাত্র হইয়াছিলেন। তাহার জায়গীর লাভের পর হইতে বহু জমিদারী দখল করিয়া সেই সেই স্থানের রাজস্ব না পাঠাইলেও নবাব সীতারামের প্রতি