$eషి बेङ्ग कांस्ौश्च डिशंग [ sथै अथjद्र । স্বানে সমুদ্রতীর পরিদর্শন করিয়া তিনি পারসিকজাতিকে যুদ্ধে বিপৰ্য্যস্ত এবং পশ্চিমাট পৰ্ব্বতের পশ্চিমবাসী প্রত্যেক দেশবাসীর নিকট হইতে কর সংগ্ৰহ করিয়াছিলেন। জয়োল্লাসে দৃপ্ত রাজা যশোবর্ম ক্রমে নৰ্ম্মদাতীরে আসিয়া সমুপস্থিত হইলেন। রাজা কাৰ্ত্তবীৰ্য্যের পবিত্ৰকীৰ্ত্তি ও নদীমাহাত্ম্য স্মরণ করিয়া কয়েকদিন তিনি এস্থানে অবস্থান করেন। পরে সমুদ্রতীরে নিৰ্ম্মলবায়ু সেবনপুৰ্ব্বক রণক্লেশ অপনোদনের জন্ত কিছুকাল তথায় অতিবাহিত করিলেন, অতঃপর সদলে মরুদেশ ( মারবাড়) ও শ্ৰীকণ্ঠ ( থানেশ্বর ) অতিমুখে অগ্রসর হইলেন। থানেশ্বরে জন্মেজয়ের ‘সর্পপত্রের কথা স্মরণ করি তিনি সেই পবিত্ৰক্ষেত্রে কএক দিন যাপন করিয়াছিলেন, তদনঃর কুরুক্ষেত্রে জলক্রীড়া সমাপন করিয়া ভারতীয় যুদ্ধের খ্যাতনাম যোদ্ধা কর্ণের রণক্ষেত্র-সন্দর্শনে আগমন করেন। কুরুপাওবগণের সেই লীলাক্ষেত্র হইতে ক্রমে রাজা যশোবর্শ্ব অযোধ্যানগরীতে আসিয়া উপনীত হইলেন। এখানে তিনি এক দিনে একটা সুরপ্রাসাদ ( মন্দির) নিৰ্ম্মাণ করাইয়াছিলেন। অতঃপর মন্দরপৰ্ব্বতবাসী জনগণকে পরাভব করিবার মানলে যাত্রা করেন । মন্দরবাসী তাহার বগুতা স্বীকার করিলে তিনি স্বেচ্ছাপ্রণোদিত হৃদয়ে যক্ষেশ্বরের বিলাসভূমি হিমালয়প্রদেশে গর্মান করিলেন। এইরূপে রাজ্যবিজয়বাসনা সমাপন করিয়া রাজ্যেশ্বর যশোবন্ম। স্বরাজ্যে প্রত্যাবৃত্ত হইলেন। রাজভবনে আনন্দ উৎস ছুটিল । রাজা অধীনস্থ সামন্ত ও সমভিব্যাহারী বিজিত রাজন্যগণকে সোৎস্থকে বিদায় দিলেন। গৌড়বিজয়ের পুকুইনি যে সকল রূপমাধুৰ্য্যময়ী মাগধ রাজকুল-ললনাকে বন্দিনীরূপে আনিয়াছিলেন, ੰ ষ্ঠায় সেই সকল রাজকুলবধু কনোজ-রাজদরবারে সর্বসমক্ষে তাহার রাজশ্ৰীমণ্ডিত বরবপুতে চামর দুলাইয়াছিল। কবি বাকুপতি যেরূপ উজ্জ্বলভাষায় ও যেরূপ উৎসাহে তাহার ‘গৌড়ৰধ' মহাকাব্য আরম্ভ করিয়াছেন, তাহার প্রতিপালক যশোবন্মার বিজয়কাহিনী যেরূপভাবে প্রথমে কীৰ্ত্তন করিয়া গিয়াছেন, আশ্চর্য্যের বিষয় যে, তিনি গৌড়বধকাহিনী লিখিয়াই যেন কোন আকস্মিক কারণে, যেন কোন দৈব-দুর্ঘটনায় তাহার মহাকাব্যের নায়কের শেষে আর সেরূপ পরিচর দিতে পারিলেন না। যে গৌড়রাজকে বধ করিয়া যশোবন্ম যশোভাজন হইয়াছিলেন, কবি যেন সেই গৌড়রাজের নামট পর্য্যন্ত প্রকাশ করিবার আর অবসর পাইলেন না, ইহার কারণ কি ? সে দুর্ঘটনার কথা কবি বাকৃপতি প্রকাশ করেন নাই বটে, কিন্তু রাজতরঙ্গিণী হইতে তাহার এইরূপ জাভাস পাইয়াছি,— “পৰন যেখানে কন্যাগণকে কুজ করিয়া দিয়াছিলেন, সেই গাধিপুরে (কান্তকুঞ্জে ) অতি অল্পকালমধ্যে রাজা যশোবন্মার ৰাহিনীদল বিক্ষোভিত করিয়া নরপতি ললিতাদিত্য প্রতাপে আদিত্যের স্থায় উদ্দীপ্ত হইয়াছিলেন। এই সময় মতিমান কান্তকুজপতি উদ্দীপ্ত ললিতাদিত্যকে যে পৃষ্ঠপ্রদর্শনপূৰ্ব্বক আপ্যায়িত করিয়াছিলেন, তাছাতে তিনি নীতিজ্ঞ ও বিচক্ষণগণের নিকট বিশেষ প্রীতির পাত্র হইয়াছিলেন । কিন্তু রাজা যশোবর্ষার র্যাহারা সহায় ছিলেন, তাহারা এ কার্ধ্যে বড়ই অভিমানগ্রস্ত হইয়াছিলেন। তাহ না হইৰেই ৰ৷
পাতা:বঙ্গের জাতীয় ইতিহাস (কায়স্থ কাণ্ড, প্রথমাংশ, রাজন্য কাণ্ড).djvu/১১০
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।