$br বঙ্গের জাতীয় ইতিহাস [ sझ बिश्]ां । তিনি কারন্থগণকে করাধিকারী বলিয়া প্রকাশ করিয়াছেন।” এই সময়ে বা ইহারই অতি অল্পকাল পরে রাঢ়ীয় ব্রাহ্মণ প্রবর শূলপাণি র্তাহার দীপকলিকানায়ী যাজ্ঞবল্ক্যটীকায় কায়স্থকে রাজ-সম্বন্ধ-প্রযুক্ত প্রভাবশালী’ বলিয়া অভিহিত করিয়াছেন। সুতরাং ভাষ্য ও টীকার সাহায্যে আমরা বুঝিতে পারিতেছি, যাজ্ঞবল্ক্যের বাৰু কেবল গণক বা লেখক নহেন, তাহারা অতি প্রাচীনকাল হইতেই করাধ্যক্ষের ( Revenue officer ) কাৰ্য্য করিয়া আসিতেছেন। তাতাদের হস্তে করাধিকার থাকায় তাহার একপ্রকার প্রজাগণের দওমুণ্ডের কর্তা ছিলেন। তাহাদের লেখনীর তাড়নায় যে কোন-প্রজার সহজেই ভাগ্যবিপৰ্য্যয় ঘটিতে পারিত। র্তাহার রান্ধ-সম্বন্ধ-প্রযুক্ত কিরূপ প্রভাবশালী ছিলেন, তাহ অশোকের স্তন্তলিপি হইতেই অনেকটা পরিচয় পাওয়া গিয়াছে। পাছে তাহার কোন প্রকার অন্তায় আচরণ করেন, সেই জন্যই তাঙ্গাদের উপর লক্ষ্য রাখিবার রাজার বিশেষ ব্যবস্থা হইয়াছিল। অশোকলিপির রাজুকই বিজ্ঞানেশ্বরের রাজবল্লভ হইতেছেন। সুপণ্ডিত বুলার আলোচনা করিয়া দেখাইয়াছেন, অশোকের উক্ত স্তম্ভলিপিগুলি যখন প্রচারিত হয়, তখন প্রিয়দর্শী বৌদ্ধধৰ্ম্ম গ্রহণ করেন নাই। তখনও তিনি ব্রাহ্মণ, বৌদ্ধ ও জৈনদিগকে সমভাবেই দেখিতেন। তখনও পর্য্যন্ত তিনি সাধারণ জ্ঞানমার্গে বা ব্রাহ্মণ-প্রবর্হিত রাজনীতি অনুসারে পরিচালিত হইতেছিলেন।” এরূপস্থলে মৌর্য্যসম্রাটু রাজুকগণের উপর যেরূপ যুগান ও অধিকার প্রদান করিয়াছিলেন, তাহ পূৰ্ব্বপ্রথারই অনুবর্তন ৷ ‘অভিষেকের উনত্রিংশ বর্ষ পরে অশোক বৌদ্ধ ধৰ্ম্মে দীক্ষিত হন । এই সময় হইতেই বৌদ্ধধৰ্ম্মের প্রতি র্তাহার একান্ত নিষ্ঠ বা গোড়ামি বাড়িয়া যায়।’ তাহার অতি প্রিয়পাত্র রাজুকগণও যে র্তাগর মতাম্ববৰ্ত্তী হইয়াছিলেন, তাহা অস্বীকার করা शीघ्रं न ! পৰ্ব্বতগাত্রে খোদিত অশোকের তৃতীয় অনুশাসন হইতেও আমরা জানিতে পারি যে, রাজুক,গণ কেবল শাসন বা রাজস্ববিভাগে সৰ্ব্বময় কর্তা ছিলেন, তাহী নহে, ধৰ্ম্মবিভাগেও তাহাদের বিশেষ কর্তৃত্ব ছিল, তাহারা মৌর্য্যসম্রাটু কর্তৃক ধৰ্ম্মমহামাত্রপদেও অধিষ্ঠিত হইয়াছিলেন ( ১২ ) "কায়স্থা: করাধকৃতl:' ( অপরাক ) (১৩) “কারী রাজসম্বন্ধাৎ প্রভবিষ্ণুভি: (শূলপাণিকৃত দীপঙ্কলিকা টীকা (ss) I believe it to be certain that Piyadasi-Asoka had not yet joined the Buddhists when the Pillar edicts where completed. His conversion to Buddhism fell, as I shall show in a new discussion of the Sal isram and Rupnath edicts, in the twenty-ninth year of his reign. Up to the end of his twenty-seventh year he continued to preach and otherwise to work for the spread of that general morality which all Indian religions, based on the Jniinamārya or path of knowledge prescribe for the people at large and which is common to the Brahmans, Jainas and Buddhists”. Epigraphia Indica, Vol. II, p. 246.
পাতা:বঙ্গের জাতীয় ইতিহাস (কায়স্থ কাণ্ড, প্রথমাংশ, রাজন্য কাণ্ড).djvu/৩৪
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।