পাতা:বঙ্গের জাতীয় ইতিহাস (কায়স্থ কাণ্ড, প্রথমাংশ, রাজন্য কাণ্ড).djvu/৭৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

जांकेि कांबइ-ब्रांछदश् ॥ ] রাজন্য-কাণ্ড । ●臀 পূর্ণ, সযত্নে সৈন্যগণ দ্বার স্বরক্ষিত। সেই পুরের অধিবাসিগণ সৰ্ব্বদাই আননে মগ্ন থাকিতেন, কর্ণসেনের প্রভাবে রাজ্যে কোন শত্রই ছিল না। সেই কর্ণরাজের দেবাংশে এক কুমার জন্মগ্রহণ করেন, তিনি বৃষকেতু নামে ভারতে প্রসিদ্ধ। তাছার শুভ অন্নপ্রাশনের দিন লঙ্কেশ্বর বিভীষণ কর্ণপুরে আসিয়াছিলেন, তাহার আগমনে এখানে সুবর্ণবৃষ্টি হইয়াছিল, তজন্ত (কর্ণের রাজধানী) কর্ণস্বর্ণ নামে প্রসিদ্ধ হইয়াছিল। রাজার অনুজ্ঞায় ‘দেব" উপাধিধারী সকল কায়স্থই কর্ণপুরে আগমন কুঙ্কন, তাহার শাণ্ডিল্য,মোঁদগল্য, বাৎস্ত, পরাশর, ভরদ্বাজ, স্কৃতকৌশিক ও আলম্যান এই ত্রে বিভক্ত। ইহারা সকলেই "কর্ণস্বর্ণ বা কাগসোণা সমাজের ‘দেব বলিয়া পরিচিভ। মধ্যে শাণ্ডিল্য দেবগণই ফুলনায়ক হইয়াছিলেন। বহুকাল পর্য্যস্ত সকলে সেই স্থানে বাস করিয়াছিলেন। সেই যুদ্ধতৎপর নানা গোত্রে বিভক্ত দেৰগণ অঙ্গবঙ্গের মধ্যে বহু রাজ্য স্থাপন করিয়াছিলেন। @ উদ্ধৃত কুলবিবরণ হইতে প্রমাণিত হইতেছে যে, বঙ্গে দাতাকৰ্ণ নামে প্রসিদ্ধ কর্ণস্বর্ণ বা কর্ণসুবর্ণরাজ্যপ্রতিষ্ঠাতা রাজা কর্ণসেন ক্ষত্রপ কায়স্থরাজবংশে জন্মগ্রহণ করেন, তাহার শাণ্ডিল্যগোত্র ও দেব পদ্ধতি। তাহার পূর্বপুরুষগণ প্রথমে হরিদ্বারের নিকট বাস করিতেন, তৎপরে মগধে আসিয়া বাস করেন। র্তাহারা অঙ্গবঙ্গের মধ্যে নানাস্থানে রাজ্যপ্রতিষ্ঠা করিয়াছিলেন। রাজা কর্ণসেন ভাগীরথীর সন্ধিস্থানে নিজ নামানুসারে কর্ণপুর রাজধানী নিৰ্ম্মাণ করেন। তাহার পুত্রের অন্নপ্রাশনকালে লঙ্কা হইতে বিভীষণ আসিয়াছিলেন, তৎকালে কর্ণরাজধানীতে এত সুবর্ণদান হইয়াছিল যে পরে ঐ স্থান কর্ণস্বর্ণ বা কর্ণসুবর্ণ নামেণ্ডপ্রথিত হয়। . পূর্বেই লিখিাছি যে, স্বলতানগঞ্জের নিকটবর্তী স্বপ্রাচীন ধ্বস্তস্তুপ হইতে মহাক্ষত্রপ রুদ্রসেনের ২টা মুদ্রা আবিষ্কৃত হইয়াছে। লিপিপৰ্য্যালোচনা করিয়া সুপ্রসিদ্ধ প্রত্নতত্ত্ববিদ কনিংহাম সাহেব ঐ মুদ্রাট খৃষ্টীয় ৪র্থ শতাব্দীর বলিয়া স্থির করিয়াছেন।ঞ্চ তাহার মতে এই রুদ্রসেন মালবের মহাক্ষত্রপবংশীয় স্বৰ্য্যসেন বা সত্যসেনের পুত্র। কিন্তু আমরা ঐ রুদ্রসেনকে মালবের শকক্ষত্রপবংশীয় বলিয়া মনে করি না । মালবে ৫০ জনের অধিক শকক্ষত্রপ রাজত্ব করিয়া গিয়াছেন এবং তাঁহাদের বহুশত মুদ্রা আবিষ্কৃত হইয়াছে। এই সকলের মধ্যে রুজসেন একজন বিশেষ পরাক্রমশালী নৃপতি ছিলেন বলিয়া মনে হয় না। অথচ এদেশে এই সীমান্ত নৃপতির মুদ্র পাওয়া গেল, কিন্তু তৎপূর্ববর্তী পরাক্রান্ত শকক্ষত্রপগণের আর কাহারও মুদ্র পাওয়া গেল না, তাহাই বা কিরূপে স্বীকার করি ? এরূপস্থলে মালবের রুদ্রসেন ও সুলতানগঞ্জের রুদ্রসেন বিভিন্ন ব্যক্তি বলিয়াই আমাদের মনে হয় । Q উদ্ধৃত কুলগ্রন্থের প্রমাণানুসারে কায়স্থ ক্ষত্রপবংশ হরিদ্বার হইতেই আগমন করেন। শকসম্রাট্রগণের অধীনে ক্ষত্রপরূপে সম্ভবতঃ তাহারা মগধ শাসন করিতেন। গুপ্তবংশের অভু্যদয়কালে মগধ হইতে বিতাড়িত হইয়া প্রথমে অঙ্গে বা ভাগলপুর (স্বলতানগঞ্জ) অঞ্চলে তৎপরে বঙ্গে চলিয়া আইসেন। গুপ্তসম্রাটু সমুদ্রগুপ্তের আলাহাবাদের শিলালিপিতে সমুদ্রগুপ্তের নিকট

  • Cunningham's Arch. Sur. Report. Vol. XV. p. 29-3o,

Wy