পাতা:বঙ্গের জাতীয় ইতিহাস (বৈশ্য কাণ্ড, প্রথমাংশ).djvu/১৩৭

বৈশ্বাসমাজের অভু্যদয় రిJ) বে সময়ে মৌর্য্যবংশ ভারতের সিংহাসন অলঙ্কত করিয়া ছিলেন, কয়েক খানি শিলালিপি, স্তস্তামুশাসন এবং জনশ্রুঞ্জি ব্যতীত সেই শতাব্দীর বিস্তৃত ইতি জয়তি তখানন্দপুরে নাগরকুলমগুনে ইজৰঃ।. ৰঙ্গমাজিকৰ্ম্মকুশলে বিজয়াদিত্যাভিধে বিপ্রঃ ॥২ • • 奪 鬱 তন্ত কুলালঙ্করণং গুহম্বত্তোহস্বৰ্থনীমধেয়োংস্কৃৎ। অস্তাপি যন্ত নাম্ন বংশোহয়ং থ্যাতিমাঞ্জগতি ॥ যত্ন ব্রুং পুরাতণৈ: কবিভিঃ । আনন্দপুরসমাগতবিপ্রকুলানন্দনে মহীদেবঃ । জয়তি শ্ৰীগুহদত্তঃ প্রভবঃ শ্ৰীগুহিলবংশস্ত ॥” ৮ একলিঙ্গ দেবতার এবং বৈজবাপ ( গোত্রের ) জয় হউক। তন্ত্রপ, বিজয়াদিত্য নামক আনন্দপুরস্থ ‘নাগরকুলমওন’ ’বজনাদি কৰ্ম্মককুশল’ ‘মহীদেৰ’ বিপ্রেরও जब হউক । স্বার্থক নাম গুছদত্ত তাহার (মহাদেবের ) কুলের অলঙ্কারস্বরূপ জন্ম গ্রহণ করিয়াছিলেন। ইহার নামে এই বংশ আজ পর্য্যন্তও জগতে খ্যাতিমান রহিয়াছে। পুরাতন কবিগণও বলিয়া গিয়াছেন,— আনন্দপুরসমাগত বিপ্রকুলানন্দন ঐগুহিলবংশের প্রতিষ্ঠাতা মহীদেৰ ( ব্রাহ্মণ ) শ্ৰী গুহদত্তের জয় হউক । ৮ম সংখ্যা শ্লোক হইতে দেখা যাইতেছে যে গুহিল ( অর্থাৎ গুহিলোৎ ) বংশের প্রতিষ্ঠাতার নাম গুহদত্ত ছিল। তিনি মহীদেব অর্থাৎ ব্রাহ্মণ ছিলেন এবং আনন্দপুর হইতে আগমন করিয়া ছিলেন। পূৰ্ব্ববৰ্ত্তী শ্লোকগুলিতে তাহার পূর্বপুরুষদিগের সবিশেষ পরিচয় দেওয়া হইয়াছে। ইহা হইতে বুঝা যাইতেছে যে গুলোৎবংশের প্রতিষ্ঠাত নাগরকুলোভূত ব্রাহ্মণ ছিলেন এবং বৈজবাপ এই বংশের,গোত্র ( ১ম শ্লোক ) । - রাণী কুন্তু জয়দেবের গীতগোবিলের রসিকপ্রিয় নামে যে টকা প্রণয়ন করেন, তাহার প্রথমাংশের একটি শ্লোক হইতেও এইরূপ জানিতে পারা ষায়— “ঐবৈজবাপেন সগোত্রবর্যঃ শ্ৰীবল্পনামা দ্বিজপুঞ্জবোহভূং। হরপ্রসাদাদপসাঙ্গরাজ্য প্রাজ্যোপভোগায় নৃপোহভবস্থঃ ।” এই শ্লোকেও বপ্লকে ‘দ্বিজপুঙ্গব’ এৰং বৈজৰাপগোত্রসম্ভব বলা হইয়াছে। মেবারের রাণবংশের পরিচয় দিতে হইলে ব্রাহ্মণের নিম্নলিখিত শ্লোকটি উদ্ধৃত করিয়া থাকেন— “দেবং ঐএকলিঙ্গে হরিতঋষিগুরুবাণমত কুলাম্বা পৰ্ব্বণি ত্রণি স্বত্রে যজুরিতি নিগমে বৈজবাপাহৰগোত্র। বপ্নে মূলং নরেশো দ্বিজমুরভিদরা মেদপাটেশ্বমুখং চিত্রোদ্রিমূলভূমিদৰ্শভিরিতি গুণৈর্জাতি শীশোদধংশঃ ॥”