পাতা:বঙ্গের জাতীয় ইতিহাস (বৈশ্য কাণ্ড, প্রথমাংশ).djvu/২৩৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Yन अ१५] বৈখ্য-সমাজের অধঃপতন २ ११ ছলেন, শাস্ত্রবিশারদ রাগাণপণ্ডিতগণ ও ধৰ্ম্মনিষ্ঠ হিন্দুসমাজ সে স্থান হইতে দুরে থাকাই শ্রেয়ঃ মনে করিতেন। ব্রাহ্মণসমাজ ও সাধারণের হৃদয়ে দারুণ মুসলমানবিদ্বেষ লাগাইয়া তুলিয়াছিলেন। এমন কি মুসলমানস্পর্শ পর্যন্ত অশুচি নক বলিয়া শাস্ত্রনিবন্ধে ঘোষণা করিতে তাহার কুষ্ঠিত হন নাই। এমন কি যাহার। মুসলমানসংস্রব বা মুসলমানভাষা শিক্ষা করিতেন, তাহাদিগকেও ত্রাগণ-পণ্ডিতগণ ঘৃণার চক্ষে, দেখিতেন বা পতিত মনে করিতে লাগিলেন । সুতরাং হিন্দুৰূপতির সহি দুধৰ্ম্মাধিকরণলোপের সঙ্গে ব্ৰাগণপণ্ডিত-আধুষিত নিভৃত হিন্দুপল্লীস্থ টেলিগুলিই হিন্দু সাধারণ ধৰ্ম্মাধিকরণরূপে পরিণত হইল। পূর্বে হিন্দুরাজনিযুক্ত উপযুক্ত শাস্ত্রবিৎ ত্রাঙ্গণই ধৰ্ম্মাধিকরণে বিচারকের কার্য্য করতেন, তাহাদিগকে সাহায্য করিবার জন্য উপযুক্ত কায়স্থ ও শ্রেষ্ঠ ( বৈশ্ব ) নিযুক্ত হইতেন । বিচারক বাদী ও প্রতিবাদীর প্রতি যথেচ্ছব্যবহার করিতে পারিতেন না, কারণ ব্রাহ্মণবিচারকের বিচারনিষ্পত্তির পর ও তাহার পুনবিচার বা সংশোধন করিবার অধিকার হিন্দুস্পতির হস্তেই ন্যস্ত ছিল । সুতরাং ব্রাহ্মণ শাস্ত্রপ্রবক্তা ও ন্যায়ান্যায়ের বিচারক হইলেও রাজাই হিন্দুসমাজের দ গুমুণ্ডের কৰ্ত্ত। ও সমাজ শাসয়ি তা ছিলেন । মুসলমান-অধিকার বিস্তারের সঙ্গে সেই অসাধারণ সমাজকর্তৃত্ব ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র পল্লীর ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র টোলের অধ্যাপকগণের হস্তে নিপতিত হইল । সমাজনিগ্রহ ও পাঠিত্যের আশঙ্কায় প্রথম প্রথম অধিকাংশ হিন্দু সস্তানই মুসলমান ধৰ্ম্মাধিকরণে উপস্থিত হইতে সাহসী হইতেন না, প্রায় সকলেই নানা কোর বিবাদ নিপত্তির য়স্থ্য টোলের শরণ গ্রহণ করিতে বাধ্য হইয়া পড়িয়াছিলেন । এরূপ স্থলে হিন্দুসমাজে ব্রাহ্মণপণ্ডিতগণের প্রভুত যে অসাধারণরূপে বাড়িয়া যাইবে, তাহীতে অীর সন্দেহ কি ? যতদিন স্বাধীন হিন্দুরাজ্য ছিল, তত দিন ব্রাহ্মণসমাজ ক্ষত্রিয়সমাজের বিরুদ্ধে লেখনীচালনা সুবিধাজনক মনে করেন নাই, তত দিন তাহার এক এক বর্ণের মধ্যে পহু তর জাতি, উপজাতি ও শ্রেণী বিভাগের স্বষ্টি করিয়া হিন্দু সমBBB BBB BBB BBBB BBBB BBg BB DDS B BBBB BBB BBS জের আনুকূল্যে বৌদ্ধপ্রাধান্তবিলোপ ও ব্রাহ্মণপ্রাধান্ত স্ত প্রতিষ্ঠিত হইয়াছিল, র্তাহীদের বংশধরগণ মুসলমান আক্রমণ হইতে র্তাহাদিগের মানসন্ত্রম রক্ষা করিতে সমর্থ না হওয়ায় এবং মুসলমান প্রভাবে ধীরে ধীরে ক্ষত্রিয়শক্তির তিরোধান লক্ষ্য করিয়া আবার শাস্ত্রবিন্ধ ব্রাহ্মণগণ ঘোষণা আরস্ত করিলেন যে কলিতে