পাতা:বঙ্গের জাতীয় ইতিহাস (ব্রাহ্মণ কাণ্ড, দ্বিতীয়াংশ).djvu/২৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

श थार्थ। 1 * বরেন্দ্র ব্রাহ্মণ-বিবরণ " ᎼᏬ☾ বিদ্যাশিক্ষায়ও তিনি বিশেষ উৎসাহ দিতেন। রাজসাহীর অনেক চতুষ্পাঠী মহারাণীর সাহায্যে স্থাপিত হয়। রাণী ভবানী তাছার বাল-বিধবা কন্যা তারামুন্দরীকে পুনরায় বিবাহ দিবার চেষ্টা করেন। কিন্তু রাজা কৃষ্ণচন্দ্রের ষড়যন্ত্ৰে বিফলমনোরথ হয়েন বলিয়া কথিত আছে। সাতগৰ্ত্তরের ভীষণ দুর্ভিক্ষের সময় তিনি রাজভাওীর উন্মুক্ত করিয়া প্রজাদের দুঃখ নিবারণ করিয়াছিলেন । রাজসাহী জেলার অন্তর্গত আটগ্রামের রায়বংশসস্তুত রামকৃষ্ণকে রাণী ভবানী দত্তক গ্রহণ করেন । তিনি ৭৯ বৎসর বয়সে অমরধামে প্রস্থান করেন। " র্তাহার দত্তক পুত্র রামকৃষ্ণের সাধনার কথা ইতিহাসবিখ্যাত। দশশালা বন্দোবস্তের কবুলিয়তে মহারাজ রামকৃষ্ণ “মহারাজাধিরাজ পৃথপতি মহারাজ রামকৃষ্ণ রায় বাহাদুর” নামে স্বাক্ষর করিয়াছিলেন। তিনি ধে এইরূপ উপাধির অধিকারী ছিলেন ইংরাজ দপ্তরে এইরূপে তাহার প্রমাণ রহিয়া গিয়াছে। রামকৃষ্ণ বিরাট ঐশ্বৰ্য্যের মধ্যেও মাতৃসাধনা করিয়া অমরকাৰ্ত্তি লাভ করিয়াছেন। রামকৃষ্ণের দুই পুত্র বিশ্বনাথ ও শিবনাথ। ইহাদের সময় হইতেই রাজবংশ ছোট তরফ ও বড় তরফে বিভক্ত হইয় পড়ে। মহারাজ বিশ্বনাথ পূর্কে শাক্ত ছিলেন, পরে বৈষ্ণব ধৰ্ম্ম গ্রহণ করেন। তাহার পত্নী মহারাণী জয়মণি নূতন ধৰ্ম্ম • গ্রহণ করিতে অস্বীকার করেন। নিজের ধৰ্ম্ম বিসজ্জন অপেক্ষ স্বামিত্যাগ বরণীয় মনে করিয়া তিনি শ্বশুরদত্ত সম্পত্তি মাত্র লইয়া সমস্ত রাজসম্পদ তুচ্ছ করিয়া মুর্শিদাবাদ জিলায় বড়নগরে গঙ্গাবাসে চলিয়া যান। তখন বিশ্বনাথ কৃষ্ণমণিকে বিবাহ করেন । বিশ্বনাথ নিঃসন্তান ছিলেন। তিনি মৃত্যুকালে কৃষ্ণমণিকে পোষ্যপুত্র গ্রহণের অনুমতি দিয়া যান। মহারাণী কৃষ্ণমণি গোবিন্দচন্দ্রকে দত্তকরূপে গ্রহণ করেন। গোবিন্সচক্সেরও কোন পুত্র সস্তান হয় নাই। র্তাহার পত্নী রাণী শিবেশ্বরীর পোষ্যপুত্র গ্রহণ লইয়া নাটোর ছোট তরফ ও বড় তরফের মধ্যে মহাবিরোধ বাধে। ক্রমে এমন হয় যে পোষ্য পুত্র অসিদ্ধ হইবার আশঙ্কা ঘটে। কিন্তু অবশেষে পোষ্য পুত্র গোবিন্দনাথের দাবী ইংরাজ আদালতে গ্রাহ হয় । গোবিন্দনাথের দুইট'কস্ত হয়, সুতরাং তিনি মহারাজ জগদিন্দ্রনাথকে পোষ্য’ পুত্র গ্রহণ কূরেন। মহারাজ জগুদিন্দ্রনাথের অকালে ইহলোক-পরিত্যাগে বাঙ্গলার আপামারসাধারণ সকলেই মৰ্ম্মান্তিক দুঃখ পাইআছেন। মহারাজ জগদিন্দ্রনাথ অমায়িক, পরোপকারী, বিজ্ঞান, ও সুলেখক ছিলেন। ক্রিকেট খেলায় ও সঙ্গীতেও তাহার প্রবল অনুরাগ ছিল। তিনি অনেকগুলি মূল্যবান গ্রন্থ লিখিয়া গিয়াছেন। তাহার ঔরস পুত্র যোগস্ত্রনাথ বর্তমানে বড় তরফের মহারাজ। ছোট তরফের রাজা শিবনাথ রাজা আনন্দনাথকে পোষ্যপুত্ররূপে গ্রহণ করেন। রালা আনন্দ্রনাথের চারি পুত্র-রাজা তারকনাথ, রাজা কুমুনাথ, রাজা নগেন্দ্রনাথ ও রাজা যোগেন্দ্রনাথ। রাজা বোগেন্দ্রনাথ পরোপকারী সদাশয় ব্যক্তি ছিলেন। তাহার পুত্র জ্যোতীজনাথ এখন ছোট তরফের রাজা। রামকৃষ্ণ ছোট তরফ ও ৰড় তরফ