পাতা:বঙ্গের জাতীয় ইতিহাস (ব্রাহ্মণ কাণ্ড, দ্বিতীয়াংশ).djvu/২৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

નાના] বীরেন্দ্র ব্রাহ্মণ-বিবরণ *(tఫి “মায়ের পায়সার জাহার হয় নাই, উছ নিৰ্ম্মাল্যের ভিতর পড়িয়ছে, আপনি পায়স নিবেদনের পরেই পানীয় নিবেদন করিয়াছেন।” কৃষ্ণানন্দ দেখিলেন সত্য সত্যই নিৰ্ম্মাল্যের ভিতন্তে পায়সান্ন রহিয়াছে। ইহাতে কৃষ্ণানন্দ জটীয়া যাদুকে আপনাপেক্ষ শ্রেষ্ঠ সাধক ৰলিয়া বিবেচনা করিলেন এবং দুই জন একত্রে দেবীর পূজানুষ্ঠানাদি করিতে লাগিলেন। প্রবাদ আছে, জটায় যাদুর কন্যার সহিত কৃষ্ণানদের পুত্রের বিবাহ হইয়াছিল। অদ্যাবধি দীপাৰিত পূজার দিন জটায় যাদুর বংশধরেরা দেবীর পূজা করিয়া ভোগাদি দিয়া থাকেন। কৃষ্ণানন্দ গোপনে দক্ষিণাকালী পূজা করিয়া প্রত্যুষে যখন তিনি উহা বিসর্জন দিতে বান তখন একদিন কাজি উহা দেখিতে পায়। ঐ ব্যক্তি নবদ্বীপে ভূম্যধিকারীর নিকটে গিয়া উছা জ্ঞাপন করে। তিনি দেখিবার ইচ্ছা প্রকাশ করায় উক্ত সংবাদদাতা তাহাকে সঙ্গে করিয়া লষ্টয়া আসে এবং পূজাস্থানে গোপনে অবস্থান করে। কৃষ্ণানন্দ প্রত্যুষে যখন মূৰ্ত্তিহস্তে গঙ্গাস্নানে যাইতেছিলেন, তখন ভূম্যধিকারী তাহাকে প্রণাম করিলেন। কৃষ্ণানন্দ এক হস্ত দ্বারা আশীৰ্ব্বাদ করায় ভূস্বামী বলিলেন, ‘দুই হন্তে আশীৰ্ব্বাদ করিবার নিয়ম আছে,আপনি দুই হস্তে আশীৰ্ব্বাদ করুন।” কৃষ্ণানন্দ তাহাই করিলেন এবং এই সুযোগে ভূস্বামী আদ্যাশক্তির মূৰ্ত্তি দেখিয়া উহ! কি জিজ্ঞাসা করিলেন। কৃষ্ণানন্দ সংক্ষেপে র্তাহার স্বপ্নবিবরণ এবং তন্ত্রের সারসঙ্কলনের কথা বলিলেন । রাজা এবং পণ্ডিতমণ্ডলী সভা করিয়া তাহাকে আগমবাগীশ উপাধি দিলেন এবং তাহার গ্রন্থের নাম রাখিলেন তন্ত্রপার'। রাজা বলিলেন “আপনি যে মূৰ্ত্তি ক্ষুদ্রাকারে পুঞ্জ করিয়াছেন আমি তাছাই বৃহদাকারে পূজা করিব।” সেই সময় হইতে কাৰ্ত্তিক মাসে অমাবস্য তিথিতে শুামাপূজা হইয়া থাকে। কৃষ্ণানন্দ ৰে স্থানে পূজা করিতেন, সে স্থানের নাম রাখা হইল অগমেশ্বরীভলা এবং প্রতিমার নাম হইল.আগমেশ্বরী। দেবীর মন্দির ইষ্টকনির্মিত করিয়া দেওয়া হইয়াছে এবং অদ্যাবধি সকলেই আগমেশ্বরীতলা সিদ্ধস্থান বলিয়া জানে। মেদিনীপুর জেলার দোরপরগণার ভূম্যধিকারী আগমেশ্বরীর সেবা অক্ষুণ্ণ রাখিবার জন্য ১•• শত বিঘা লাখরাজ দান করেন। সহস্রাক্ষের বংশধরগণ এখনও নবদ্বীপে বাস করিতেছেন । মহামছোপাধ্যায় পণ্ডিত yঅজিতনাথ দ্যায়রত্ন মহাশয় তাহারই বংশধর ছিলেন । এই বংশের অন্ত এক শাখা (জীশচন্ত্ৰ , -চক্রবর্তী) বর্তমানে পাবনা জেলায় তাড়াশ গ্রামে বাস করিতেছেন। কৃষ্ণানন্দের পৌত্র মধুসূদন আচাৰ্য্যকে সাতৈলের (রাজসাহী) রাজা শিথাই সাপ্তাল তাহার রাজ্যে ব্রহ্মোত্তর দিয়া বাস করান। তদবধি তাহার বংশধরগণ এই স্থানে (হরিপুর ) বাস করিয়া জাসিতেছেন। কৃষ্ণানন্দেম্ব উত্তর পুরুষের মধ্যে কৃষ্ণমঙ্গল বিস্তাবাগীশ, রামতোষণ বিদ্যালঙ্কার, রামলোভন বিস্তাভূষণ ও রাধারমণ বিস্কারত্ব প্রসিদ্ধ। ইহার কয়েক জনই তান্ত্রিক সাধক এবং শাস্ত্ৰদশী স্থপণ্ডিত অধ্যাপক ছিলেন। প্রত্যেকেই স্বগৃহে বহু বিদ্যাথা ছাত্রকে আহার ও বাসস্থান প্রদান করিয়া বিদ্যা শিক্ষা দিতেন ।