రి বঙ্গের জাতীয় ইতিহাস • ৰাহ্মণকাও ৷ পরিচয় দিতে পারিতেন, তাহানের মধ্যে অনেকেই নবাবের দেওয়ানী পদ হইতে বড় বড় রাজকীয় পদে নিযুক্ত হইতেন এবং ধী, রায়, চৌধুরী, স্নায়চৌধুরী প্রভৃতি নানাপ্রকার উপাধি প্রাপ্ত হইয়াছিলেন। চাকুরী উপলক্ষে মুসলমানের সহিত ঐ সকল কৰ্ম্মচারীর বিশেষ ঘনিষ্ঠত হওয়ায় মুসলমানের সুবিধা পাইলেই তাহাদের পত্নী ও পরিবারের উপর নানাপ্রকার অত্যাচার করিত। যাহাদের পত্নী ও কম্ভা মুসলমানের লইয়া গিয়া জাতিনাশ করিবার উদ্যোগ করিত, তাহারা পত্নী ও কস্তার উদ্ধার করিয়া জানিয়া ঐ কম্ভ কুলীন ও শ্রোত্রিয়ের সহিত বিবাহ দিয়া জ্ঞাতি ও কুটুম্বদিগের সহিত ভোজন করিয়া দোষ হইতে নিস্কৃতিলাভ করিতেন। দোষ-সংস্থষ্ট কন্যার বিবাহ দিয়াই যে কম্ভার পিতা এবং ভ্রাত দোষ হইতে নিস্কৃতি পাইতেন, তাহ নহে। কুটুম্ব, আত্মীয় ও জ্ঞাতি প্রভৃতিকে একত্র ভোজন না করাইলে যাহারা ঐ কস্তার পাণিগ্রহণ করিতেন, তাহারাও ঐ দোষে আক্রান্ত হইতেন। বর্তমান কালের বিবাহের সহিত সে কালের বিবাহ তুলনা করিলে সম্পূর্ণ পার্থক্য লক্ষিত হইবে। সে সময়ের বিবাহ যদি বর্তমান কালের বিবাহের ন্যায় হইভ, তাহা হইলে অধুন ৰারেন্দ্র ব্রাহ্মণদিগের नiषं পৰ্য্যন্ত বিলুপ্ত হইত। কুলীনের পরস্পর আদান প্রদানের পূৰ্ব্বে পরম্পর করণ করিয়া সমীকরণ করিতেন। শ্রোত্রিয়ের কুলীনে কন্যাদান করিয়া বিবাহের পর দিবস বরের পিতা ও অন্তান্ত কুলীনের সঙ্গে করণ করিয়া সমীকরণ করার পর এই করণকে 4উপকার করণ" বলে। শ্রোত্রিয়-কন্ত কুলীনে গ্রহণ করিলেই সেই কুলীন শ্রোত্রিয় ভাবাপন্ন হন, এই কারণে অন্তান্ত কুলীনের সহিত করণ করিয়া সমীকরণ করিলেই কুলীনের ভাবপ্রাপ্ত হইতেন। কন্যাকৰ্ত্তার বাটীতে বরের পক্ষের আত্মীয় কুটুম্ব এবং কস্তাকর্তার আত্মীয় কুটুম্ব একযোগে ভোজন করাইয়া কস্তাকর্তা মৰ্য্যাদাবিশিষ্ট ব্যক্তিদিগকে বস্ত্র ও অর্থ দিয়া বিদায় করিতেন, ঐ ভোজনের নাম ‘স্বকৃত ভোজন । বরের বাটতেও বরের পিতাকে ঐক্লপ ভোজন করানর নাম পাকস্পর্শ। . নববধূ অল্পের পাত্র হন্তে করিয়া ভোজনের স্থানে প্রত্যেক সরাস্ত কুলীন ও শ্রোত্রিয়ের পাতে এক এক মুষ্টি জয় পরিবেশন করার মাম পাকস্পর্শ ভোজন । নববধূর হস্তে পাকস্পর্শ না হইলে সে বধু কোন তোজ্যে রন্ধন করিয়া কুলীন ও প্রেক্রিয়কে পরিবেশন করিতে পারিত না। তাহার প্রবাদ থাকিত—ই হার বিবাহের পর পকগণ অর্থাৎ বৌভাত হয় নাই। স্বতরাং উনি রন্ধন করিতে পরিবেন না। স্বকৃত ও •কগণভোজনে কুলীনের ও সিদ্ধ শ্রোত্রিয়ের স্ত্রীলোকেয়াই রন্ধন করিবার অধিকারিণী ছিলেন। তাছাদের মধ্যে অনুসন্ধানে কাহার কোন দোষ বাহির হইলে তাহাকে রন্ধনশালা হইতে বাহির করিয়া দেওয়া হইত। কষ্ট-শ্রোত্রিম্বদিগের স্ত্রীলোকের পূদ্রকস্তার স্থায় জন-পালার ত্রিসীমায়ৰাইবার অধিকারিণী ছিলেন না। পরিবেশনের সময় উক্ত প্রকারের পটিক দ্বারাই পরিবেশন করিবার নিয়ম পদ্মানদীর উত্তর পারে এখন পর্যাপ্ত প্রচলিত আছে। পানীর দক্ষিণ পায়ের নিয়ম-সিন্ধুশ্রোত্রিয়ের বাটতে তিনি ও তীখার পুত্র, ভ্রাতুষ্পুত্র, छोमांफl, দৌহিত্র, ভাগিনেয় ও জ্ঞাতি ইহাৱাই পরিবেশন করিবার অধিকাৰী। বারেজদিগের
পাতা:বঙ্গের জাতীয় ইতিহাস (ব্রাহ্মণ কাণ্ড, দ্বিতীয়াংশ).djvu/২৯৩
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।