হয় " ইশ } ম,ারেন্দ্র ব্রাহ্মণ-বিবরণ >Aめ রামচন্ত্রের পৌত্র নয়নকৃষ্ণ চৌধুৰী নাটোররাজের দেওয়ান হন। রামজীবনের ত্রান্ত রঘুনন্দনের বুদ্ধিবলে তখন নাটের বঙ্গের শ্রেষ্ঠ জমীদার। নয়নকৃষ্ণ নাটোররাজের নিকট s হইতে কতকগুলি ডিহি পাষ্টয়াছিলেন। কিন্তু পরবত্তীকালে জ্ঞাতিবিবাদ বশতঃ ও নাটোররাজের সম্পত্তি নিলাম হওয়ার জন্য এই ডিহিগুলি ইহাদের হস্তচু্যত হয়। নয়নকৃষ্ণের পুত্রেরা নয়াপাড়ী নামে একটি নুতন বাড়া নিৰ্ম্মাণ করেন। নয়াবাড়ীর পুকুর কয়েদীদের দ্বারা খনন করান হইয়াছিল। তখন হরিপুরে একটি কয়েদখান ও ভাটি ছিল। নয়নকৃষ্ণের বংশ এখন লোপ পাইয়াছে। নয়নকৃষ্ণের ভ্রাত কালীনাথ চৌধুরী নিলামে সেনাবাজু পরগণা খরিদ করেন। কিন্তু পাছে নাটােররাজ জ্যের ক্রয় উছ কাড়া লরেন এই ভয়ে তিনি উক্ত পরগণা জয়ারির বলরামবিশি, নাটোরের মুন্সী দুলা নিবাসী রহিমুদিন চৌধুরী ও সেরেস্তাদার তাতিবন্দ নিবাসী ভুপেন্দ্রনাবাঞ্চণ চৌধুরীর সহিত সমভাগে ভাগ করিয়া লয়েন। কাণনাথ অতিশয় ধৰ্ম্মপরায়ণ লোক ছিলেন। তিনি নিজের অংশের সোনাপাজু পরগণ র্তাহাধু সমস্ত জ্ঞা তদের মধ্যে ভাগ করিয়া দানপত্র লিগিয়া দেন। তাহার সময়ে হরিপুলের 'পিপেয সমৃদ্ধি সiিধ ত ছয় । চৌধুরীরা অনেক কুলীন আনিয়া হরিপুরে, বাস করান এবং তাছাদিগকে কষ্ঠ সম্প্রদান কবেন । এইরূপে প্রায় পাঁচশত ঘর কুলান ব্রাহ্মণ হরিপুরে বাস স্থাপন কবেন । তাহারা সকলেই চৌধ বীদের নিকট হইতে কিছু ভূসম্পত্তি লাভ করেন। নয়নকৃষ্ণ কালীনাথ কালীনাথের পুত্ৰ কাণাকস্থ নাটোররাজের দেওয়ান হয়েছিলেন। কিন্তু তিনি অল্পবয়সে রামকৃষ্ণ ও দুর্গাদাস নামে দুই পুত্র রাখিয়া ইহলীলা সংবরণ করেন"। এই দুই পুত্রই তখন শিশু বলিয় তাহদের পিতৃব্য কমলাকান্ত সংসারের কর্তা হয়েম । কমলাকাস্তের ভগিনীপতি সম্পত্তির আমীন নিযুক্ত হয়েন । তিনি পরে মোক্তার হইয়া কৌশলে সেনাবাজু পরগণার অধিকাংশ নিলামে নিজ নামে ক্রয় করিয়া লয়েন। কালীকান্ত ভাগনাপতির এই ব্যবহারে এতই মৰ্ম্মাহত হয়েন, ষে তিনি জতি, অল্প সময়ের মধ্যে মৃত্যুমুখে পতিত হন। কালীকান্তের ভগিনীর মৃত্যুর পর উক্ত ভগিনীপতি দুর্গাদাসের তৃতীয় ভগ্নিনী মৃন্ময়ীদেবীকে বিবাহ করেন । উছার প্রদত্ত বৃত্তির উপর নির্ভর Tকরিয়া দুর্গাদাস ও রামকৃষ্ণ জীবিক নিৰ্ব্বাহ করিতে লাগিলেন । দুর্গাদাস তখনও বালক । কিন্তু তাহার অধ্যবসায় ও চরিত্রবল ছিল অসাধারণ । তিনি ভগিনীর নিকট থাকিয় রাজসাহী হইতে কিছু লেখাপড়া শিথিয় কলিকাতায় হিন্দুকলেজে পড়িতে যান। কলিকাতা হইতে পাশ করিয়া আসিয়া তিনি তাহার বংশের নষ্ট সম্পত্তি উদ্ধারে প্রবৃত্ত হইলেন। তখন র্তাহার ভগিনীপতি রোগশয্যায় শান্বিতউহাকে মিষ্ট কথায় তুষ্ট করিয়া কোন প্রকারে সম্পত্তির কিয়দংশ দ্বার করেন তুর্গাদাসের ভগিনীপতি মৃন্ময়ীদেবীকে সম্পত্তি দান করিবার ও পোষ্যঞ্জ कोर्जीकोछ দুর্গাদাস
পাতা:বঙ্গের জাতীয় ইতিহাস (ব্রাহ্মণ কাণ্ড, দ্বিতীয়াংশ).djvu/৪৩
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।