পাতা:বঙ্গের প্রতাপ-আদিত্য - ক্ষীরোদপ্রসাদ বিদ্যাবিনোদ.pdf/১৬১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

छूऊँौन झूथ evote-vefroy SN শঙ্কর । তা হ’তেই পারে না । কল্যাণী। তা হ’লে কি এই ঘোর অধৰ্ম্ম ক’রতেই হ’বে ? শঙ্কর। অধৰ্ম্ম নয়-তাবে-নিষ্ঠুর ধৰ্ম্ম । কল্যাণী । জামাতৃ-হত্য-ধৰ্ম্ম ? শঙ্কর। রাজদ্রোহী জামাতৃ-হত্য-ধৰ্ম্ম । ধৰ্ম্মপুত্র যুধিষ্ঠির প্রাণাপেক্ষা প্রিয়তর অৰ্জ্জুনকে বার বৎসর বনে পাঠিয়েছিলেন - কল্যাণী । তার ফলে-কুরুক্ষেত্র। আর র্যার পরামর্শে এই ধৰ্ম্মের সৃষ্টি হ’যেছিল, তার গুণে প্ৰভাস---একদিন যদুবংশ ধবংস । আমি দিব্য-চক্ষে দেখতে পাচ্ছি, এ পোড়া বাঙ্গালীর রাজত্বের আর বেশী দিন অস্তিত্ব নেই । প্ৰতাপের প্রবেশ প্ৰতাপ । আশীৰ্বাদ কবি মা-আশীৰ্বাদ কর ; শাস্ত্র এ রাজ্যের ধ্বংস হোক । কল্যাণী ! ( সসঙ্কোচে ) মহারাজ !-মহারাজ ! বুঝতে পারিনি, -আম জ্ঞানহান নারা । প্ৰতাপ। মিথ্যা কথা—তুমি জ্ঞানময়ী। তুমিই তোমার স্বামীকে উপদেশ দিয়ে এ রাজ্যের প্রতিষ্ঠা করিযেছ। তুমি তোমার স্বামীকে জোর ক’রে প্রসাদপুর থেকে নিৰ্বাসিত না ক’রলে কেউ যশোরের নামও শুনতে পেত না ! আমি কিন্তু রাজদণ্ড-ধারণে অনুপযুক্ত। কঠোর কৰ্ত্তব্যপালুনে এখনও ইতস্ততঃ ক’য়ছি- অপরাধীর শাস্তি দিতে পায়ছি না । কল্যাণী । হতভাগ্য রামচন্দ্ৰ । প্ৰতাপ । হতভাগ্য আমি । আমার নিজের শক্তি না বুঝতে পেরে, রাজ্য প্রতিষ্ঠা ক’ল্পতে গেছি। আজ বঙ্গের একপ্রান্ত থেকে কাঞ্চনাভরণা একাকিনী রমণী নিৰ্ভয়ে, নিশ্চিন্ত মনে বঙ্গের অপর প্রান্তে চ’লে যাচ্ছে ।