পাতা:বঙ্গের প্রতাপ-আদিত্য - ক্ষীরোদপ্রসাদ বিদ্যাবিনোদ.pdf/৩২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

প্ৰতাপ-আদিত্য ଏଅସ୍ତ୍ଵ ପୋଷ୍ଟ বসন্ত । শাস্ত্ৰবাক্য, জ্যোতিষবাক্য কি ? এ সব আপনি কি ব’লছেন ? বিক্রম। আর ব’লব কি-তোমার শেষ বয়সের বুদ্ধি-বিবেচনা দেখে, একেবারে বাক্য-রোধ। যাক-যা হ’বার তা হ’বেই-নইলে ৰসন্তের বুদ্ধি লোপ পাবে কেন ? Tাওরে ভাই ! তোকে যে আমি শুধু ভাইটি দেখি না । বল, বুদ্ধি, আশা, ভরসা-সমস্ত যে তুই । তোর জন্যেই যে আমার যত ভাবনা । বন কেটে নগর বসালি----রাশি রাশি অর্থ ব্যয় ক’রে বড় বড় অট্টালিকা, বড় বড় দীঘি সরোবর, সুন্দর সুন্দর বাগান-সব রচনা ক’রলি, কিন্তু বুদ্ধির দোষে ভোগ ক’বুতে পোলনি । কানুনগো-গিরি কাজ ক’রেছিলুম-দাউদখার পয়সায় ঐশ্বৰ্য্য লাভ ক’রলুম-এখন দেখছি ত দাউদের সঙ্গে সব যায় ! যাক,--তারা শিবসুন্দরি !" ; কলম পিসিতে এসেছিলি-কলম পিসেই চ’লে গেলি !" বসন্ত । প্ৰতাপ কি আমাকে হত্যা ক’রবার সঙ্কল্প ক’রেছে ? বিক্ৰম । তুমি প্ৰতাপকে মনে কর কি ? বসন্ত । আমি ত তাকে শিষ্ট, শান্ত, ধৰ্ম্মভীরু, বংশোজ্জল সন্তান ब'गई खiनि । বিক্ৰম । বস, তবে আর কি।--তবে আমারহ বা এত হাক-পাক ক’রবার দায়টা কি পড়ে গেছে । কালী করুণাময়ি ---ওরে আমার জপের মালাটা দিয়ে যা । ঐ বসন্তু । আমি তা জানি, গুরুজনে--বিশেষতঃ আমাকে তার যতটা ভক্তি, এমন ভক্তির সিকিও যদি আমার সন্তানগণের থাকত, তা হ’লে আমার মতন সুখী আর জগতে থাকত না । বিক্রম। বা রে জ্যোতিৰ—বা রে তোর লেখা । যে ঘটনাটি ঘটাৰে আগে থাকতে পাকচক্ৰ ক’রে, ধীরে ধীরে তা’র আবছায়াটুকু জাগিয়ে ফুলছে। হায় হায়! হ’ল কি ! তারা শিবসুন্দরি -ওরে! --আরে মঙ্গল, ওরে । তবে আর আমি কেন সংসার-চিন্তায় জরজৱ হ’য়ে ভেবে মারি ৭