পাতা:বঙ্গের বাহিরে বাঙ্গালী (উত্তর ভারত) - জ্ঞানেন্দ্রমোহন দাস.pdf/১১৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

প্ৰয়াগ । ത്തരത്ത প্ৰয়াগ এলাহাবাদ বিভাগের প্রধান সহর এবং যুক্ত প্রদেশের রাজধানী। এলাহাবাদের পৌরাণিক নাম “বারণাবত”। এই স্থানেই পুরোচন কর্তৃক জতুগৃহ নিৰ্ম্মিত হয় এবং পাণ্ডবগণ তাহাতে অগ্নি সংযোগ করিয়া পলায়ন করেন। ইহার অন্তর্গত কিয়দংশ বাঘেলখণ্ড, এবং ঝাক্ষসী জালীেন প্রভৃতি কয়েকটি জেলা বুন্দোলখণ্ডের অন্তৰ্ভুক্ত। ১৮৬৪ অব্দে সৰ্ব্বপ্রথমে এলাহাবাদে লোক গণনা হয়, তখন অতি অল্পই বাঙ্গালী প্রয়াগ প্রবাসী হইয়াছিলেন। ইহার ৩৮ বৎসর পরে অর্থাৎ ১৮৭২ অব্দে এলাহাবাদে ৫৬৫ জন বাঙ্গালীর বাস ছিল। ১৮৮১ অব্দের লোকগণনানুসারে এখানে ২১৫৯ জন বাঙ্গালীর সংখ্যা অবধারিত হইয়াছিল। ২৩ বৎসরে এই সংখ্যা প্ৰায় দ্বিগুণিত হইয়াছে। প্রবাসের প্রাচীনত্ব হিসাবে কাশীর পরই প্ৰয়াগের নাম উল্লেখযোগ্য। বাঙ্গালীর সংখ্যা যে এখানে দিন দিন বুদ্ধি পাইতেছে তাহার অনেক কারণ আছে। শুদ্ধ ইহা প্ৰাদেশিক রাজধানী সুতরাং চাকরীর বিস্তীর্ণ ক্ষেত্র বলিয়াই নহে, ইহা ভারতের সর্বত্র গমনাগমনের রেলপথের কেন্দ্ৰস্তল ; ইহা হিন্দুর অতি পবিত্র তীর্থ। এখানকার প্রতিবাৰ্ষিক কুম্ভমেলা, ছয় বৎসরান্তে অৰ্দ্ধকুম্ভ এবং প্রতি দ্বাদশ বর্ষান্তর পূর্ণকুম্ভের মহামেলা কুরুক্ষেত্র প্রভাসের জনতাকেও অতিক্রম করে এবং প্ৰয়াগ কোটি কোটি নরনারীর মিলন ক্ষেত্রে পরিণত হয়। এই স্থান ঋগ্বেদের সময় হইতে হিন্দুর মহাতীৰ্থ বলিয়া পরিগণিত। ব্ৰহ্মা এখানে পুনঃ পুনঃ যাগ করায় ইহার নাম প্ৰয়াগ হইয়াছে। ইহা যে আৰ্য হিন্দুর একটী প্রাচীন যজ্ঞভূমি তাহা এখানে গঙ্গার “দশাশ্বমেধ ঘাট” সকলকে স্মরণ করাইয়া দেয়। কথিত আছে। এইখানে সকল তীর্থের সমাগম । প্রয়াগ-তীথের শ্ৰেষ্ঠত্ব পুরাকালেই প্রতিষ্ঠিত হয়, তখন পরীক্ষাচ্ছলে তুলাদণ্ডের একদিকে প্রয়াগ ও অন্যদিকে আর সমস্ত তীৰ্থ রাখা হইলে প্রয়াগই গুরুভারে ভূতল স্পর্শ করে। তদবধি ইহার নাম তীর্থরাজ । ইহা মহামুনি অগস্ত্য ও ভরদ্বজের আশ্রমস্থল। বৰ্ত্তমান কৰ্ণেলগঞ্জের পল্লীতে ভরদ্বাজ আশ্রম আজিও বিদ্যমান, এই আশ্রমের চতুর্দকে বাঙ্গালী উপনিবেশ বিস্তৃত হইয়াছে। পুরাকালে হিন্দুর আরাধ্য