পাতা:বঙ্গের বাহিরে বাঙ্গালী (উত্তর ভারত) - জ্ঞানেন্দ্রমোহন দাস.pdf/১৪১

প্ৰয়াগ । ዓዓ . সুতরাং তখন র্তাহারা সেইখানেই গমন করিলেন। চতুর্দিকেই বিদ্রোহানল अलिबा छेर्टिब्राएछ। লুট, হত্যা, পীড়ন প্রভৃতির মধ্যে নিরীহ প্ৰজাকুল যেমন আকুল হইয়া উঠিয়াছে, ইংরেজ এবং তাঁহাদের কৰ্ম্মচারী বাঙ্গালিগণ ও তদ্রুপ। বিপন্ন হইয়া পড়িয়াছেন। রাসবিহারী বাবুর পল্টনের সাহেব কাপ্তেন সেবিয়র রাসবিহারী বাবুকে যথেষ্ট স্নেহ করিতেন এবং তাঁহার অনুরোধ রক্ষাও করিতেন। এই মহানুভব সাহেবের সাহায্যে রাসবিহারী বাবু কত যে নিরীহ লোককে ফাঁসিকাষ্ট হইতে বাচাইয়াছেন, কত ভদ্ৰগৃহের কন্যা ও বধূকে উন্মত্ত সিপাহীদিগের হস্ত হইতে মুক্ত করিয়া তীহাদের মানসন্ত্রম ও প্রাণ রক্ষা করিয়াছেন এবং : কতবারই যে পরার্থে নিজের প্রাণ বিপন্ন করিয়াছেন তাহার বিস্তারিত বর্ণনার স্থান । নাই। এই সময় সিপাহীরা হঠাৎ একদিন বিদ্রোহী হইয়া উঠে এবং বিদ্রোহীদিগের সহিত যোগ দিবার জন্য দিল্লী যাত্রা করে। তাহারা রাসবিহারী বাবুকে । তাহাদের সঙ্গে যাইতে বাধ্য করে। এই সময় তিনি তাহদের নিরস্ত করিবার প্ৰয়াস পাইয়া বন্দুকের গুলিতে প্ৰাণ হারাইতে বসিয়াছিলেন এবং দৈবক্রমে গুলি তঁহাকে স্পর্শ না করায় রক্ষা পাইয়াছিলেন। এদিকে দিল্লীর বাহিরে ইংরাজ শিবির ; নগরদ্বার রুদ্ধ করিয়া বিদ্রোহী সিপাহী দল দিল্লীর ভিতর হইতে যুদ্ধ করিতেছে অপর দিকে দস্যগণ সহরে ঘোর অত্যাচারে প্রবৃত্ত। এমন সময় রোহতকের সৈন্যদল আসিয়া উপস্থিত হইল এবং বাহিরের ইংরেজ ও শিখসৈন্যদিগের - সহিত যুদ্ধে প্ৰবৃত্ত হইল। রাসবিহারীবাবু এই অবসরে যথাসৰ্ব্বস্ব ত্যাগ করিয়া। পলায়ন করিলেন। পথে গৃহস্থের ত নিস্কৃতি ছিলই না, সন্ন্যাসীরও জীবন নিরাপদ ছিল না। অনেক সাধুসন্ন্যাসী, ছদ্মবেশে গুপ্তধন লইয়া পলায়নপর গৃহস্থ ভ্ৰমে লুণ্ঠনকারিগণের হস্তে নিৰ্য্যাতিত হইয়াছিলেন। এবং অনেকে ইংরেজের গুপ্তচর গ ভ্ৰমে বিদ্রোহীদিগের হস্তে নিহতও হইয়াছিলেন। রাসবিহারী বাবু চতুর্দিকেই বিপদ দেখিয়া তাহার পুরাতন স্থান রোহতকেই ফিরিলেন এবং জনৈক নিভৃতনিবাসী পরিচিত সন্ন্যাসীর নিকট আশ্ৰয় লইলেন। তিনি তাঁহাকে সন্ন্যাসীর বেশে সাজাইয়া সেইস্থানেই রাখিলেন। কিন্তু অধিকদিন তঁহার এখানে নিরাপদে বাস করিতে পারেন নাই। একদা কয়েকজন দসু্য সন্ন্যাসীর ছদ্মবেশে তঁহাদের নিকট আগমন করে এবং রাসবিহারী বাবুকে তামাক সাজিয়া আনিবার অছিলায় স্থানান্তরে পাঠাইয়া ।