পাতা:বঙ্গের বাহিরে বাঙ্গালী (উত্তর ভারত) - জ্ঞানেন্দ্রমোহন দাস.pdf/১৫৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ভূরি প্রশংসা এবং শিক্ষা বিভাগ, কলেজ ও জনসাধারণ শিক্ষাসম্বন্ধে তাহার | নিকট যে প্ৰভূত উপকার প্রাপ্ত হইয়াছেন, কৃতজ্ঞতার সহিত তাহার উল্লেখ করিয়া পণ্ডিত মহাশয়ের সম্বন্ধন করেন। র্তাহার ছাত্রবৃন্দ কৃতজ্ঞতার নিদর্শন স্বরূপ একখানি বৃহৎ ফোটােগ্ৰাফ উঠাইয়া কলেজের পুস্তকাগারে রাখিয়া দিয়াছেন। তিনি পেন্সন গ্ৰহণ করিলেও তাঁহার অবসর হয় নাই। শিক্ষা বিভাগের প্রতি র্তাহার অনুরাগ বিন্দুমাত্র হ্রাস প্ৰাপ্ত হয় নাই। তিনি পূর্বে যেমন গবৰ্ণমেণ্টের কৰ্ম্মচারীরূপে ইহার নানা বিভাগে লিপ্ত ছিলেন, পেন্সন লইবার পরও সেইরূপ থাকেন; বরং তঁহার কৰ্ম্মক্ষেত্র আরও প্রসারিত হয় । , তিনি কলেজ ও ফ্যাকালটি অব আর্টসের জন্য যাহা করিয়াছেন তাহার জন্য শিক্ষা বিভাগ প্ৰকাশ্যে র্তাহার নিকট কৃতজ্ঞতা প্ৰকাশ করিয়াছেন। তিনি সিণ্ডিকেটের মেম্বর; বিশ্ববিদ্যালয়ের ফেলো, হিন্দী মিডল পরীক্ষার পরীক্ষক, টেক্সটবুক কমিটির সভ্য প্রভৃতি পদে অধিষ্ঠিত থাকিয়া সুচারুরূপে স্বীয় কৰ্ত্তব্য সম্পাদন করিয়া আসিয়াছেন। সে দিন পৰ্যন্তও তিনি টেক্সটবুক কমিটীর সদস্য ছিলেন। এপর্য্যন্ত ডাইরেক্টর মহােদয় তাহার মতামতের জন্য যে সকল হিন্দী পুস্তক প্রেরণ করিয়াছেন তিনি তাহদের অপক্ষপাত সমালোচনা করিয়া দিয়াছেন। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের কোন অধিবেশনে ব্যক্তি বা সম্প্রদায় বিশেষের নিন্দাপ্রশংসা বা অনুরোধ উপরোধের অপেক্ষা না করিয়া বিবেক ন্যায় ও স্বাধীন মতানুসারে সমুদয় কাৰ্য্য সম্পাদন করিয়াছেন। তাহার ন্যায় স্পষ্টবাদী ও কথা মত কাৰ্য্য করিবার লোক যে কোন জাতির মধ্যে বিরল। এক্ষণে বাৰ্দ্ধক্যবশতঃ সমস্ত সংস্রব ত্যাগ করিতে বাধ্য হইয়াছেন। ১৯০২ অব্দের এপ্ৰেল মাসে বিশ্ববিদ্যালয়ের কমিশনের সমক্ষে সাক্ষ্য দিবার সময় পণ্ডিত মহাশয় শিক্ষা বিভাগের ভ্রমপ্ৰমাদ প্ৰদৰ্শন করিয়া সাধারণ শিক্ষা বিষয়ে ও সংস্কৃত শিক্ষা প্রচারের সমর্থন করিয়া নিৰ্ভীকভাবে স্বীয় স্বাধীন মত লিপিবদ্ধ করেন। ১৯০২ অব্দে উহা “Notes on Educational matters in general and the subject of Sanskrit in particular" এই নামে পুস্তিকাকারে প্রকাশিত হয়। পণ্ডিত মহাশয় প্রবেশিকা পরীক্ষার্থী