পাতা:বঙ্গের বাহিরে বাঙ্গালী (উত্তর ভারত) - জ্ঞানেন্দ্রমোহন দাস.pdf/১৮০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

তাহাতেই হইবে:: * * * * । বাসি হইবার ভয়ে তাড়াতাড়ি করিও না। দেৱী হইলে কোন ক্ষতি নাই * ** * নৃত দরকান্ন ৰ

  • * * ।” তাহার দেহ গঙ্গায় দেওয়া হয়, বাবাজীর পূর্ব হইতেই এই ইচ্ছা ছিল। র্তাহার মুসলমান ভক্তগণের কিন্তু ইচ্ছা অন্যরূপ ছিল। তাহারা তঁহাকে সুকী বলিয়াই জানিতেন এবং তঁহাদেরই একজন মনে করিয়া গৌরব অনুভব করিতেন। তাঁহারা বাবাজীর দেহ কারবালার সমাধিক্ষেত্রে মহাসমারোহের সহিত সমাধিস্থ করিবেন। এরূপ সঙ্কল্প করিয়া রাখিয়াছিলেন। এলাহাবাদের জনৈক ক্ষমতাশালী জমিদার প্রায়ই বাবাজীকে বলিতেন “আপকা মুর্দা খারাব যায়গা” অর্থাৎ যেমন প্ৰবাদ আছে ভাগের মা গঙ্গা পায় না” সেইরূপ আপনার দেহান্তে শব লইয়া একদিকে হিন্দুগণ অন্যদিকে আমরা কড়াকড়ি করিব। বাবাজী হাসিতে হাসিতে বলিতেন, "মুৰ্দা বদন্ত জিন্দা • “” অর্থাৎ আমি ত চলিয়া যাইব, শব জীবিতের হাতে থাকিবে, তাহারা যাহা করিবার করিবে ; ভগবানের ইচ্ছা পূর্ণ হইবে। তাঁহাই হইল! ভগবানের ইচ্ছার সহিত বাবাজীর ইচ্ছা মিলিত হইল। ১৯০০ অব্দের ২০শে জুন শনিবার দিবা দ্বিপ্রহরের সময় মহাত্মা মাধবদাস বাবাজী ইহধাম ত্যাগ করিলেন। প্রথমেই র্তাহার হিন্দুশিষ্যগণের নিকট সংবাদ পৌঁছিল। র্তাহারা পূৰ্বদেশমত বাবাজীর দেহ গঙ্গাভিমুখে লইয়া চলিলেন ; অৰ্দ্ধপথে তাহার মুসলমান খ্ৰীষ্টান শিষ্যগণ উৰ্দ্ধশ্বাসে দৌড়িয়া আসিয়া যোগ দিলেন। জেমস ও এলিক সাহেব অপরাপর শিষ্য ও ভক্তগণ সহ শববহন করিলেন। তখন আর সমাধির প্রশ্ন তুলিবার সময় রহিল না। সকলেই একমত হইয়া অশ্রীপূর্ণ লোচনে এবং বিষঃ মনে পূজ্যপাদ গুরুর পবিত্রদেহ জাহ্নবীজলে বিসর্জন করিয়া আসিলেন। আমরা তঁহার প্রসিদ্ধির সম্বন্ধে আর অ

করিয়াছিলেন ইতিপূৰ্বে তাহার যথেষ্ট আভাস দেওয়া হইয় সুবৃৎ কাব্যগ্রন্থ আছে। বাঘেলখণ্ডের রাজধানী রিবী নিবাসী শ্ৰীব্র বাবাজীর অলৌকিক কীৰ্ত্তি বর্ণন এবং তাঁহার স্তুতিগানে পূর্ণ। গ্ৰন্থশেষে লিী