“Sar বঙ্গের বাহিরে বাঙ্গালী ৷ শ্রাবণ মাসে শত শত বঙ্গীয় নরনারী এখানে আগমন করিয়া থাকেন। ১৬১৮ খৃঃ অব্দে জীব গোস্বামীর দেহান্ত হয়। সপ্তম শতাব্দীর মধ্যভাগে বৃন্দাবন ধ্বংশ হয় এবং উনবিংশ শতাব্দীর প্রারম্ভ পৰ্য্যন্ত নানা প্রকার বিশৃঙ্খলা ও মধ্যে মধ্যে অশান্তি ঘটতে থাকে। অথচ দেখা যায় অষ্টাদশ শতাব্দীর প্রারম্ভে ব্ৰজমণ্ডলে বাঙ্গালীর প্রভাব অপ্রতিহত এমন কি রাজপুতনায়ও এই নূতন ঔপনিবেশিকগণকে সুপ্ৰতিষ্ঠিত হইতে দেখিয়া শঙ্কর সন্ন্যাসিমণ্ডলী বিচলিত হইয়াছিলেন। র্তাহারা বৃন্দাবনের প্রধান গোস্বামিগণের তিরোভাবে সুযোগ পাইয়া জয়পুরের মহারাজার নিকট চৈতন্য মতাবলম্বী বৈষ্ণৰ দিগের অসাম্প্রদায়িকত্ব ও গোবিন্দ জীর সেবাধিকারের অযোগ্যতা প্ৰতিপাদনা করিয়া বসিালে মহারাজ তাহার সত্যাসত্য নির্ণয়াৰ্থ, সকল স্তানের সাধু সন্ন্যাসী মহাপণ্ডিতগণের এক বিরাট সভা আহত করেন। ঐ সভায় বৃন্দাবন হইতে আগত বাঙ্গালী বৈষ্ণবগণের সহিত বলদেব বিদ্যাভূষণের নাম প্রাপ্ত হওয়া যায়। এই বাঙ্গালী বলদেব বিদ্যাভূষণের প্ৰতিভা ও পাণ্ডিত্যের সমক্ষে শঙ্কর সন্ন্যাসীগণের কৌশলজাল ছিন্নভিন্ন এবং সমগ্ৰ পণ্ডিতমণ্ডলির বিদ্য! নিম্প্রভ হইয়া পড়িয়াছিল । * এই বলদেব বিদ্যাভূষণ বৈষ্ণব দর্শনাদিতে অসাধারণ পাণ্ডিত্য অর্জন করিয়া দিগ্বিজয়ে বহির্গত হন। তিনি এইরূপ পণ করিয়া বাহির হন যে তর্কে যিনি তঁাহাকে পরাস্ত করিতে পরিবেন। তিনি তঁাচার শিষ্যত্ব স্বীকার করিবেন। অন্যথা তাহাকে জয়পত্র লিখিয়া দিবেন। এই পণ করিয়া তিনি মিথিলা নবদ্বীপ। কাশী প্ৰভৃতি বিদ্যার কেন্দ্ৰে উপস্থিত হইয়া প্ৰধান প্ৰধান পণ্ডিতগণকে পরাজিত করিতে করিতে বৃন্দাবনে আসিয়া উপস্থিত হন। প্ৰসিদ্ধ টীকাকার বিশ্বনাথ চক্ৰবৰ্ত্তী তখন বৃন্দাবনবাস করিতেছিলেন। দিগ্বিজয়ী বিদ্যাভূষণ, চক্ৰবৰ্ত্তীর নিকট তর্ক যুদ্ধার্থ উপস্থিত হন, কিন্তু বিচারে বলদেব বিশ্বনাথের নিকট পরাজিত হইয় তাহার শিষ্যত্ব স্বীকার করেন। বিদ্যাভূষণ তখন চক্ৰবৰ্ত্তীর নিকট ভক্তিশাস্ত্ৰ অধ্যয়ন করত বৈষ্ণব শাস্ত্ৰে পরিপক্কতা লাভ করেন। তঁহারই অদ্ভুত পাণ্ডিত্যাবলে বৃন্দাবন এবং রাজপুতনায় গৌড়ীয় বৈষ্ণবগণের প্রাধান্য চিরপ্রতিষ্ঠিত হয়। বলদেব শেষ জীবন বৃন্দাবনেই অতিবাহিত করেন। এখানেই তঁাহার সমাধি বিরাজ করিতেছে। pirr
- রাজপুতানায় বাঙ্গালী উপনিবেশ ভাগে এই সভার বিস্তারিত উল্লেখ আছে। ।