পাতা:বঙ্গের বাহিরে বাঙ্গালী (উত্তর ভারত) - জ্ঞানেন্দ্রমোহন দাস.pdf/২৭৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

KISFAISõF || . Sãoዓ কয়েকখানি জমিদারী আছে। লালাবাবুরাও মথুরায় কিছু ভূসম্পত্তি আছে তাহা হইতে লক্ষাধিক মুদ্রা আয় হয়। এই জমিদারী লইয়া শেঠ বাবুদের সহিত তঁহার বহুকাল হইতে বিবাদ বিসম্বাদ চলিতেছিল পরস্পর পরস্পরের মুখ দর্শন করিতেন না । এই সুত্রে এরূপ ঘোর শত্রুতা জন্মে যে উভয়ের জীবন श्रशैलु नश्ट्र श्रुंश|छ्ळि । - লালাবাবু সকল কুঞ্জে ভিক্ষা করিতে যাইতেন, কিন্তু শেঠ বাবুদের বাড়ীতে যাইতে র্তাহার পা উঠিত না, মনে হইলে মাথা কাটা যাইত। এখন তঁহাদের বাড়ী গিয়া ভিক্ষা করিতে হইবে—কি ভয়ানক কথা ! লালাবাবু যখনই তাহার ত্রুটি লক্ষ্য করিলেন, তখনই তঁহার মান, অভিমান, শত্রুত অহঙ্কার পলায়ন করিল তিনি পর দিবস মধ্যাহ্বকালে যমুনা-স্নান করিয়া অতি দীনবেশে শেঠ বাবুদের কুঞ্জে গিয়া উপস্থিত হইলেন। কলিকাতার বাঙ্গালী রাজাকে ভিক্ষা করিতে দেখিয়া ঠাকুর বাড়ীর কৰ্ম্মচারিগণ র্কাদিয়া ফেলিল। পাছে প্ৰভুগণ বিরক্ত হন। এই ভয়ে তাহারা কিছু বলিতে পারিল না, বিনা অনুমতিতে ভিক্ষাও দিতে পারিতেছিল না। দৈবক্রমে শেঠ বাবুদিগের কর্তা ঠাকুরবাড়ীতে উপস্থিত ছিলেন জনৈক ভৃত্য ছুটয়া গিয়া তাঁহাকে সংবাদ দিল। তিনি ত্বরিতপদে আসিয়া বিস্ময়ে দেখিলেন সত্য সত্যই লালাবাবু উপস্থিত! তঁহার দীনবেশ ও বৈরাগ্য দেখিয়া লালাবাবুর প্রতি যে শক্রিতাভাব ছিল তাহা এককালে বিদূরিত হইল। লালাবাবুর মুখে মধুকরী ভিক্ষার কথা শ্রবণ করিতেই তাহার হৃদয় গলিয়া গেল। তিনি লালাবাবুর চরণে পতিত হইলেন। লালাবাবু শেঠজীকে উঠাইয়া গাঢ় আলিঙ্গন করিলেন এবং উভয়েই প্ৰেমাশ্রিত্নতে ভাসমান হইলেন। শেঠজী তঁহাকে প্ৰসাদ ভোজন করিতে বিশেষ অনুরোধ করিলেন, কিন্তু লালাবাবু র্তাহার মাধুকরী ব্রত পণ্ড করিতে কোন প্রকারে সম্মত হইলেন না এবং অতীব বিনীত বচনে মুষ্টি ভিক্ষাই প্রার্থনা করিলেন। শেঠজী অগত্য তঁহাকে মাধুকরী দিতে আদেশ করিয়া অশ্রুপূর্ণ নয়নে ব্যাকুল চিত্তে প্ৰস্থান করিলেন। লালাবাবুর এই দৈন্য এবং বিনয় দর্শনে সকলেই মুগ্ধ হইলেন। তিনি ঘোর শক্রকে পরম মিত্ৰ করিয়া ভিক্ষা লইয়া যেমন ঠাকুর বাড়ীর বাহিরে আসিলেন, অমনি দেখেন সম্মুখে কৃষ্ণদাস বাবাজী ! লালাবাবু মূচ্ছিত হইয়া তাহার চরণতলে পতিত হইলেন। বাবাজী পরমষত্নে উঠাইয়।