পাতা:বঙ্গের বাহিরে বাঙ্গালী (উত্তর ভারত) - জ্ঞানেন্দ্রমোহন দাস.pdf/২৮৮

२०b” বঙ্গের বাহিরে বাঙ্গালী । নিযুক্ত হন। তাহার কার্য্যদক্ষতা ও চিকিৎসা শাস্ত্রে অসাধারণ পাণ্ডিত্য দর্শনে। $iif(t, fisfrt f2) is ( Lecturer on Practice of Medicine) 28-y- পকের পদ প্ৰদান করেন। তিনি ২৮ বৎসর কাল এই কাৰ্য্য প্রভূত গৌরবের সহিত। সম্পাদনা করিয়া ১৯০৩ অব্দে অবসর গ্ৰহণ করেন । সরকারী কৰ্ম্ম হইতে অবসর লইয়া তিনি আগ্ৰায় যাবতীয় জনহিতকর কাৰ্য্যে যোগদান করিবার এবং দীন দুঃখী অসমর্থ নরনারীকে সমস্ত স্নেহ ও সহানুভূতি দিয়া দেখিবার প্রকৃত অবসর প্রাপ্ত হন। ইতিপূৰ্ব্বে ১৮৭৮-৯ অব্দে যখন ভীষণ দুর্ভিক্ষ্য ও মহামারি হয় তখন তিনি অক্লান্ত পরিশ্রমে দুঃস্থ নরনারীর সেবায় ব্ৰতী হইয়াছিলেন । অবসর লইবার পরও দরিদ্র ও অসমর্থগণকে বিনা পারিশ্রমিকে চিকিৎসা, এমন কি, ঔষধ পথ্যাদি দিয়াও সাহায্য করিয়াছেন। আগ্ৰা প্ৰবাসী বাঙ্গালীদিগের নিকট হইতে তিনি কখন পারিশ্রমিক গ্ৰহণ করেন নাই। সৌজন্য, আতিথেয়তা এবং চরিত্রবলে তিনি যে কেবল স্থানীয় অধিবাসী ও প্রবাসী বাঙ্গালীদিগেরই প্রিয় ও শ্ৰদ্ধেয় হইয়াছিলেন তাহাঁই নহে, তাহার চিকিৎসার যশঃ বহুবিস্তৃত হইয়াছিল ; তঁহার চরিত্রের সুনাম আগ্রার সীমা অতিক্রম করিয়া সমগ্র প্রদেশে এমন কি রাজপুতানা, ভূপাল, রামপুর প্রভৃতি স্থানে বিস্তার লাভ করিয়াছিল। জয়পুরের মহারাজ, ধোলপুরের রাণা, ভূপালের বেগম এবং আভাগড়ের রাজা প্রমুখ অনেকেই তঁহার চিকিৎসাধীন হইতেন। উচ্চপদস্থ ইংরেজ রাজপুরুষগণও তঁহাকে সমাদর করিতেন। গবৰ্ণমেণ্ট তাহার দরিদ্রসেবা ও সুচিকিৎসার গুণে আকৃষ্ট হইয়া বিশেষ প্ৰশংসা করিয়াছেন। তঁহার সমসাময়িক সংবাদ পত্ৰাদি নবীন বাবুর গুণকীৰ্ত্তনে মুখরিত হইয়া আছে। এতদঞ্চলে যাহারা যুরোপীয় চিকিৎসা প্ৰণালীর প্রতি লোকের চিত্ত আকৃষ্ট করিতে সমর্থ হইয়াছিলেন নবীন বাৰু তাঁহাদের অন্যতম। তিনি হিন্দী, উর্দু ও পাশী ভাষায় পারদর্শী fDCIR 1 (LR: "The Principle and Practice of Medicine" নামক চিকিৎসা বিষয়ক একটি সুবৃহৎ গ্ৰন্থ প্ৰণয়ন করিয়া বিবিধ ভাষায় প্ৰকাশ করেন। আগ্রা বঙ্গসাহিত্য সমিতি চিরদিন তঁহার সহানুভূতি প্ৰাপ্ত হইয়াছে। তিনি বহু বর্ষ ঐ সভার সভাপতি ছিলেন। ৩ বৎসর হইল (১৩১৯) তাহার পরলোক প্ৰাপ্তি হইয়াছে কিন্তু নবীন বাবুর নাম আগ্রা হইতে কখন বিলুপ্ত হইবার নহে।