পাতা:বঙ্গের বাহিরে বাঙ্গালী (উত্তর ভারত) - জ্ঞানেন্দ্রমোহন দাস.pdf/৩২৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

আগ্ৰা বিভাগ । ২৩৫ ভবানীপুর লণ্ডন মিশনারী কলেজে অধ্যয়ন করেন। যাহারা উত্তরকালে গৌরবান্বিত জীবনলাভ করেন, অল্পবয়সে। তঁহাদের প্রতিভার পরিচয় প্ৰায় পাওয়া যায়। ] ছাত্রাবস্থায় তাহার অধ্যয়নে অনুরাগ, সহিষ্ণুতা, গাম্ভীৰ্য্য ও মানসিক বলের বিশেষ প্রমাণ পাওয়া গিয়াছিল। অধ্যয়নস্পৃহা পরিতৃপ্ত করিতে তিনি দূর দূরান্তর হইতে দুস্তপ্রাপ্য ইংরেজী ও সংস্কৃত সদগ্রন্থ সকল সংগ্ৰহ করিয়া পাঠ করিতেন। এদিকে সহপাঠীদিগের মধ্যে সর্বোৎকৃষ্ট ছাত্ৰ বলিয়া প্ৰশংসিত ও সকলের প্রতিভাজন হইয়াছিলেন। বয়োজ্যেষ্ঠ মান্য ব্যক্তিগণের প্রতি যথোচিত সম্মান প্রদর্শনে, বিনয়গুণে, সহৃদয়ত ও সারল্যে শৈশবে যেমন ছিলেন, মৃত্যকাল পৰ্যন্ত সেইরূপই ছিলেন । র্তাহার অনন্যসাধারণ গুণাবলীর পরিচয় পাইয়া গ্রামস্থ সকলেই বলিতেন “ননি কালে একজন বড়লোক হবে” । ননিবাৰু একজন লোকবিশ্রাত “বড়লোক” না হইলেও তিনি যে হৃদয়ে প্রকৃতই বড় এবং জন্মভূমির অকৃত্রিম সেবক ছিলেন তাহাতে আর সন্দেহ নাই। স্কুলের শিক্ষা সমাপ্ত করিবার পর কলিকাতায় অবস্থানকালে ননিবাবু, আশৈশবের জ্ঞানাৰ্জনম্প্রতা পরিতৃপ্ত করিবার অনেক সুযোগ প্ৰাপ্ত হন। এই সময় মহাত্মা কেশবচন্দ্র সেনের সহিত ইহার পরিচয় হয়। কেশববাবু যুবকের মুখে প্রতিভার আলোক দৰ্শন করিয়া তীহাকে যথেষ্ট স্নেহ করিতেন । শীঘ্রই ননিবাবু মেডিক্যাল কলেজে প্রবেশ করিলেন, কিন্তু অল্পকাল মধ্যে স্বাস্থ্যভঙ্গ হওয়ায়, বাধ্য হইয়া উত্তরপশ্চিম প্রদেশ প্রবাসী হইলেন। ১৮৭৭ খ্ৰীষ্টাব্দে তিনি বায়ুপরিবর্তনের জন্য এলাহাবাদে আসেন এবং এখানকার জলবায়ুতে স্বাস্থ্য লাভ করায় এ প্রদেশেই স্থায়ী হন। এখানে আইন পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হইয়৷ কিছুদিন মির্জাপুরে ওকালতী করিয়াছিলেন, পরে ১৮৮৭ অব্দে মৈনপুরী জেলা আদালতে ওকালতী আরম্ভ করেন। তদবধি ননিবাবু মৈনপুরীর স্থায়ী অধিবাসী হন। এতদঞ্চলে তঁাহার যথেষ্ট প্ৰতিপত্তি ছিল। তঁহার কাৰ্য্যক্ষেত্র মৈনপুৱীতেই আবদ্ধ ছিল না। স্থানীয় অনেকগুলি জেলা আদালতে র্তাহাকে প্রায়ই যাতায়াত করিতে হইত। দরিদ্রের দুঃখে তিনি আন্তরিক ক্লেশ অনুভব করিতেন। এবং হৃদয়ের সহানুভূতি কাৰ্য্যে পরিণত করিতেন। ননিবাবু বিনা পারিশ্রমিকে নিঃসম্বল বিপন্নের পক্ষ সমর্থনা করিয়া পরম আনন্দ অনুভব করিতেন এবং অনেক