R8 R বঙ্গের বাহিরে বাঙ্গালী । কয়েক বৎসর হইল কানপুরে বাবু হেমন্তকুমার রায় সহকারী ওপিয়ম এজেণ্ট হন। ডাক বিভাগেও উচ্চ উচ্চ পদেও কয়েকজন বাঙ্গালীর আবির্ভাব হয়, তন্মধ্যে কানপুরের পোষ্টফিসের সুপারিন্টেণ্ডেণ্ট হইয়া আসেন। বাবু মহেন্দ্রনাথ লাহিড়ী বি, এ, এবং টেলিগ্রাফে শ্ৰীযুক্ত এল এন বন্দ্যোপাধ্যায়। কানপুরের ৮ ক্রোশ উত্তর পশ্চিমে বাল্মিকীর তপোবন সীতার বনবাস স্থান লবকুশীর জন্মভূমি বিস্তুর গ্রাম। কানপুর অবস্থান কালে বঙ্গের স্বনামখ্যাত ৬/রাজনারায়ণ বসু মহাশয় একদিন স্থানীয় সকল ব্ৰাহ্মকে লইয়া এই বিঠর গ্রামে বাল্মিকীর তপোবনে গমন করিয়া উপাসনা করেন, বৈকালে পরপারস্থ সীতা পরিহার মন্দিরের সম্মুখে এপারের ঘাটে বসিয়া রামায়ণ বিষয়ে বক্তৃতা করেন। বিস্তুর গ্রাম হইতে ৬ ক্রোশ দূরে কনৌজ ব্ৰাহ্মণদিগের বাসভূমি কান্যকুব্জ। গবৰ্ণমেণ্ট স্কুল সব ইনস্পেক্টর ও হিন্দু কলেজের সহাধ্যায়ী বাবু ভূদেবচন্দ্ৰ মুখোপাধ্যায়ের (তখনও C. I. E. হন নাই ) প্ৰতি উত্তর পশ্চিমাঞ্চলের হিন্দী স্কুল। সকল পরিদর্শন করিয়া ঐ সকল স্কুলের যে সকল নিয়ম বঙ্গদেশের বাঙ্গালা স্কুলে চালাইবার উপযুক্ত তাহা গ্ৰহণ করিবার ভারার্পণ করিলে, তিনি কিছুকাল কানপুরে অবস্থিতি করিয়াছিলেন । কানপুর ও ফতেপুর জেলার অধিকাংশ গ্রাম পূর্বে আগ্রা ও এলাহাবাদের অন্তর্গত ছিল। সিপাহীবিদ্রোহের পর হইতেই কানপুর সকলের দৃষ্টি আকর্ষণ করে এবং ক্রমে এখানে সুত্ৰ, বস্ত্র ও চৰ্ম্মাদির বড় বড় কলকারখানা স্থাপিত হওয়ায় ইহা এতদঞ্চলে বাণিজ্যের একটি প্রধান স্থানে পরিণত হয়, কিন্তু ফতেপুর কখনই ভিন্ন প্ৰদেশবাসীদিগের আকর্ষণের স্থানে পরিণত হয় নাই। সরকারী অফিস ও রেল বিভাগে কৰ্ম্ম লইয়া কতিপয় বাঙ্গালী এখানে প্ৰবাসী হইয়াছেন, পুরাতন প্রবাসীদিগের মধ্যে এখন আর বড় কেহ নাই ।। ৩৬ বৎসর পূর্বে ডাক্তার রীতিকান্ত ঘোষ এখানে খ্যাতিলাভ করিয়াছিলেন। এখানে বাঙ্গালীদিগের বিশেষ কীৰ্ত্তির নিদর্শন নাই। ফতেপুরের দক্ষিণ পশ্চিম সীমা বান্দা ও হামীরপুর। এই সীমা হইতে বুন্দোলখণ্ডের প্রারম্ভ। বান্দা হইতে আরম্ভ করিয়া হামীরপুর, জালৌন এবং ঝালী ও ললিতপুর • ক্রমান্বয়ে উত্তর পশ্চিম ও দক্ষিণদিকস্থ ভূখণ্ড মধ্যভারতস্থ বুন্দোলখণ্ডের একাংশ যুক্তপ্রদেশের
- অধুনা সবডিবিজন করিয়া ইহা ঝান্সী জেলার অন্তভুক্ত করা হইয়াছে।