পাতা:বঙ্গের বাহিরে বাঙ্গালী (উত্তর ভারত) - জ্ঞানেন্দ্রমোহন দাস.pdf/৩৪৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

R( 8 বঙ্গের বাহিরে বাঙ্গালী । লিকার ভগ্নাবশেষ দৃষ্ট হয়। প্রাচীনেরা উহা বাবু শ্যামলাল মিত্রের বাড়ী ছিল বলিয়া আজিও দেখাইয়া দেন। কেহ কেহ বলেন নাজির বাবু শম্ভুনাথ মিত্রের পর চট্টোপাধ্যায় ভ্রাতৃদ্বয় সেরেস্তার কৰ্ম্ম লইয়া আসিয়াছিলেন। যাহা হউক ইহারা সকলেই ১৮০৩ অব্দের পরেই আগমন করিয়াছিলেন। রামধন্যবাবুর বংশীয় ও আত্মীয় দুই এক ঘর এখানে স্থায়ী বসবাসী হইয়াছেন। উপস্থিত প্রাচীনতর বাঙ্গালীদিগের মধ্যে বাবু জগন্নাথ চট্টোপাধ্যায় ও বাবু গোপীনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম উল্লেখযোগ্য। গোপীনাথবাবু রামধন্যবাবুর ভাগিনেয়। স্থানীয় জজ আদালতের মুনসেরিম ; বাবু উদয়চন্দ্ৰ বন্দ্যোপাধ্যায় রামধন্যবাবুর অন্য ভাগিনেয়। আলীগড়ে রামধন্যবাবুর যথেষ্ট সম্মান ও প্রতিপত্তি ছিল। এখানে যে “বাবুসরাই” নামে একটী সরাই আছে তাহ রামধন্যবাবুরই কীৰ্ত্তি। কিন্তু । কালের কুটিল গতিতে বাঙ্গালী বাবুর বাবুসরাই এক্ষণে জনৈক মুসলমানের হস্তগত । পুরাতন নামটী যে এখনো প্ৰবাসীর স্মৃতি জাগারুক রাখিয়াছে ইহাই আনন্দের বিষয়। এই বাবুসরায়ে পূৰ্ব্বে দুর্গোৎসব হইত। কিন্তু এখন সেইস্থান নমাজের মন্ত্রে মুখরিত হইতেছে। রামধন্যবাবুর পর হুগলীর অন্তঃপাতী খলিসানি নিবাসী তারিণীচরণ মুখোপাধ্যায় মহাশয় আলীগড়প্রবাসী হন। ইনি আত্মীয়বন্ধুগণের পরামর্শে ইংরেজী শিক্ষা লাভ করিয়া ১৮১৬ খৃঃ অব্দে ফরাক্কাবাদে আসিয়া তথাকার ডাকমুন্সি তাহার স্বগ্রামবাসী ৬/রামর্চাদ মিত্র মহাশয়ের আশ্রয় গহণ করেন । তিন বৎসর কাল ফারাক্কাবাদে এবং বৎসরাবধি সাহজাহানপুরে ডাকমুন্সির কৰ্ম্ম করিয়া ১৮২০ অব্দে, যখন পোষ্ট অফিসের কাজ জেলা কালেক্টরের অধীনতা হইতে সিবিল সার্জনের হস্তে ন্যস্ত হয়, তখন তারিণীবাবু আলীগড় পোষ্ট আফিসে প্রবেশ করেন। কিছুকাল পরে এখানে অশ্বডাক প্ৰচলিত হইলে সিবিল সার্জনগণ গবৰ্ণমেণ্টের তরফ হইতে ডাকঅশ্বের কণ্টাক্টর হন। আলীগড়ে ডাক-অশ্বের শেষ কণ্টাক্টর ডাক্তার এডমণ্ড টিরিটন ১৮৩৪ সালে তারিণীবাবুকে স্বীয় অধীন কণ্টাক্টর নিযুক্ত করেন। । তারিণীবাবু আলীগড়ে আবাস।বাটী নিৰ্ম্মাণ করিয়া এখানে স্থায়ী বসবাসী হন। তিনি ১৮৩৮ অব্দে সহর হইতে ৩ মাইল দূরে ভুকরাউলী নামক গ্রামে দেশীয়দের মধ্যে সর্বপ্রথম নীলের কুঠী স্থাপন করেন। এ পৰ্যন্ত এতদেশীয় কোন ব্যক্তিরই নীলের কুঠী ছিল না। ইহার দৃষ্টান্ত অনুসরণ করিয়া পরে