পাতা:বঙ্গের বাহিরে বাঙ্গালী (উত্তর ভারত) - জ্ঞানেন্দ্রমোহন দাস.pdf/৩৪৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ミQや বঙ্গের বাহিরে বাঙ্গালী । হস্তচু্যত হইয়াছে। ১৯০৪ অব্দে নীলের চাষ এককালে উঠিয়া যাওয়ায় ৭৫টীি কুঠার কার্য বন্ধ হয় এবং ৪৫.০০ লোকের অন্ন যায়। কুঠীগুলি এক্ষণে শূন্য পড়িয়া আছে। ১৮৬৫ অব্দে ডেপুটী পোষ্টমাষ্টার ঈশানবাবু ফরাক্কাবাদের ডেপুটী কলেক্টর হন। ইনি ডেপুটী কলেক্টরের উচ্চ পরীক্ষায় ( Higher Standard) tarif হইয়াছিলেন। পরে ললিতপুর ও আজমীরের এক্সট্রা এসিষ্টাণ্ট কমিশনার, (Extra-Assistant Commissioner) 8 ট্রেজরি অফিসার ( Treasury Officer ) হন । তিনি ৩০ বৎসরাধিকাল গবৰ্ণমেণ্টের কাৰ্য্যে নিরবচ্ছিন্ন সুনাম, অর্জন করিয়া চক্ষুরোগে আক্রান্ত হইয়া ১৮৭২ অব্দে অবসর গ্ৰহণ করেন। ইনি কায়মনোবাক্যে ধন ও প্ৰাণ পণ করিয়া রাজভক্তির পরাকাষ্ঠ প্ৰদৰ্শন করিয়াছিলেন। ললিতপুরে ইনি ম্যাজিষ্ট্রেটের অভিমতের অপেক্ষা না করিয়া স্বয়ং মকদ্দমা গ্ৰহণ ও বিচার করিবার ক্ষমতা প্ৰাপ্ত হন এবং আজমীরে অবসানকালে, (St Gil fail-liffs ( District Educational Committee) is 9 নিয়োজিত হন। ১৯০১ অব্দে ৩০ এ এপ্রেল ঈশানবাবু পরলোক যাত্ৰা করেন। ঈশানবাবু বুদ্ধবয়সে পুত্ৰশোকে ভগ্নস্বাস্থ্য হইয়া পড়েন এবং আলীগড় হইতে কয়েক মাইল দূরে গঙ্গাতটস্থ রাজঘাট নামক স্থানে স্বকীয় একটা ভবনে শেষ কয়েক দিন বাস করিয়া গঙ্গাগর্ভে প্রাণত্যাগ করেন। ঈশানবাবুর পুত্ৰগণ এক্ষণে র্তাহার পরিত্যক্ত জমিদারী ও অন্যান্য সম্পত্তি বিভক্ত করিয়া স্বতন্ত্র ভোগ করিতেছেন । ১৮৫৭ সালের মে মাসে যখন সিপাহী-বিদ্রোহের সূচনা হয়, তখন এই কয় ঘর ইংরেজি-হিতৈষী নিরীহ বাঙ্গালীর আলীগড় প্রবাসে কিরূপ দুর্দিন গিয়াছে, তাহ। ভূক্তভোগী ভিন্ন অন্যের বােধগম্য হইবে না। যখন এখানকার সাহেবগণ পলায়ন করেন, উৎপীড়ন লুণ্ঠন অগ্নিকাণ্ড প্রভৃতি চতুর্দিকে পরিব্যাপ্ত হইয়া পড়ে, তখন নসীরউল্লা নামক জনৈক ব্যক্তি নগরের শাসনভার স্বহস্তে গ্ৰহণ করে ; কিন্তু তাহার ব্যবহারে হিন্দুগণ উত্যক্ত হইয়া সহায়তা দানে সম্পূর্ণ বিরত থাকে। বৎসর শেষ হইতে না হইতেই বিদ্রোহ দমন হইল বটে, কিন্তু এই সময়ের মধ্যে কত লোক যে ধনে-প্ৰাণে বিনষ্ট হইল তাহার সংখ্যা নাই। অত্যাচারের মাত্রা কতদূর বৃদ্ধি পাইয়াছিল তাহার নিদর্শন আজি স্থানীয় প্রাচীন হিন্দু ও বৌদ্ধ পাষাণশিল্পে ও নানা স্থানের বিক্ষিপ্ত ভগ্নস্ত পাবলীর মধ্যে প্রাপ্ত হওয়া যায়!