পাতা:বঙ্গের বাহিরে বাঙ্গালী (উত্তর ভারত) - জ্ঞানেন্দ্রমোহন দাস.pdf/৩৭০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

૨૧૭ বঙ্গের বাহিরে বাঙ্গালী । পাইতে র্তাহাকে ইতস্ততঃ করিতে হইত না । আতিথেয়তায় এই পরিবার এখানে সুপ্ৰসিদ্ধ। ডাঃ ঘোষ পরদুঃখকাতরতা ও বদ্যান্যতায় সুনাম অর্জন করিয়া গিয়াছেন। জনহিতকর সামাজিক ক্রিয়াকম্মে তাহার সহানুভূতি ও সহযোগিতা যথেষ্ট ছিল। মীরাটের দুর্গোৎসব তঁাহার তত্ত্বাবধানে অতি সমারোহে সম্পন্ন হইত ; তিনি মীরাট কালীবাড়ীর ম্যানেজার, হরিসভার সেক্রেটরী ; স্থানীয় ফ্রামেসন সম্প্রদায়ের একজন উচ্চপদস্থ সদস্য এবং মীরাট বাঙ্গালী স্কুলের সেক্রেটরী ছিলেন। মীরাটের দুৰ্গাবাড়ী এখানকার পুরাতন প্ৰবাসী ৬/দিগম্বর মুখোপাধ্যায় কর্তৃক সাধারণের অর্থে স্থাপিত। স্থানীয় কালীবাড়ী স্বতন্ত্র ব্যক্তি কর্তৃক প্রতিষ্ঠিত এবং উহা তাঁহারই সম্পত্তি। অধুনা ডাঃ রমেশচন্দ্র মিত্র, এল, সি, পি, এস, (গ্লাসগো) মীরাট প্রবাসে চিকিৎসা ব্যবসায়ে সুনাম অজ্জন করিতেছেন। মীরাটের উকীল শ্ৰীযুক্ত কালীপদ বসু এবং বাবু, হরিচরণ রায় প্রমুখ দুই চারিজন বিশিষ্ট পুরাতন প্ৰবাসী এখানে স্থায়ী বসবাসী হইয়াছেন। কালীপদ বাবু, মীরাটের যাবতীয় জনহিতকর অনুষ্ঠানে সংসৃষ্ট এবং স্থানীয় সমাজের নেতা। তিনি মীরাট লায়াল লাইব্রেরীর সম্পাদকতার ভার লইয়া ইহার সমূহ উন্নতি সাধন করিয়াছেন। যুক্ত প্রদেশের প্রধান প্রধান সহরের সাধারণ পুস্তকাগারের মধ্যে গ্ৰন্থাদি সংগ্ৰহাগৌরবে ইহা যে বিশিষ্ট স্থান অধিকার করিয়াছে তাহার প্রধান কারণ সাহিত্যানুরাগী কালীপদ বাবুর চেষ্টা । বঙ্গের বাহিরে বাঙ্গালী সাহিত্যসেবীদিগের মধ্যে কালীপদ বাবু অন্যতম। ইনিও গোয়ালিয়রে জমি লইয়া কৃষিকাৰ্য্য করিবার চেষ্টা করিয়াছেন। অধুনা ইনি বাদ্ধক্য বশতঃ আদালতের কাৰ্য্য হইতে অবসর গ্রহণ করিয়াছেন । মারাটের অন্তর্গত গাজিয়াবাদ রেলপথের একটি বড় ষ্টেশন ও সংযোগ স্থান । এখানে কয়েকঘর বাঙ্গালী সপরিবারে বাস করেন । সাদ্ধান মীরাটের অন্যতম নগর। এই সাদ্ধান ইতিহাস প্ৰসিদ্ধ বেগমসমরুর লীলাক্ষেত্র । মীরাটের উত্তরেই মুজফফরনগর। এখানেও বাঙ্গালীর অভাব নাই। কিন্তু সংখ্যায় অল্প এবং দুই একজন ব্যতীত প্ৰায় সকলেই চাকরির জন্য প্ৰবাসী, কৰ্ম্মাবসানে তঁাহারা স্বদেশে । প্ৰত্যাবর্তন করিবেন। যে সকল বাঙ্গালী ঠাঙ্গাদের পর এখানে প্ৰবাসবাস করিতেছেন। তঁহারাও যে কেহ এখানে স্থায়ী বাস স্থাপন করিবেন। এরূপ বোধ হয় না। কারণ এই জেলায় বাঙ্গালীর আকর্ষণের বন্ধ বড় নাই। মুজফফরনগরের