পাতা:বঙ্গের বাহিরে বাঙ্গালী (উত্তর ভারত) - জ্ঞানেন্দ্রমোহন দাস.pdf/৩৯৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কুমায়ু বিভাগ এবং উত্তরাখণ্ড । 8âᏄ ব্যান্ত্রের সহিত ক্রীড়া ব্যতীত তিনি শারীরিক শক্তির পরিচায়ক আর একটি ক্রীড়া সাধারণে প্ৰদৰ্শন করিতেন। তিনি প্ৰত্যহ আট হইতে বার মণ ওজনের -পাথর ব্যবহার করিতেন। কিন্তু ছোটলাট ভবনে একবার ব্যাস্ত্ৰক্রেীড়া ও পাথর ভাঙ্গা দেখাইবার কালে তিনি চৌদ্দ মণ ওজনের পাথর বক্ষে ধারণ করিয়াছিলেন । কয়েকজন বলবান ইংরেজ সৈনিক তাহা বিশাল লৌহমুদগর আঘাতে ভগ্ন করিতে সমর্থ হয় নাই। ১৮৯৪ সালে যখন তিনি মাসিক ১৫০০২ টাকা বেতনে ফ্রেডকুকের ইংলিশ সার্কাসে হিংস্ৰজন্তুবশকারী এবং ক্রীড়াকারিরূপে নিযুক্ত হইয়া এক বৎসর ক্রীড়া করেন, তৎকালে উক্ত সার্কাসকারীদিগের মধ্যে শারীরিক শক্তি ও সাহসে তিনি সর্বশ্ৰেষ্ঠ বলিয়া পরিগণিত ছিলেন। তিনি স্বীয় সার্কাস লইয়া নানাস্থানে ভ্ৰমণ করিবার কালে কিছুকাল রঙ্গপুরে অবস্থান করেন । তথায় একটা ত্রিতল বাটির নিম্নে তঁাহার পশুশালা ছিল । ১৮৯৭ অব্দের ভূমিকম্পে ঐ বাড়ী পড়িয়া যাওয়ায় ঘোড়া, বান্দর, কুকুর, ভলুক, প্ৰভৃতির জীবন এবং সার্কাসের আসবাবপত্র সমস্ত নষ্ট হয়। সেই বাড়ীতে রামগোপাল সেন নামক জনৈক মোক্তার সবংশে নিহত হন। শ্যামাকান্ত বাবুর দুইটী ব্যাস্ত্ৰ বাহিরে থাকায় বাচিয়া গিয়াছিল। তিনি সেই ব্যান্ত্রদ্বয় লইয়া একবৎসরকাল কলিকাতা ও নিকটবৰ্ত্তী স্থানে বাঘে কুকুরে খেলা, বাঘের সঙ্গে মল্লযুদ্ধ এবং বুকে পাথরভাঙ্গা প্ৰদৰ্শন করেন। পরে “Grand Show of wild animals” নাম দিয়া এক প্ৰকাণ্ড নূতন ক্রীড়া প্রদর্শন করেন। ইহাতে হাতী, ৫টী বাঘ ও কতকগুলি বাদর ও কুকুরের খেলা ছিল। ইহাই তাহার কৰ্ম্মজীবনের শেষ অবস্থা । অতঃপর একাৰ্য্যে এবং সাধারণতঃ অথোপাৰ্জনের প্ৰতি ক্রমেই র্তাহার বিরাগ জন্মিল। এ কাৰ্য্য পরিত্যাগ করিবার কালে বিলাতের কোন বিখ্যাত সার্কাস কোম্পানী তাহাকে দুইশত পাউণ্ড (তিন সহস্র টাকা ) বেতনে তাহদের সহিত যোগদান করিতে অনুরোধ করিয়াছিল ; কিন্তু তৎকালে তঁহার মানসিক পরিবর্তনহেতু তিনি তাহাতে সন্মত হইলেন না। সাংসারিকতার মধ্যে ডুবিয়া থাকিলেও অল্পবয়স হইতেই তাহার হৃদয়ে ধৰ্ম্মের বীজ নিহিত হইয়াছিল। তাহার কতকটা আভাস এই ;-ত্রিপুরা জেলায় রহীমপুর নামক ঈক্ষুদ্র এক পল্লীতে “ল্যাংটা বাবা” বা “পাগলা বাবা” নামে পরিচিত জনৈক প্রাচীন সন্ন্যাসী বাস করিতেন। তিনি হিন্দু কি মুসলমান, বাঙ্গালী কি হিন্দুস্থানী তাহা