পাতা:বঙ্গের বাহিরে বাঙ্গালী (উত্তর ভারত) - জ্ঞানেন্দ্রমোহন দাস.pdf/৩৯৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

లిe বঙ্গের বাহিরে বাঙ্গালী । ( Forest School ) TENKIJ FC Ars তথা হইতে উচ্চমান পরীক্ষায় छड़ी হইয়া কুমায়ু বিভাগে রেঞ্জার নিযুক্ত হন। ১৮৯৯ অব্দে তিনি নয়নীতালে। বদলী হন এবং ভওয়ালীতে অবস্থিতি করিয়া এই তাৰ্পিণের কারখানারও। ভার গ্ৰহণ করেন। এই ভওয়ালীর কারখানার কাৰ্য্য। ১৮৯৬-৭ অব্দে আরম্ভ হয়। তখন বৎসরে ৭ শত গ্যােলন তাৰ্পিণ ও প্রায় সাড়ে তিন শত মণি রজন প্ৰস্তুত হইত। তখন এই কারখানা শ্ৰীযুক্ত হরিদত্ত জোষী রেঞ্জর ও ডেপুটী-রেঞ্জর শ্ৰীযুক্ত রবিন্দত্তের তত্ত্বাবধানে ছিল। ১৮৯৯ অব্দে। ইহার মাল খারাপ হওয়ায় কাজের উন্নতি হয় নাই। তখন কাৰ্য চলিবে কি না তদ্বিষয়ে অনেকের সন্দেহও হইয়াছিল। প্ৰথম পরীক্ষায় কৃতকাৰ্য্য না হইয়া। অনেক ব্যবসায়ই উৎসন্ন গিয়াছে। এমন কি এই তাপিণের ব্যবসায়ই পঞ্জাব। প্রদেশের কাংড়া জেলায় আশাজনক বলিয়া বোধ না হওয়ায় বন্ধ হইয়া যায়। ভওয়ালীর কারখানার ভার তিনকড়ি বাবুর হস্তে ন্যস্ত হওয়ায় উহা স্থায়ী হইয়া যায়। তিনি ডেপুটি কনজারভেটর শ্ৰীযুক্ত ক্যাম্বেল সাহেবের উৎসাহ পাইয়া। ৬ বৎসরের শ্রম ও যত্নে ইহাকে একটী বিলক্ষণ লাভজনক ব্যবসায়ে পরিণত করেন। র্তাহার চেষ্টায় এই কারখানা হইতে বার্ষিক আট হাজার গ্যালন তাৰ্পিণ ও তিন হাজার ছয় শত মণ রজন উৎপন্ন হইতে থাকে। প্ৰথমে ইহাতে খরচ পড়িত ১২৷১৩ শত টাকা। সুতরাং দুই শত বা আড়াই শত টাকা মাত্র লাভ থাকিত। সেইস্থলে এক্ষণে ১৭৷৷১৮ হাজার টাকা খরচে ৩২৩৩ হাজার টাকা আয় হইতে লাগিল। এখানকার উৎপন্ন তাৰ্পিণ রেলওয়ে এবং অর্ডনান্স তোপখানায় (arsenal) অধিক সরবরাহ হয়। যৎসামান্য যাহা বাকি থাকিয়া যায় ( প্ৰায় ২০ • গ্যালন) তাহা খুচরা বিক্রয় হয়। এই উন্নতির কারণ তিনকড়ি বাবুর অভিজ্ঞতা। তিনি এই শিল্পবিজ্ঞানে স্বয়ং পরিপক। হাতে কলমে কাজ করিতে সমর্থ। তঁহার জ্ঞানের সহিত ক্যাম্বেল সাহেব ও লভগ্ৰোভ সাহেবের উৎসাহ এই উন্নতির অন্যতম কারণ। এই তাপিণ বিলাতী হাব্বকের তাপিণ श्टर्ड কোন অংশে নিরেশ নহে। অথচ মূল্যে গ্যালন প্রতি প্ৰায় দ০ হইতে ১২। সন্তা পড়ে। এখানকার রজন মার্কিন রজন হইতে কোন অংশে নিকৃষ্ট নহে। ] নয়নী।।তাল পৰ্ব্বতপাদমূলে হলদোয়ানী নামক নগর। শীতকালে এখানে বর্ণমেণ্টের আদালত ও অফিসগুলি নামিয়া থাকে। ইহার পশ্চিমে এবং