কুমায়ু বিভাগ এবং উত্তরাখণ্ড । VOo () অবলম্বন করিয়া অৰ্দ্ধহস্ত অন্তর অন্তর পাদক্ষেপ করিতে করিতে বুলার আন্দোলন ক্ৰমেই এত বৃদ্ধি হয় এবং উভয় পার্শ্ব এরূপভাবে হেলিতে থাকে, তাহার উপর একপার্শ্ব উচ্চ এবং অন্য পার্শ্ব নিম্ন হয় যে মধ্যস্থলে আসিয়া “ত্ৰাহি মধুসুদন” “ত্ৰাহি মধুসুদন” ডাক ছাড়িতে হয় এবং মৃত্যুকে অদূরবর্তী জানিয়া ইষ্টমন্ত্র জপ করিবার বাসনা স্বতঃই মনোমধ্যে উদিত হয়। ইষ্টমন্ত্র জপ করিতে করিতে কোন প্রকারে এই লছমনঝুলায় পার হইতে হয়। গঙ্গার তীরে ব্যাসাশ্রম। ব্যাসাশ্রম হইতে ছয়ক্রোশ দূরে দেবপ্রয়াগ। দেবপ্রয়াগে ভাগিরথী। আর মন্দাকিনীর সঙ্গম, জলের শব্দে কৰ্ণে তাল ধরে, দেবপ্রয়াগের ঝুলী, লছমনঝুলার ন্যায়, কিন্তু রশির টান আছে, আন্দোলন অপেক্ষাকৃত কম। ঐ কুলা পার হইলে বদরিনারায়ণের পাণ্ডাদিগের বাসস্থান । * প্ৰায় ২০০ ঘর পাণ্ড আছে। গঙ্গোত্তরী, যমুনোত্তরী, টিহিরী রাখিয়া টিহিরীর রাজা আর সমস্ত ইংরেজকে দেন। ঐ রাজার নিকট পাশ লইয়া তিন দিবস বরফাবৃত পৰ্ব্বতের উপর দিয়া শীতে কঁাপিতে কঁাপিতে গঙ্গোত্তরী তীর্থে গমন করিতে হয়। সে পথে কেবল অগ্নির উত্তাপ, কম্বল আর পায়ে কুশের জুতা লইয়া প্রাণরক্ষা করিতে হয়। স্নানের সময় ক্ষণমাত্র জলে তিষ্ঠিবার ক্ষমতা নাই, সমস্ত শরীরের স্পন্দন রহিত হয়। ভগীরথ যখন গঙ্গাকে মৰ্ত্ত্যে আনিয়াছিলেন, তখন, হিমালয় হইতে গঙ্গা ঐ স্থানে মৰ্ত্ত্যে আসিয়াছেন। পৰ্ব্বতের উপর এক ভূৰ্জবৃক্ষের মূল দিয়া উত্তরদিক হইতে যে ধারা আদিতেছে তাহা গঙ্গোত্তরী, পশ্চিমদিক হইতে যে ধারা পতিত হইতেছে তাহা যমুনোত্তরী। এই সকল স্থলে গমনাগমন করিতে পথে অনেক স্থলে বহুবার শিক্যায় পার হইতে হয়। গঙ্গার উভয় পারে দুই পাহাড়, তাহাতে বৃক্ষাদি আছে, সেই বুক্ষে বাধা দড়ীতে ঝুলান পরপারে যাইবার সেতুস্বরূপ এই শিক্য একজন বসিতে পারে এমন ছোট একটি মাচার চারিকোণে দড়িবাঁধা, তাহাতে আংটী লাগান যে দড়ীতে এই শিক্যা কুলান তাহার দুই মুখে আরও দুটী রজ্জ্ব লম্বমান, খরস্রোতা ভীমনাদিনী নদীর উর্ধে তীর্থযাত্রী যখন প্ৰাণের আশা ত্যাগ করিয়া এই শিক্যায় উপবেশন করে পারের লোক তাহা দুলাইয়া ঠেলিয়া দেয় ও পরপারের লোক ঐ রশি ধরিয়া টানিয়া লয় এবং যদিই বিপরীত পারে টানিয়া লইবার কোন
- sरे भl७ाप्शिन बत्श वाष्ौन ७शनिवनिक ৰাঙ্গালী মিশ্রিত হইয়া সম্পূর্ণভাবে
R O
