পাতা:বঙ্গের বাহিরে বাঙ্গালী (উত্তর ভারত) - জ্ঞানেন্দ্রমোহন দাস.pdf/৪২১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অযোধ্যা প্ৰদেশ । । 9&S করিয়া কাজ চলিল। মুহুর্তের জন্য কেহ বিশ্ৰাম লইল না। অধিকন্তু নূতন দিক আক্রমণ করিলে তৎক্ষণাৎ বাধা দিতে পরিবে বলিয়া ৩২ জন সৈন্য ঘুরিয়া ঘুরিয়া বেড়াইতে লাগল। দুর্গের বাহিরের সিপাহীরা তাহাতে মনে করিল ভিতরে অসংখ্য সৈন্য আছে। এদিকে যুদ্ধ যতক্ষণ চলিতেছিল, অবসরপ্রাপ্ত বিদ্রোহিগণ নগরলুণ্ঠন করিতেছিল। তাহারা অতঃপর ষড়যন্ত্র করে যে ধনকুবের নবাব মোহসীন উদ্দৌলার প্রাসাদ লুঠ করিতে হইবে। ইনি মৃত মহম্মদ আলীসাহের জামাতা এবং নবাব ওয়া জীদ অ'লা সাহের পিতা আমজদ আলী সাহের ভগ্নীপতি । সহরের মধ্যে তিনি সৰ্ব্বাপেক্ষা ধনী বলিয়৷ খ্যাত ছিলেন। অবশ্য তাহার প্রাসাদে অগাধ ধন ছিল । কথিত আছে যে তিনি নিজেই তাহার পরিমাণ জানিতেন না। লুঠকারীরা তাহার প্রাসাদ আক্রমণ করিলে তিনি ১২ লক্ষ টাকার নোট লইয়া অশ্বারোহণে সহরের বাহির হইলেন এবং একজন বিশ্বস্ত প্ৰজার গৃহে আশ্ৰয় লঙ্গলেন। তাহার সমস্ত ধন দৌলত পাষণ্ডদের হাতে পড়িল । তাহারা সকাল হইতে সন্ধ্যা পৰ্য্যন্ত লুঠ করিয়া ক্লান্ত হইয়া পড়িল তথাপি শেষ করিতে পারিল না । ইহার পর তাহার লক্ষেী সহর লুঠ করিতে মনস্থ করিল। নগরবাসিগণ পলায়ন করিবার জন্য প্ৰস্তুত হইয়া রহিল। কেহ গৃহ, কেহ নগর ত্যাগ করিল, কোন কোন ধনী ফকীরের ভেক ধরিল, অপরে নির্জন স্থানে আশ্রয় লাইল । শোণিত-পিপাসু কুকুরদলের ন্যায়, দস্তাদল ।রাণীকার্টর প্রবেশ করিয়া কালীবাবুর ভদ্রাসন আক্রমণ করিতে দৌড়িল। রাণীকাটরায় তাহারা নিষ্ঠুরতার পরাকাষ্ঠী দেখাইল। প্ৰথমে তথাকার প্রসিদ্ধ ধনী পণ্ডিত ইন্দ্রনারায়ণ কাশ্মীরী নামে তথাকার মহামান্য ব্ৰাহ্মণের গৃহদ্বার ভগ্ন করিয়া বাটীর ভৃত্যগণকে হত্যা করিল। পণ্ডিতজী প্ৰমাদ গণিয়া সমস্ত বিষয় এমন কি স্ত্রীর গহনাগুলি পৰ্য্যন্ত বিদ্রোহীদিগের হস্তে অৰ্পণ করিয়া সস্ত্রীক গৃহ ত্যাগ করিলেন এবং জীর্ণ ও মলিন বস্ত্র পরিধান করিয়া নিকটস্থ এক মন্দিরে আশ্রয়গ্ৰহণ করিলেন। তঁহার শেষ জীবন এই দেবালয়েই অতিবাহিত হইল। বিদ্রোহীরা তাহার দুইলক্ষ টাকার বিষয় লুঠ করিয়া পল্লীবাদী দিগকে বলিল, “আমাদের শক্ৰতা কেবল ইংরেজ সরকারের কৰ্ম্মচারীদিগের সহিত। কে কে পাড়ায় আছে, তাহদের নাম বলিয়া । দাও ; নতুবা মহল্লার ফাটক বন্ধ করিয়া আগুণ লাগাইয়া দিব।” ভয়ে সকলে কালীবাবুর নাম করিল এবং তাঁহার বাড়ী দেখাইয়া क्षिण। दाऊँौद्ध औद्रा काली