পাতা:বঙ্গের বাহিরে বাঙ্গালী (উত্তর ভারত) - জ্ঞানেন্দ্রমোহন দাস.pdf/৪২৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অযোধ্যা প্ৰদেশ । V-9S পর জয়লাভ করিতে লাগিল । ১৮৫৮ অব্দের মার্চ মাসে জেনারেল আউটরাম লক্ষ্মেীয়ের বেলীগার্ড দ্বিতীয় বার দখল করেন। তিনি ২৫২৫০২ টাকার পয়সা কেবল কাণপুরে খাজনাস্বরূপ পাঠাইয়া দেন এবং স্বয়ং নগরের বাহিরে তঁাবু 6श्कलिश दान করিতে থাকেন । তিনি বহু বিদ্রোহী সেনাকে Loyalty Certificate দিয়া বশ করেন এবং অনেক ইউরোপীয় উচ্চ কৰ্ম্মচারীকে এলাহাবাদ পঠাইয়া দেন। কালীবাবু এই সংবাদ পাইয় তাহার উপরিতন কৰ্ম্মচারী কাপ্তেন মার্টিন সাহেবের সহিত সাক্ষাৎ করিতে যান। মার্টিন সাহেব কালীবাবুকে দেখিয়া বড়ই বিস্মিত হন। তাহার কারণ বিদ্রোহীরা যখন কালীবাবুর মস্তকের জন্য পাঁচ হাজার টাকা পুরস্কার ঘোষণা করে, তখন তঁহার বিশ্বাসী ভৃত্যগণ তঁহার মৃত্যুসংবাদ চতুর্দিকে রাষ্ট্র করিয়া দেয়। কেহ তাহাদিগের নিকট কালী বাবুর সংবাদ চাহিলে বা তঁহার নামমাত্র করিলে তাহারা তাহার মৃত্যু হইয়াছে বলিয়া ক্ৰন্দন করিত। ইহাতে উভয় বিদ্রোহী এবং রাজপুরুষগণ সকলেরই ধারণা ছিল যে, কালীবাবু আর নাই। তিনি কি প্রকারে প্রাণ বঁাচাইতে সমর্থ হইলেন জানিবার জন্য সাহেব বড়ই কৌতুহলােক্রান্ত হইলেন। কালীবাবু বলিলেন বাচিয়াছি বটে। কিন্তু মরিয়া বাচিয়াছি অর্থাৎ মৃত্যুসংবাদ ইতিপূর্বেই রাষ্ট্র হইয়াছিল। এই বলিয়া তিনি তাহার দুঃখের কাহিনী সমস্ত বর্ণন করেন। মাটিন সাহেব বিদ্রোহের সময় প্ৰতােহ রাত্রে মোগলের ছদ্মবেশে বেলীগার্ড দুর্গ হইতে বাহির হইয়া সহরের সংবাদ লইয়া যাইতেন। সেই সূত্রে তিনি সংবাদ পান যে কালীবাবুর মৃত্যু হইয়াছে। অতঃপর মাটিন সাহেব কালীবাবুকে অবিলম্বে কাণপুর গিয়া লক্ষে হইতে প্রেরিত খাজনার ভার এবং বারমাসের বক্ৰী বেতন গ্ৰহণ করিতে আদেশ করিলেন। তখন বিদ্রোহ সম্পূর্ণরূপে দমিত হয় নাই এবং কালীবাবুও বহু কষ্টর পর গৃহে থাকিয়া শান্তিভোগ করিতেছিলেন। কিন্তু রাজভক্ত কালীবাবু মার্টিন সাহেবের অনুরোধ এড়াইতে পারিলেন না । তিনি শীঘ্রই কাণপুর যাত্ৰা করিলেন। পথে একদল গোরা সৈন্য র্তাহাকে বিদ্রোহী মনে করিয়া গুলি করিতে উত্ত হইল। তিনি বহু কষ্ট এবং বিবিধ প্রকারে বুঝাইয়। তবে প্ৰাণ পাইলেন। এই সময় পথে ঘাটে যেখানে যেমন দেশীয়কে দেখিতে পাইয়াছে উন্মত্ত গোরারা। হয় গুলি করিয়া মারিয়াছে—না হয় গলে রজ্জ্ব বা বস্ত্ৰ বঁাধিয়া বৃক্ষশাখায় বুলাইয়া