পাতা:বঙ্গের বাহিরে বাঙ্গালী (উত্তর ভারত) - জ্ঞানেন্দ্রমোহন দাস.pdf/৪৮৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

७१७ বঙ্গের বাহিরে বাঙ্গালী । পিনাং, আসিয়ার প্রধান প্রধান স্থান এবং পৃথিবীর সীমান্ত দেশসমূহ পরিভ্রমণ করিয়া তাহার আজন্মের পর্য্যটন-ম্পূহ একপ্রকার পরিতৃপ্ত করিয়াছেন। র্তাহার পাণ্ডিত্যপূর্ণ প্ৰবন্ধ এবং ভ্রমণবৃত্তান্ত বঙ্গ-সাহিত্য ভাণ্ডারের অমূল্য সামগ্ৰী। বহুকাল হইতে তিনি সাহিত্য-সেবা করিতেছেন। মাতৃভাষার প্রতি যে র্তাহার ঐকান্তিক অনুরাগ আছে, তাহ, তৎপ্রণীত ভূপ্রদক্ষিণ পাঠে উপলব্ধি করিতে পারা যায়। উক্ত গ্রন্থের ইংরেজী ও মাতৃভাষা সম্বন্ধীয় কৌতুহলপ্ৰদ অংশটুকু প্ৰত্যেক প্রবাসী বঙ্গ-সন্তানের পাঠ করা আবশ্যক। আধুনিক ভারতবর্ষীয় পৃথিবীপৰ্য্যটকগণের মধ্যে তিনি সর্বপ্ৰধান। ফয়জাবাদ বহুদিন প্ৰবাসবাস করিবার পর তিনি বাকীপুর আদালতে কিছুকাল ব্যারিষ্টারী করিয়াছিলেন। অতঃপর আরও দুই এক স্থান ঘুরিয়া এক্ষণে সেন মহাশয় কলিকাতায় আসিয়া অবস্থিতি করিতেছেন। তিনি কলিকাতা হাইকোর্টে ব্যারিষ্টারী করিতেছেন বটে, কিন্তু ধৰ্ম্মালোচনা এবং সাহিত্যসেবাই তঁহার জীবনের প্রধান ব্রত, তাহার ন্যায় পৃথিবী-পৰ্য্যটকের এবং সৰ্ব্বধৰ্ম্মের সাম্যবাদীর পক্ষে সমস্ত জগৎটাই গৃহ এবং মানবমাত্রেই আত্মীয় হওয়া স্বাভাবিক। সেইজন্য দেখা যায় তিনি যখনই যেখানে অবস্থান করিয়াছেন তখনই তথায় মনুষ্যত্বের উৎকর্ষ বিষয়ক মতের প্রচার ও বিশ্বজনীন ধৰ্ম্মের আন্দোলনে সহায়তা করিয়াছেন। র্তাহার অমায়িক ব্যবহারে জগতের নানাদেশে জাতিধৰ্ম্ম বর্ণ নিৰ্ব্বিশেষে তিনি বহুবিশিষ্ট ব্যক্তির সহিত বন্ধুত্বসূত্রে বদ্ধ। হইয়াছেন। অল্পদিন হইল জনৈক সন্ত্রান্ত কোটিপতি ইংরেজ লণ্ডন হইতে র্তাহাকে যে পত্র লিখিয়াছেন তাহা হইতে এ কথার প্রমাণ পাওয়া যায়। পত্রের লেখক সার রিচার্ড ষ্ট্রেপলী (Sir Richard Stapley Barnet ), তিনি লণ্ডনের ক্ৰিষ্টো-থিওসিফিকাল সোসাইট (Christo-Theosophical Society of London) নামক ধৰ্ম্মসভার সৰ্বময় কৰ্ত্তা। তাহার মত লেভী ষ্ট্রেপলীও হিন্দু দর্শনের প্রতি বিশেষ অনুরাগিণী এবং উভয়েই অনেকটা বেদান্তধৰ্ম্মী। ১৯০৯ অব্দে শ্ৰীমতী AfR (371TV žšTCM3. It firsTTS RÈV TVsa “The Nature of Christ,” শীৰ্ষক বক্তৃতা করেন। ঐ বক্তৃতা প্ৰবন্ধকারে শ্ৰীমতীর প্রণীত "The Changing World" air. 2.f4 dict's egg trict উক্ত পুস্তকের ২৭৯ পৃষ্ঠায় পদ টাকার এই ষ্ট্রেপলী দম্পতির নাম উল্লিখিত ।