পাতা:বঙ্গের বাহিরে বাঙ্গালী (উত্তর ভারত) - জ্ঞানেন্দ্রমোহন দাস.pdf/৪৯৫

অযোধ্যা প্ৰদেশ । ○va কার্জন তীহার কাৰ্য্যদক্ষতার পুরস্কার স্বরূপ র্তাহাকে সনন্দ প্ৰদান করেন। বলরামপুরে ইহঁর সুনাম ও বেশ প্ৰতিপত্তি আছে । ইহঁর পর আজ প্ৰায় বিশ বৎসর হইল শিবপুর ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ বাবু রাজকুমার গঙ্গোপাধ্যায় গোপালকৃষ্ণ বসু মহাশয়ের স্থান অধিকার করিয়া বলরামপুরে পূৰ্ত্তবিভাগীয় প্রধান কৰ্ম্মচারী নিযুক্ত হন। বাবু নগেন্দ্রনাথ বসু ৰ্তাহার অধীনে ওভারসিয়র পদে নিযুক্ত আছেন। বলরামপুর-প্রবাসী বাঙ্গালী সম্প্রদায় এ রাজ্যের সৰ্ব্বাঙ্গীন হিতসাধনকল্পে সহায়তা ও কাৰ্য্যকুশলতা দ্বারা মহারাজা বাহাদুরের সন্তোষ সম্পাদন করিতে এবং স্থানীয় জনসাধারণের সম্মান ও প্রতি অর্জন করিতে সমর্থ হইয়াছেন। কালক্রমে যদি এ প্রদেশ হইতে বাঙ্গালীর প্রবাসবাস উঠিয়াও যায়, তাহা হইলেও ৬/গোপালকৃষ্ণ বসুর স্মৃতিমন্দির বলরামপুরে বাঙ্গালী-প্রবাসের ইতিহাস চিরজাগরদ্ধক রাখিবে । সুলতানপুর, বড়বাকী ও প্রতাপগড়, ফয়জাবাদ বিভাগের তিনটি ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র জেলা। অৰ্দ্ধশতাব্দী. পূর্বে যখন প্রথম সেন্সস লওয়া হয় তখন সুলতানপুরে ৩৭ জন বাঙ্গালী সংখ্যাত হইয়াছিলেন। তন্মধ্যে একজন বাঙ্গালী তখন (১৮৬৯ )। জগদীশপুরে ছিলেন। প্ৰাচীন নগর কুশপুর সুলতানপুরের অন্তৰ্গত। তাহার ধ্বংসাবশেষ এক্ষণে বিদ্যমান রহিয়াছে। কুশপুর রামচন্দ্রের পুত্ৰ কুশ কর্তৃক স্থাপিত হইয়াছিল বলিয়া প্ৰসিদ্ধ। । , - লক্ষেী প্রভৃতি স্থানের ন্যায় সুলতানপুর বর্তমান যুগোচিত উন্নতির জন্য বাঙ্গালীর নিকটই বিশেষ ভাবে ঋণী। বঙ্গের যে সুসন্তান এই গৌরবের অধিকারী তিনি ঐ জেলাস্কুলের স্বনামখ্যাত হেডমাষ্টার স্বৰ্গীয় বাবু মধুসুদন মুখোপাধ্যায় হুগলী বিধপাড়া গ্রামে ১৮৪০ অব্দে তাহার জন্ম হয়। র্তাহার পিতা ৬/ রাজনারায়ন মুখোপাধ্যায় মহাশয় পারস্য ভাষায় সুপণ্ডিত ছিলেন। তঁহার জ্যেষ্ঠপুত্ৰ চন্দ্রমোহন বাবু হুগলী কলেজে অধ্যয়ন করিবার কালে হঠাৎ কলেজ ত্যাগ করিয়া সকলের অজ্ঞাতসারে কাশীতে গিয়া উপস্থিত হন। এবং তথা হইতে নবাব ওয়াজীদ আলী সাহের ইংরেজী শিক্ষক স্বরূপ লক্ষ্মেী প্ৰবাসী হন। এই সূত্রে তঁহার পিতা কাশীর বাঙ্গালী টােলায় আসিয়া বাসস্থাপন করেন। এখানে মধুসুদন বাবু জয়নারায়ণ । কলেজে অধ্যয়ন করিয়া। ১৮৫৭ অব্দে সিনীয়র স্কলাশিপ পাল ও প্রথম স্থান অধিকার করেন এবং পুস্তক ও ১১০২ টাকা পুরষ্কার প্রাপ্ত হন। ইহার পর বৎসর কলিকাতা ।