পাতা:বঙ্গের বাহিরে বাঙ্গালী (উত্তর ভারত) - জ্ঞানেন্দ্রমোহন দাস.pdf/৫০৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অযোধ্যা প্ৰদেশ । WDSV) ১৮৫৯ অব্দে কলেজ ছাড়িবার সময় তাহারা তাহাকে একটী স্বর্ণপদক দান করিয়াছিলেন। পদকটীর এক পৃষ্ঠে তাজমহলের চিত্র ও ভূপতিবাবুর নাম খোদিত এবং অন্য পৃষ্ঠে ইংরেজী অক্ষরে “Knowledge is Power,” *** 5 W*(3 “বিদ্যাশক্তিরাস্তি” এবং ফারসী অক্ষরে “ইলামকোহ” লিখিত ছিল। ঐ বৎসর হইতেই তঁহার কৰ্ম্মজীবনের আরম্ভ। প্রতাপগড়ে বাসস্থানের অভাবহেতু তিনি অন্যত্র বদলি হইবার জন্য আবেদন করিলে এখানকার ডেপুটী কমিশনার হগ সাহেব তঁহার বেতনবৃদ্ধি করিয়া দেন এবং প্রতাপগড়ের রাজা অজিতসিংহকে বলিয়া “বেলা” নামক নগরে দেড় বিঘা মেীরসা জমী প্ৰদান করেন। ঐ জমীতে ভূপতিবাবু বাস করিতে থাকেন। দশ বৎসর পরে তিনি রায়বেরেলী, ফয়জাবাদ ও লক্ষ্মেী এ বদলি হইবার পর ১৮৭৯ অব্দে বহাইচের ডেপুটী ম্যাজিষ্ট্রেট এবং পর বৎসর নানাপারার ডেপুটিম্যাজিষ্ট্রেটু ও মুনসেফ হন। এখান হইতে হরদোই, লক্ষ্মেী প্রভৃতি স্থানে মুনসেফা করিবার পর ১৮৮৬ অব্দে সবজজ হইয়া পুনরায় প্ৰতাপগড় আগমন করেন। সর্বত্রই তিনি সুনামের সহিত কাৰ্য্য করিয়া গবর্ণমেণ্টের নিকট ভূরি ভূরি প্রশংসা প্রাপ্ত হইলেও প্রতাপগড়েই তিনি বিচার কাৰ্য্যে ন্যায়নিষ্ঠ, ও নির্ভীক নিরপেক্ষতা দেখাইয়া সৰ্ব্বাপেক্ষা অধিক যশস্বী হন। এস্থান হইতে দুই বৎসরের জন্য বহ্রাইচে বদলি হন। তথায় বিখ্যাত সৈয়দ আলারের মোকদ্দমায় অকাট্য যুক্তি সম্বলিত রায় প্রকাশ করেন ; তাহাতে তিনি সেক্রেটরী অব ষ্টেটের প্রতিকূলে স্থানীয় মতওয়াল্লাদিগকে লক্ষ টাকার ডিক্ৰী দেন। এই মকদ্দমায় তঁাহার যশ সমগ্ৰ অযোধ্যাপ্রদেশে বিস্তার লাভ করে। ইহার পর তিনি পুনরায় প্রতাপগড়ে আগমন করেন এবং ১৮৯৪ অব্দে কৰ্ম্ম হইতে অবসর লইয়া কলিকাতায় নিজভবনে ১৮ বৎসর অবস্থিতি করিয়াছিলেন। ১৯১২ অব্দের ২৬শে জুন ৭৬ বৎসর বয়সে তিন পুত্র রাখিয়া পরলোক গমন করেন। তাহার জ্যেষ্ঠপুত্ৰ শ্ৰীযুক্ত কানাইলাল তাহার জীবিতাবস্থাতেই ংসার ত্যাগ করিয়া যান। র্তাহার সন্ন্যাসাশ্রমের নাম স্বামী কৃষ্ণানন্দ । মধ্যম পুত্র বাবু নন্দলাল ঘোষাল ব্ৰহ্মদেশে ওকালতী করেন এবং কনিষ্ঠ পুত্র রামলাল বাবু কলিকাতা ইস্পীরিয়াল লাইব্রেরীতে কৰ্ম্ম করিতেছেন।